২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষা ১০ মার্চ শুক্রবার অনুষ্টিত হচ্ছে। সকাল ১০ টায়শুরু হওয়া ভর্তি পরীক্ষা শেষ হবে বেলা ১১টায়।
সকাল ৮ থেকে পরীক্ষার্থী কেন্দ্রে আসতে শুরু করেন। সকাল সাড়ে ৯টার মধ্যে কেন্দ্রে প্রবেশ করেন। পরীক্ষা কেন্দ্রের প্রধান ফটক সকাল সাড়ে নয়টায় বন্ধ করে দেওয়া হয়।
স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর জানায়, বিগত বছরগুলোর তুলনায় এ বছর এমবিবিএসে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের আবেদন বেশি।
এদিকে বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ের সভাপক্ষে মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা সম্পর্কিত জরুরি তথ্যাদি তুলে ধরে মিডিয়া ব্রিফিং করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
তিনি জানান, এবছর মেডিকেলে ভর্তির জন্য আবেদন করেছেন এক লাখ ৩৯ হাজার ২১৭ জন। সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে ১০৮টি মেডিকেল কলেজে মোট আসন রয়েছে ১১ হাজার ১২২টি। সেই হিসাবে প্রতি আসনের বিপরীতে লড়বেন ১২ জন পরীক্ষার্থী। তবে শুধু সরকারি মেডিকেল কলেজে একটি আসনের বিপরীতে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৩২ জন। এক লাখ ৩৯ হাজার ২১৭ জনের মধ্যে ছেলে ৬৪ হাজার ২৬৪ জন অর্থাৎ ৪৬ দশমিক ১৬ শতাংশ এবং মেয়ে ৭৪ হাজার ৯৫৩ জন অর্থাৎ ৫৩ দশমিক ৮৪ শতাংশ।
দেশে ৩৭টি সরকারি মেডিকেলে এমবিবিএসে চার হাজার ৩৫০টি আসন রয়েছে। মেধা কোটায় তিন হাজার ৩৮৪ জন, জেলা কোটায় ৮৪৬ জন, মুক্তিযোদ্ধা কোটায় ৮৭ জন ও উপজাতি কোটায় ৩৩ জন ভর্তি হতে পারবেন।
দেশের ৭১টি বেসরকারি মেডিকেল কলেজে আসন রয়েছে ছয় হাজার ৭৭২টি। বেসরকারি মেডিকেলে ভর্তির ক্ষেত্রে কিছুটা পরিবর্তন আনার কথা জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
তিনি বলেন, এ বছর যারা পাস করে প্রাইভেট মেডিকেল কলেজে ভর্তি হবেন, সেখানে আমরা কিছুটা পরিবর্তন এনেছি। আগে পাস যতই করুক সবাই ইলিজেবল (ভর্তিযোগ্য) হতো। গত বছর ৮০ হাজার পাস করেছিল। ৮০ হাজারই ভর্তির যোগ্য ছিল। ভর্তির জন্য এ বছর আমরা সেটাকে কমিয়ে ওয়ান ইজ টু ফাইভ করেছি অর্থাৎ একটা সিটের জন্য পাঁচজন করে আমরা কনফিগারেশন করব মেরিট অনুযায়ী। অর্থাৎ তাতে ৩৩ হাজার ৮৬০ জন শিক্ষার্থীর মধ্য থেকে বেসরকারি ৬ হাজার ৭৭২টি সিটে ভর্তি হতে পারবে।
১৯ টি পরীক্ষা কেন্দ্রের ৫৭টি ভেন্যুর এক হাজার ৯৭৭টি কক্ষে ১০০ নম্বরের এমসিকিউ পরীক্ষা হচ্ছে।
মন্ত্রী জানান, ভর্তি পরীক্ষা নির্বিঘ্নে, সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ করার জন্য দেশের খ্যাতিমান শিক্ষক ও চিকিৎসকদের সমন্বয়ে ভর্তি পরীক্ষা পরিচালনা কমিটি, সাংবাদিক ও দেশের বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সমন্বয়ে ওভারসাইট কমিটি এবং অভিজ্ঞ মেডিকেল শিক্ষকদের সমন্বয়ে উপদেষ্টা কমিটি গঠন করা হয়। এছাড়া নম্বর সমতাকরণের জন্য আলাদাভাবে কমিটি গঠন করা হয়।
এর আগে এক বিজ্ঞপ্তিতে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর জানিয়েছে, ‘আবেদনপত্র প্রক্রিয়াকরণ, নিরীক্ষণ, উত্তরপত্র মূল্যায়ন, ফলাফল চূড়ান্তকরণ এবং পূনঃনিরীক্ষণ ডিজিটাল প্রক্রিয়ায় সম্পন্ন করা হবে। উত্তরপত্র ‘ওএমআর বা আইসিআর’ মেশিনে পরীক্ষা করা হবে’।
ভোরের আকাশ/আসা
মন্তব্য