-->

অগ্নিকান্ডের ঝুঁকিতে ঢামেক

নিজস্ব প্রতিবেদক
অগ্নিকান্ডের ঝুঁকিতে ঢামেক

ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বিভিন্ন বিভাগ অগ্নিকান্ডের ঝুঁকিতে রয়েছে বলে মনে করছেন পরিদর্শনে আসা ফায়ার সার্ভিস একটি দল।

 

বুধবার হাসপাতালের বিভিন্ন জায়গা ঘুরে ঘুরে পরিদর্শন করে অগ্নিকান্ডের বিভিন্ন ত্রুটি দেখতে পেয়ে সাংবাদিকদের এমন কথা বলেন ফায়ার সার্ভিসের দলটি।

 

এ সময় ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে আসা দলটি হাসপাতালের বিভিন্ন বিভাগকে অগ্নিকান্ডের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় পেয়েছেন। এ সময় রাষ্ট্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার একটি টিমও উপস্থিত ছিল।

 

ফায়ার সার্ভিস সদর দপ্তরের (পরিদর্শক) পলাশ চন্দ্র মোদক বলেন, ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বিভিন্ন বিভাগ পরিদর্শন করেছি।

 

সঙ্গে জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার একটি টিমও ছিল। হাসপাতালের জেনারেটর কক্ষের পাশে অক্সিজেন কক্ষ পরিদর্শন করেছি।

 

তিনি বলেন, এখানে কোনো নিয়ম না মেনেই চলছে সবকিছু। জেনারেটর কক্ষে রাতে লোক ঘুমিয়ে থাকে। ভেতরে হিটার দিয়ে রান্না করে খায়। এটা অবশ্যই বেআইনি কাজ এবং সবার জন্যই ঝুঁকিপূর্ণ।

 

পলাশ চন্দ্র মোদক বলেন, হাসপাতালে রোগীদের খাবার রান্না করার স্থানে গিয়ে দেখলাম, সেখানে কোনো দুর্ঘটনা হলে কারো বাইরে বের হওয়ার সুযোগ নেই। এমনকি ছাদের পলেস্তারাও খসে পড়েছে। হাসপাতালের বিদ্যুতের সাবস্টেশনগুলোও চলছে নিয়ম না মেনেই। অনেক জায়গায় আগুন নেভানোর কোনো যন্ত্র নেই। যেগুলো আছে তার মধ্যে বেশিরভাগই অকেজো।

 

ফায়ার সার্ভিস পরিদর্শক বলেন, সব মিলিয়ে আমাদের কাছে ‘ঢামেক হাসপাতাল অগ্নিকান্ডের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ’ বলেই মনে হচ্ছে। আমরা হাসপাতালের ওয়ার্ড মাস্টারসহ কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলেছি এবং তাদের পরামর্শ দেয়া হয়েছে।

 

হাসপাতালের নতুন ভবনের নিচতলায় ডা. ক্যান্টিনে গিয়ে একই অবস্থা দেখা যায় উল্লেখ করে পলাশ চন্দ্র মোদক বলেন, সেখানে রান্নাঘরের ভেতর দিয়ে একটি জরুরি বের হওয়ার দরজা থাকলেও সেটি বন্ধ করে রাখা হয়েছে। খাবার-দাবারের পরিবেশও খুবই খারাপ। আগুন নেভানোর কোনো যন্ত্রও ছিল না সেখানে।

 

এ বিষয়ে ঢামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাজমুল হক বলেন, একটি গোয়েন্দা সংস্থা ও ফায়ার সার্ভিস তাদের কার্যক্রমের অংশ হিসেবে হাসপাতাল পরিদর্শনে এসেছিলেন। আমাদের বড় ধরনের প্রতিষ্ঠান কেপিআই পরিদর্শন করতে এসেছিলেন।

 

উনাদের পরামর্শ অনুযায়ী আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করি। তিনি আরো বলেন, আমাদের অবহেলা আছে, তা না। প্রতি বছর ফায়ার সার্ভিস থেকে মহড়া হয়।

 

তাদের পরামর্শ অনুযায়ীই কাজ করা হবে।

 

ভোরের আকাশ/নি 

মন্তব্য

Beta version