নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র (আইসিইউ) জীবাণুমুক্তকরণ এবং শীতাতপনিয়ন্ত্রণ (এসি) যন্ত্রের কিছু কারিগরি সমস্যার কারণে রাজধানীর জাতীয় হৃদ্রোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে হৃদ্যন্ত্রের অপারেশন (কার্ডিয়াক সার্জারি) ১৪ দিন বন্ধ ছিল। অবশেষে মঙ্গলবার অপারেশন শুরু হয়েছে।
হৃদ্রোগ ইনস্টিটিউট হৃদ্রোগের জন্য দেশের সবচেয়ে বড় বিশেষায়িত হাসপাতাল। আইসিইউ বন্ধ থাকায় পবিত্র ঈদুল ফিতরের আগে থেকে তাদের কার্ডিয়াক সার্জারি বন্ধ ছিল। যদিও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, আইসিইউ আংশিক চালু ছিল।
জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীর জামাল উদ্দিন ভোরের আকাশকে জানান, সরকার ঘোষিত ঈদের ছুটির পূর্ব পর্যন্ত জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে কার্ডিয়াক সার্জারি অপারেশেন চালু ছিল।
গত ১৮ থেকে ২৩ এপ্রিল পর্যন্ত সরকারি ঘোষিত ঈদের ছুটিকালীন সাধারণ সিডিউল সার্জারি অপারেশন করা হয় না। প্রতি বছর অপারেশন থিয়েটার ও আইসিইউকে জীবাণুমুক্ত ও পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করতে হয়। ঈদের ছুটিকালীন আইসিইউ বন্ধ রেখে জীবাণুমুক্ত করা হয়।
ঈদের ছুটি শেষে ২৪ এপ্রিল থেকে হাসপাতালের স্বাভাবিক কার্যক্রম চালু হয়। আইসিইউতে স্থাপিত এসির কারিগরি ত্রুটির কারণে ২৪ এপ্রিল হতে সাময়িক ভাবে কার্ডিয়াক সার্জারি অপারেশন বন্ধ ছিল। হাসপাতালে ছুটিকালীন সময়ে সকল প্রকার জরুরি সেবা অব্যাহত ছিল এবং আছে।
গত ৩০ এপ্রিল আইসিইউতে স্থাপিত এসিগুলো মেরামতপূর্বক চালু হয়।
পরিচালক বলেন, বিশেষত কার্ডিয়াক সার্জনেরা অপারেশনের জন্য রোগী প্রস্তুত করেন। গত পহেলা মে সরকারি ছুটি থাকায় ২ এপ্রিল পুনরায় কার্ডিয়াক সার্জারীর অপারেশন চালু হয়েছে এবং ইতোমধ্যে তিনজন রোগীর অপারেশন হয়েছে। রোগীরা হলেন বিলকিস বানু(৫৫),নজরুল ইসলাম(৫৫) ও মালতি রানী(৩৩)।
ইনস্টিটিউটের কার্ডিয়াক সার্জারি বিভাগের প্রধান এ কে এম মনজুরুল আলম ভোরের আকাশকে বলেন, আজ তিনজন রোগীর চারটি অস্ত্রোপচার হয়েছে। সকাল সাড়ে সাতটা থেকে অস্ত্রোপচার কার্যক্রম শুরু হয়।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, পবিত্র ঈদুল ফিতরের আগে থেকেই আইসিইউর এসি ঠিকমতো কাজ করছিল না; তাই অস্ত্রোপচার বন্ধ রাখা হয়েছিল। কারণ, অস্ত্রোপচার করার পরপরই একজন রোগীকে কিছুদিন আইসিইউতে রাখতে হয়।
এই হাসপাতালে শয্যা আছে ১ হাজার ২৫০টি। এখানে গড়ে দেড় হাজার করে রোগী ভর্তি থাকেন। হাসপাতালে কার্ডিয়াক সার্জারি ইউনিটে দিনে গড়ে সাতজন রোগীর অস্ত্রোপচার করা হয়।
ভোরের আকাশ/নি
মন্তব্য