সারা দেশে স্বাস্থ্য সেক্টরের পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়নে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন স্বাস্থ্যসেবা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক। বর্তমান মহাপরিচালক আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলমের মেয়াদকাল শেষ হচ্ছে ৩১ ডিসেম্বর। পরবর্তী মহাপরিচালক কে হতে যাচ্ছেন, তা নিয়ে চিকিৎসক মহল ও স্বাস্থ্যের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের মধ্যে জোর আলোচনা চলছে।
পরবর্তী মহাপরিচালক হিসেবে বর্তমান মহাপরিচালক আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলমের মেয়াদ, অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক মীরজাদী সেব্রিনা (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) ও অধ্যাপক আহমেদুল কবীরের (প্রশাসন) নাম আলোচনায় রয়েছে।
দুইজন অতিরিক্ত মহাপরিচালকের মধ্যে জ্যেষ্ঠ মীরজাদী সেব্রিনা। তিনি অসুস্থ, তবে তিনি সুস্থ হয়ে উঠছেন। আহমেদুল কবীর অতিরিক্ত মহাপরিচালক হলেও তার চেয়ে জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বা পরিচালক বেশ কয়েকজন আছেন।
স্বাস্থ্যের মহাপরিচালকের পদ বরাবরই গুরুত্বপূর্ণ। সেই গুরুত্ব আরো বেড়েছে মহামারির কারণে। এ পদে থাকা কর্মকর্তার গণমাধ্যমে উপস্থিতি এত বেশি দেখা যায়, যা সরকারের আর কোনো অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের ক্ষেত্রে ঘটে না।
বছর তিনেক আগে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ভেঙে স্বাস্থ্য সেবা অধিদপ্তর ও স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর নামে দুটি অধিদপ্তর করা হয়। করোনা মহামারি শুরুর সময় স্বাস্থ্যসেবা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ছিলেন আবুল কালাম আজাদ।
নিয়মিত মেয়াদ শেষে তার চাকরির মেয়াদ দুই বছর বাড়ানো হয়েছিল। দুর্নীতির অপবাদ নিয়ে আবুল কালাম আজাদ ২০২০ সালের ২৩ জুলাই পদ ছাড়লেন। ২৬ জুলাই পদে বসলেন আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম।
তিনি অনেকের দৃষ্টিতে আদর্শ সার্জন। আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলমের চাকরির নিয়মিত মেয়াদ ছিল ২০২০ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত। মেয়াদ টেনে দুই বছর লম্বা করা হয়। সেই মেয়াদও শেষ হচ্ছে ৩১ ডিসেম্বর।
ভোরের আকাশ/নি
মন্তব্য