দেশে চলতি মৌসুমে শীতজনিত রোগে মোট ১০১ জনের মৃত্যু হয়েছে। ২০২২ সালের ১৪ নভেম্বর থেকে চলতি বছরের ১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সময়ের পরিসংখ্যানে তা বলা হয়েছে। বুধবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো এক বিবৃতি থেকে এ তথ্য জানা যায়।
এতে বলা হয়, ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণে এক হাজার ৮৬ জন আক্রান্ত হয়েছেন এবং আরো এক জনের মৃত্যু হয়েছে। গত বছরের ১৪ নভেম্বর থেকে চলতি বছরের ১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা মোট ৭২ হাজার ৮০ জন।
২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে ডায়রিয়া রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ২২০৭ জন। গত বছরের ১৪ নভেম্বর থেকে চলতি বছরের ১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা মোট তিন লাখ ৭৬ হাজার ৭২৪ জন। একই সময়ে এ রোগে মোট তিন জনের মৃত্যু হয়েছে।
অধিদপ্তরের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০১৯ সালের ১ নভেম্বর থেকে ২০২০ সালের ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত সারা দেশে শীতজনিত রোগগুলোর মধ্যে ডায়রিয়ায় ১ লাখ ৫৮ হাজার ৪৯৯, শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণে ৬৫ হাজার ২১৬ এবং সর্দি-কাশি ও জ্বরে ১ লাখ ৮৭ হাজার ২৭৪ জন আক্রান্ত হয়। অর্থাৎ ওই মৌসুমে শীতজনিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্তের সংখ্যা ৪ লাখ ছাড়িয়ে যায়।
রোগতত্ত, রোগনির্ণয় ও রোগ গবেষণা কেন্দ্রের (আইইডিসিআর) উপদেষ্টা মুশতাক হোসেন সাবধানে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন।
তিনি ভোরের আকাশকে বলেন, সর্দি-কাশি ও জ্বর নিয়ে আতঙ্কের কিছুই নেই। চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলে কিছু ওষুধপত্র সেবন করলে কয়েকদিনের মধ্যেই সমস্যা কেটে যাবে। তবে করোনা ও কিছুসংখ্যক শীতজনিত রোগের বেশকিছু উপসর্গের মিল রয়েছে। আক্রান্ত রোগীর প্রয়োজনীয় চিকিৎসার বিষয়ে অবহেলা করা যাবে না। দেরি না করে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে। দ্রæত করাতে হবে করোনা টেস্ট। সাধারণ সর্দি-কাশি ও জ্বর ভেবে ঘরে বসে থাকা যাবে না।
মুশতাক হোসেন বলেন, শীতজনিত রোগগুলোর দায়ভার বর্তাচ্ছে করোনার ওপর। উপসর্গ মিল থাকায় পরীক্ষা করোনার আগ পর্যন্ত বিড়ম্বনায় পড়ছেন করোনা ও শীতজনিত রোগে আক্রান্তরা। বর্তমানে চলছে শীতজনিত রোগে মৌসুম। দেশের করোনা পরিস্থিতিরও প্রতিদিন অবনতি ঘটছে। তাই এসব বিষয়ে অবহেলা করা যাবে না।
ভোরের আকাশ/নি
মন্তব্য