স্বাস্থ্যসেবার মান উন্নয়নে সরকার নানা পদক্ষেপ নিলেও কিছু ক্ষেত্রে এখনও রোগীর সেবায় চিকিৎসকদের আন্তরিকতা অভাব দেখা যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য সচিব ড. মুহাম্মদ আনোয়ার হোসেন হাওলাদার।
বুধবার রাজধানীর ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে ন্যাশনাল কনফারেন্স ২০২৩: সেক্সুয়াল অ্যান্ড রিপ্রোডাকটিভ হেলথ অ্যান্ড রাইটস বিষয়ক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। অ্যাডসার্চ ও আইসিডিডিআরবি যৌথভাবে এ কনফারেন্সের আয়োজন করে।
কনফারেন্সে যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য এবং অধিকার ও উদ্ভাবন নিয়ে দুটি বৈজ্ঞানিক সেশনের আয়োজন করা হয়। এই উৎসবে তরুণ গবেষকরা যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য এবং অধিকার নিয়ে তাদের ‘গবেষণা ধারণাপত্র’ ও ‘উদ্ভাবনী প্রস্তাবনা’ তুলে ধরেন।
সম্মেলনের উদ্বোধনী পর্বে বাংলাদেশের যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য বিস্তারে অসামান্য অবদান রাখার স্বীকৃতি স্বরূপ তিনজন বিশিষ্টজনকে ‘এসআরএইচআর এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড-২০২৩’ প্রদান করা হয়।
স্বাস্থ্য সচিব বলেন, কোন কোন হাসপাতালে এমন হয়, চিকিৎসক গল্প করছেন, রোগীর প্রতি মনযোগ দিচ্ছেন না, এই দেখছি, এমনটা যেন অহেতুক না হয়। আমরা সবাই এটার প্রতি খেয়াল রাখবো। তাহলে আমার মনে হয় আজকের বিষয়টা অর্জিত হবে।
যৌন এবং প্রজনন স্বাস্থ্য মানুষের ব্যক্তিগত অধিকার বলে উল্লেখ করে স্বাস্থ্যসচিব বলেন, যৌন এবং প্রজনন স্বাস্থ্য প্রত্যেকের ব্যক্তিগত অধিকার। কাজেই সে এটা পাওয়ার হকদার। অতএব আমাদের হাসপাতাল এবং প্রতিষ্ঠানগুলোতে সেই ধরনের পরিবেশ তৈরি করতে হবে, যেখানে গেলে তারা স্বস্তিবোধ করে। এমন যেন না হয়, সেখানে গেলে তারা অহেতুক হয়রানির শিকার হয়।
গবেষণার প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করে স্বাস্থ্য সচিব আরও বলেন, যেখানে গবেষণা বিষয়ক ফলাফল অনুষ্ঠিত হয় কষ্ট হলেও আমি সেখানে যাই। গবেষণা আমাদের জন্য খুবই অপরিহার্য। হেলথ সেক্টরের গবেষণায় আমরা খুব ভালো একটা অবস্থানে নেই। এটা আমরা সবাই স্বীকার করি। যারা বিশেষজ্ঞ তারা কেন গবেষণায় আগ্রহী হচ্ছে না, এটা আমাদেরকে ভেবে দেখতে হবে।
আমরা আমাদের কর্মক্ষেত্রে বসেও বিভিন্ন ধরনের গবেষণা করতে পারি। আশা করি আপনারা বিষয়টা গুরুত্ব দিবেন।
ভোরের আকাশ/নি
মন্তব্য