রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে বলে মেডিকেল বোর্ড সূত্রে জানা গেছে। ভর্তি হওয়ার পর খালেদা জিয়ার শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার কিছু রিপোর্ট পর্যালোচনা করা হয়েছে। বাকি রিপোর্টগুলো বুধবার পর্যালোচনা করা হবে। এরপর এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে তার বাসায় ফেরার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে।
বিএনপির চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শামসুদ্দিন দিদার জানান, ম্যাডামের স্বাস্থ্যের অবনতি কিংবা উন্নতি কোনোটাই নেই। তিনি আগের মতোই আছেন। আগামীকাল (বুধবার) চিকিৎসকরা তার স্বাস্থ্যের পরীক্ষা করবেন। এরপরই হয়তো জানা যাবে ম্যাডাম কবে বাসায় ফিরবেন।
৭৮ বছর বয়েসী খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে আর্থাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, লিভারসহ নানা রোগে ভুগছেন। অসুস্থতার মধ্যে গুলশানে ‘ফিরোজা‘য় চিকিৎসকদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে তার চিকিৎসা চলছিল। তবে তার জন্য গঠিত মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শে গত ২৯ এপ্রিল তাকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তার বিভিন্ন পরীক্ষা করানোর জন্য। যেসব পরীক্ষা বাসায় রেখে করানো সম্ভব ছিল না। এরপর থেকে হাসপাতালের কেবিনে চিকিৎসকদের ‘নিবিড় পর্যবেক্ষণে’ রেখে খালেদা জিয়ার চিকিৎসা চলছে।
এভারকেয়ার হাসপাতালের বিশেষ চিকিৎসক অধ্যাপক সাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের নিয়ে গঠিত একটি মেডিক্যাল বোর্ডের তত্ত্বাবধায়নে চিকিৎসাধীন আছেন খালেদা জিয়া। মেডিকেল বোর্ডের অপরাপর সদস্যরা হলেন-অধ্যাপক এফএম সিদ্দিকী, অধ্যাপক নুর উদ্দিন আহমেদ, অধ্যাপক শামসুল আরেফিন, অধ্যাপক একিউএম মহসিন, অধ্যাপক শেখ ফরিদ উদ্দিন আহমেদ, অধ্যাপক জিয়াউল হক এবং অধ্যাপক সাদেকুল ইসলাম। এ ছাড়া লন্ডন থেকে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সহধর্মিণী ডা. জোবাইদা রহমানসহ অস্ট্রেলিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের কয়েকজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক বিএনপি চেয়ারপারসনের মেডিকেল বোর্ডে রয়েছেন।
এভারকেয়ার হাসপাতালে খালেদা জিয়াকে সার্বক্ষণিক দেখাশোনা করছেন প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোর সহধর্মিণী শর্মিলা রহমান সিঁথি। লন্ডন থেকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও জোবাইদা রহমান সবসময় খোঁজ রাখবেন বলে জানান অধ্যাপক জাহিদ। সর্বশেষ গত ২৭ ফেব্রুয়ারি স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য বিএনপি চেয়ারপারসন এভারকেয়ার হাসপাতালে যান।
ভোরের আকাশ/আসা
মন্তব্য