কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চার সিনিয়র স্টাফ নার্সকে শ্লীলতাহানি ও যৌন নিপীড়নের অভিযোগে জেলার সিভিল সার্জন ডা. মাহবুবুর রহমান ও সাবেক সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (ইউএইচএফপিও) ডা. টিটু চন্দ্র শীলকে তলব করেছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় গঠিত তদন্ত কমিটি। আগামী ২৯ মার্চ সকাল ১১টায় স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের মিনি কনফারেন্স কক্ষে সাক্ষ্য প্রমাণাদিসহ স্বশরীরে উপস্থিত থাকার নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে। গত ২২ মার্চ স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব ডা. মো. শেখ ছাদেক স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, উপযুক্ত বিষয় ও সূত্রোক্ত স্মারকের প্রেক্ষিতে জানানো যাচ্ছে যে, কক্সবাজার জেলার সিভিল সার্জন ডা. মাহবুবুর রহমান এবং প্রাক্তন সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. টিটু চন্দ্র শীলের বিরুদ্ধে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত চারজন সিনিয়র স্টাফ নার্স কর্তৃক দায়েরকৃত তাদের শ্লীলতাহানি ও যৌন নিপীড়ন সংক্রান্ত অভিযোগের বিষয়ে উক্ত তদন্ত কমিটি কর্তৃক বর্ণিত স্থান, তারিখ ও সময়ে তদন্ত কার্য অনুষ্ঠিত হবে।
আগামী ২৯ মার্চ সকাল ১১টায় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের মিনি কনফারেন্স কক্ষে সাক্ষ্য প্রমাণাদিসহ উপস্থিত থাকার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।
নার্সদের অভিযোগ, গত ২৬ জানুয়ারি সেন্টমার্টিনে টেলি মেডিসিন সেন্টার উদ্বোধনকালে তৎকালীন সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. টিটু চন্দ্র শীল নার্সদের কু-প্রস্তাব দেন। এ সময় প্রস্তাবে রাজি না হলে তাদের বিভিন্ন হয়রানি ও ভয়-ভীতি দেখালে নার্সরা সেখান থেকে পালিয়ে আসতে বাধ্য হন। পরে বিষয়টি তারা (নার্সরা) বাংলাদেশ ডিপ্লোমা নার্সেস অ্যাসোসিযয়েশন (বিডিএনএ) কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী পরিষদকে অবহিত করে। এরপর গত ২ ফেব্রুয়ারি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক মো. শামিউল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে ডা. টিটু চন্দ্র শীলকে পটুয়াখালী মির্জাগঞ্জ কাঠালতলী ২০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে ভারপ্রাপ্ত আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) হিসেবে বদলি করা হয়। অভিযোগ রয়েছে ডা. টিটু চন্দ্র শীল কক্সবাজার জেলা সিভিল সার্জন ডা. মাহবুবুর রহমানের ঘনিষ্ট হিসেবে পরিচিত।
অভিযোগের বিষয়ে কক্সবাজার জেলা সিভিল সার্জন ডা. মাহবুবুর রহমান বলেন, কোভিডকাল থেকে (১৯ জানুয়ারি ২০২০) থেকে আমি কক্সবাজারে কাজ করছি। আমার বিরুদ্ধে কেউ কখনো নেতিবাচক কোনো অভিযোগ করতে পারেনি। এইগুলো আমার নামে কেন ছড়ানো হচ্ছে আমি জানি না।
তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার সারাদিন মিটিংয়ে ছিলাম। অফিসিয়াল মেইল চেক করিনি। সরকারি চাকরি করি। সরকারের আদেশ নির্দেশ তো মানতে হবে। আমি অবশ্যই তদন্ত কমিটির ডাকে সাড়া দিয়ে উপস্থিত হবো।
ভোরের আকাশ/আসা
মন্তব্য