জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. নরুল আলমের আশ্বাসে অবরোধ প্রত্যাহার করে নিয়েছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। রোববার দুুপুর সাড়ে ১২টার পরে অবরোধ প্রত্যাহার করেন তারা।
এর আগে, সকাল ৮টায় তিন দফা দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবন অবরোধ কর্মসূচি শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। পরে সকাল ৯টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আ স ম ফিরোজ-উল-হাসান হাসান অবরোধ স্থলে আসেন। এ সময় তিনি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন ও অবরোধ প্রত্যাহারের অনুরোধ করেন।
তবে অবরোধ চলিয়ে যান আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। এ অবস্থায় বেলা ১১টার দিকে উপাচার্য অধ্যাপক ড নুরুল আলম, উপউপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক শেখ মনজুরুল হক, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক রাশেদা আখতার অবরোধস্থলে আসেন। পরে উপাচার্য দাবি মেনে নেয়ার আশ্বাস দিলে অবরোধ প্রত্যাহার করেন শিক্ষার্থীরা।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হলো গণরুম-মিনি গণরুম উচ্ছেদ করে সব বৈধ ও নিয়মিত শিক্ষার্থীকে পড়ার টেবিলসহ সিট নিশ্চিত করা, অবিলম্বে সব নতুন হল খুলে দিয়ে কৃত্রিম আবাসন সংকটের অবসান করা, আসন বণ্টন ব্যবস্থাপনার সম্পূর্ণ দায়িত্ব হল প্রসাশনকে দেয়া।
অবরোধ প্রত্যাহারের বিষয়ে জাবি সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি সৌমিক বাগচি বলেন, উপাচার্য আমাদের দাবি মেনে নেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। আগামী ৭ কর্ম দিবসের মধ্যে তারা আমাদের দাবি মেনে নেবেন। উপাচার্যের দাবি মেনে নেয়ার আশ্বাসে আমরা অবরোধ প্রত্যাহার করলাম।
এ বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. নুরুল আলম বলেন, আগামীকালের মধ্যে প্রভোস্ট কমিটির মিটিং ডেকে গণরুম বিলুপ্তির বিষয়ে একটি কমিটি গঠন করব। কমিটি হল সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে সংকট সমাধানের জন্য কঠোর পদক্ষেপ নেবেন। আগামী ৭ কর্মদিবসের মধ্যে এই কমিটি গণরুম বিলুপ্তির ব্যাপারে দৃশ্যমান রোডম্যাপ তৈরি ও বাস্তবায়নে উদ্যোগ নেবে।
উল্লেখ্য, এর আগে গত ১৬ ফেব্রুয়ারি গণরুম সংস্কৃতি বাতিল করে শিক্ষার্থীদের বৈধ সিট নিশ্চিত করাসহ চারদফা দাবিতে মশাল মিছিল ও সমাবেশ করেন প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠনের নেতা-কর্মীরা।
সমাবেশে বক্তারা গণরুম সংস্কৃতি বাতিল করে প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের আবাসিক হলে বৈধ সিট দেয়ার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে ১ মার্চ পর্যন্ত আল্টিমেটাম দেয়া হয়েছিল।
ভোরের আকাশ/নি
মন্তব্য