-->
বিশ্ব উচ্চরক্তচাপ দিবস আজ

নিয়মিত ওষুধ সেবনে অনীহা, নিয়ন্ত্রণে ১৪ শতাংশের

আরিফ সাওন
নিয়মিত ওষুধ সেবনে অনীহা, নিয়ন্ত্রণে ১৪ শতাংশের

আরিফ সাওন: ইব্রাহিম পাইক (৬৮)। বাড়ি বাগেরহাটের কচুয়া উপজেলার আফরা গ্রামে। বেশ কিছুদিন ধরে অসুস্থ বোধ করছিলেন তিনি। শরীর খুব দুর্বল। মাথাব্যথা, বমি বমি ভাব। বুকে ব্যথা অনুভূত হচ্ছিল। বাজারের ফার্মেসি থেকে নাপাসহ বমির ওষুধ কিনে খাচ্ছিলেন। কিন্তু পরিবর্তন হচ্ছিল না। পরে সাইনবোর্ড ক্লিনিকে মেডিসিনের একজন চিকিৎসক দেখান।

 

ওই চিকিৎসক বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে জানান, ইব্রাহিম পাইকের উচ্চরক্তচাপ। চিকিৎসক উচ্চরক্তচাপের ওষুধ লিখে দেন। ব্যবস্থাপত্রে তিনি নির্দেশনায় লিখে দেন ওই ওষুধ চলবে। কয়েকদিন খাওয়ার পর তার শরীরিক অবস্থার উন্নতি হয়। মাসখানেক খাওয়ার পর ইব্রাহিম পাইক ওষুধ খাওয়া বন্ধ করে দেন।

 

কিছুদিন পর আবার আরো বেশি সমস্যা দেখা দেয়। তখন ওই চিকিৎসকের কাছে গেলে তিনি ইব্রাহিম পাইককে জানান, ওই ওষুধ বন্ধ করার জন্য সমস্যা হয়েছে। ওষুধ বন্ধ করা যাবে না। নিয়মিত খেতে হবে। নিয়মিত না খেলেই সমস্যা হবে।

 

উচ্চরক্তচাপের ওষুধ নিয়মিত না খেলে যে সমস্যা হয়, এটা ইব্রাহিম জানেন না। চিকিৎসকের কাছে জানার পরও ওষুধ খেতে তার অনীহা। শুধু ইব্রাহিম নয়; অনেকেই আছেন যারা জানেনই না, তাদের উচ্চরক্তচাপ। আর জানার পরও নিয়মিত ফলোআপ করেন না। ওষুধ নিয়মিত খান না। ফলে তাদের উচ্চরক্তচাপ নেই নিয়ন্ত্রণে। নিয়ন্ত্রণে না থাকার কারণে ঘটছে দুর্ঘটনা। হচ্ছে অকাল মৃত্যু।

 

‘বাংলাদেশ এনসিডি স্টেপস সার্ভে, ২০১৮’ অনুযায়ী ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে জনগোষ্ঠীর মধ্যে ২১ শতাংশ (নারী ২৪.১%, পুরুষ ১৭.৯%) উচ্চরক্তচাপে আক্রান্ত। এদের মধ্যে ওষুধ গ্রহণের মাধ্যমে রোগটি নিয়ন্ত্রণে রেখেছেন মাত্র ১৪ শতাংশ অর্থাৎ প্রতি ৭ জনে একজনেরও কম।

 

উচ্চরক্তচাপে আক্রান্ত অর্ধেক নারী (৫১%) এবং দুই-তৃতীয়াংশ পুরুষই (৬৭%) জানেন না যে, তাদের উচ্চরক্তচাপ রয়েছে। উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত অধিকাংশ রোগীই (৬৪%) কোনো ওষুধ সেবন করেন না।

 

বিশেষজ্ঞরা বলছেন উচ্চরক্তচাপের চিকিৎসা করা না হলে এটি ধমনি এবং মানবদেহের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের মারাত্মক ক্ষতিসাধন করে। এমনকি ধমনি শক্ত হয়ে হৃৎপিন্ডে রক্ত ও অক্সিজেনের প্রবাহ হ্রাস পেতে পারে। ফলে বুকে ব্যথা বা অ্যানজাইনা, হার্ট অ্যাটাক, হার্ট ফেইল এবং হার্টবিট অনিয়মিত হতে পারে। উচ্চরক্তচাপের কারণে মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ অর্থাৎ স্ট্রোক হতে পারে।

 

এছাড়াও উচ্চ রক্তচাপের কারণে কিডনি ক্ষতিগ্রস্ত হয়, এমনকি বিকলও হয়ে যেতে পারে।

 

গ্লোবাল বারডেন অব ডিজিজ স্টাডি (জিবিডি), ২০১৯-এর তথ্য অনুযায়ী বাংলাদেশে মৃত্যু এবং পঙ্গুত্বের প্রধান তিনটি কারণের একটি উচ্চরক্তচাপ। বাংলাদেশে বছরে ২ লাখ ৭৭ হাজার মানুষ হৃদরোগজনিত অসুস্থতায় মারা যায়, যার অন্যতম প্রধান কারণ উচ্চরক্তচাপ।

 

ডব্লিউএইচওর তথ্যমতে, বাংলাদেশে প্রতিবছর ৫ লক্ষাধিক মানুষ অসংক্রামক রোগে মৃত্যুবরণ করেন, যার প্রায় অর্ধেক হৃদরোগজনিত।

 

অন্যদিকে ‘বাংলাদেশ ডেমোগ্রাফিক অ্যান্ড হেলথ সার্ভে ২০১৭-১৮’ অনুযায়ী, ২০১১ থেকে ২০১৭-১৮ সাল সময়ের মধ্যে ৩৫ বছর ও তদূর্ধ্ব জনগোষ্ঠীর মধ্যে উচ্চরক্তচাপের প্রকোপ উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে, পুরুষের মধ্যে ২০ শতাংশ থেকে বেড়ে ৩৪ শতাংশ এবং নারীর ক্ষেত্রে এই হার ৩২ শতাংশ থেকে ৪৫ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।

 

অতিরিক্ত ওজন বা স্থূলতা রয়েছে এমন নারী এবং পুরুষের মধ্যে উচ্চরক্তচাপে আক্রান্ত হওয়ার হার যথাক্রমে ৪৯% এবং ৪২%, যেখানে স্বাভাবিক ওজনের নারী এবং পুরুষের মধ্যে এই হার যথাক্রমে ২৫% এবং ২৪%।

 

গবেষণার ফলাফল অনুযায়ী, প্রতি ১০টি স্বাস্থ্যকেন্দ্রের ৭টিতে উচ্চরক্তচাপজনিত চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হয়। তবে উচ্চরক্তচাপ নির্ণয় ও ব্যবস্থাপনা গাইডলাইন রয়েছে মাত্র ১৭ শতাংশ স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। প্রশিক্ষিত কর্মী রয়েছে মাত্র ২৯ শতাংশ স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রে। ২০২০ সালে বাংলাদেশে উচ্চরক্তচাপে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা ছিল ৩ কোটি, যা ২০৩০ সাল নাগাদ গিয়ে দাঁড়াবে ৩ কোটি ৮০ লাখ।

 

উচ্চরক্তচাপ মোকাবিলায় সরকার বেশকিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। অসংক্রামক রোগ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণের জন্য বহুখাতভিত্তিক কর্মপরিকল্পনা ২০১৮-২০২৫ তৈরি করেছে যেখানে অসংক্রামক রোগ প্রতিরোধে বৈশ্বিক লক্ষ্যমাত্রা অনুসরণ করে ২০২৫ সালের মধ্যে উচ্চ রক্তচাপের প্রাদুর্ভাব তুলনামূলকভাবে ২৫ শতাংশ কমানোর জাতীয় লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

 

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অধীন অসংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি (এনসিডিসি) ও ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশ (এনএইচএফবি) উচ্চরক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে ২০১৮ সাল থেকে বৈশ্বিক জনস্বাস্থ্যবিষয়ক অলাভজনক সংস্থা রিজলভ টু সেভ লাইভস (আরটিএসএল)-এর সহযোগিতায় যৌথভাবে একটি পাইলট প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে, যার উদ্দেশ্য প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রে উচ্চরক্তচাপ শনাক্ত করা, চিকিৎসা প্রদান এবং ফলোআপ কার্যক্রম শক্তিশালী করা।

 

কর্মসূচিটি দেশের ৫১টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সফলভাবে বাস্তবায়ন করা হয়েছে। এই কর্মসূচির আওতায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হার্টস টেকনিক্যাল প্যাকেজের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে রোগীদের উচ্চরক্তচাপ সেবা প্রদান করা হয়ে থাকে।

 

যার মধ্যে রয়েছে সেবা প্রদান এবং সেবা গ্রহণের ধারবাহিকতা ঠিক রাখতে উচ্চরক্তচাপ চিকিৎসায় সহজ ট্রিটমেন্ট প্রটোকলের সঙ্গে সুনির্দিষ্ট ওষুধ, প্রয়োগ মাত্রা এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা; টিমভিত্তিক সেবা প্রদান এবং টাস্ক শেয়ারিং; সাশ্রয়ী মূল্যের এবং ভালো মানের ওষুধ সরবরাহ চালু রাখা; রোগীকেন্দ্রিক সেবা প্রদান যেমন সহজে গ্রহণ করা যায় এমন ওষুধের ব্যবস্থা, বিনামূল্যে ওষুধ প্রদান ও নিয়মিত ফলোআপ করা এবং কার্যকরী স্বাস্থ্য তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের খোঁজ রাখা এবং সেবার মানের দ্রুত উন্নতি সাধন করা।

 

কর্মসূচির আওতায় ডিসেম্বর, ২০২২ পর্যন্ত নিবন্ধিত প্রায় ১ লাখ ৪৭ হাজার রোগীর মধ্যে ৫২ শতাংশই উচ্চরক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সক্ষম হয়েছেন। সাফল্যের এই হার জাতীয় গড়ের প্রায় চারগুণ। উচ্চরক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে প্রকল্পটি আরো সফল করতে সম্প্রতি সিলেট জেলার ৪টি উপজেলার (গোলাপগঞ্জ, ফেঞ্চুগঞ্জ, বিশ্ব নাথ এবং বিয়ানীবাজার) ৮টি কমিউনিটি ক্লিনিক থেকে সরকারিভাবে বিনামূল্যে উচ্চরক্তচাপের ওষুধ প্রদান করা হচ্ছে।

 

অনুকরণযোগ্য মডেল হিসেবে দেশব্যাপী এই প্রকল্পটি সম্প্রসারণ করা গেলে উচ্চরক্তচাপের প্রকোপ অনেকাংশে কমিয়ে আনা সম্ভব হবে এবং স্বল্প খরচেই হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক, কিডনি বিকল হওয়ার মতো ব্যয়বহুল রোগ প্রতিরোধের মাধ্যমে অসংখ্য জীবন বাঁচানো যাবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

 

এ বিষয়ে কমিউনিটি ক্লিনিক হেলথ সাপোর্ট ট্রাস্টের সহসভাপতি ডা. মাখদুমা নার্গিস বলেন, ‘উচ্চ রক্তচাপ মোকাবিলায় কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে চিকিৎসাসেবা প্রদানের পাশাপাশি প্রতিরোধ ব্যবস্থা জোরদার করতে হবে।’

 

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কমিউনিটি বেইজড হেলথ কেয়ার (সিবিএইচসি) এর লাইন ডিরেক্টর ডা. মো. কাইয়ুম তালুকদার বলেন, ‘কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে উচ্চরক্তচাপ ও ডায়াবেটিসের চিকিৎসা প্রদানের ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি রয়েছে। ইতোমধ্যে কমিউনিটি ক্লিনিক থেকে উচ্চরক্তচাপ ও ডায়াবেটিসের ওষুধ প্রদানের ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বরাবর একটি প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। আশা করি এটি দ্রুত পাস হবে।’

 

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্ডিওলজি বিভাগের অধ্যাপক ডা. এস এম মোস্তফা জামান জানান, ‘উচ্চরক্তচাপ ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে যে গাইডলাইন রয়েছে, তা বাস্তবায়ন করতে হবে। সম্মিলিতভাবে কাজ করলে উচ্চ রক্তচাপের প্রকোপ মোকাবিলা করা সম্ভব।’

 

এদিকে বিশ্ব উচ্চরক্তচাপ দিবস উপলক্ষে মঙ্গলবার রাজধানীর বিএমএ ভবনে অ্যাডভোকেসি ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান প্রজ্ঞা (প্রগতির জন্য জ্ঞান) এক আলোচনা সভার আয়োজন করে। ‘বাংলাদেশে উচ্চরক্তচাপ পরিস্থিতি ও করণীয়’ শীর্ষক এক আলোচনা সভা আয়োজনে সহযোগিতা করেছে গ্লোবাল হেলথ অ্যাডভোকেসি ইনকিউবেটর (জিএইচএআই)।

 

এ বছর বিশ্ব উচ্চরক্তচাপ দিবসের প্রতিপাদ্য ‘সঠিকভাবে রক্তচাপ মাপুন, নিয়ন্ত্রণে রাখুন এবং দীর্ঘজীবী হোন’।

 

সেখানে বক্তারা বলেন, বাংলাদেশে উচ্চ রক্তচাপ পরিস্থিতি অত্যন্ত উদ্বেগজনক, প্রাপ্তবয়স্কদের প্রতি ৫ জনে ১ জন উচ্চ রক্তচাপে ভুগছেন। কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোতে উচ্চ রক্তচাপের ওষুধের প্রাপ্যতা এবং এজন্য প্রয়োজনীয় বাজেট বরাদ্দ নিশ্চিত করা অত্যন্ত জরুরি।

 

কমিউনিটি ক্লিনিক হেলথ সাপোর্ট ট্রাস্টের সহসভাপতি ডা. মাখদুমা নার্গিস, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কমিউনিটি বেইজড হেলথ কেয়ার (সিবিএইচসি)-এর লাইন ডিরেক্টর ডা. মো. কাইয়ুম তালুকদার, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্ডিওলজি বিভাগের অধ্যাপক ডা. এস এম মোস্তফা জামান সভায় বক্তৃতা করেন।

 

আলোচক হিসেবে আরো উপস্থিত ছিলেন ব্র্যাক জেমস পি গ্রান্টস স্কুল অব পাবলিক হেলথের অধ্যাপক ডা. মলয় কান্তি মৃধা, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বাংলাদেশ অফিসের ন্যাশনাল প্রফেশনাল অফিসার ডা. ফারজানা আক্তার ডরিন এবং এনটিভির হেড অব নিউজ অ্যান্ড কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স জহিরুল আলম।

 

উচ্চরক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ বিষয়ে মূল উপস্থাপনা তুলে ধরেন ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনের ইপিডেমিওলজি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. সোহেল রেজা চৌধুরী এবং প্রজ্ঞার উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ বিষয়ক কর্মসূচি প্রধান হাসান শাহরিয়ার। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জিএইচএআই বাংলাদেশ কান্ট্রি লিড মুহাম্মাদ রূহুল কুদ্দুস।

 

বিশ্ব পরিস্থিতি: ডব্লিউএইচও এবং ইমপেরিয়াল কলেজ লন্ডন-এর যৌথ গবেষণার ফলাফল বলছে, বিগত ৩০ বছরে (১৯৯০-২০১৯) বিশ্বে ৩০-৭৯ বছর বয়সি জনগোষ্ঠীর মধ্যে উচ্চরক্তচাপে আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যা ৬৫ কোটি থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ১২৮ কোটিতে দাঁড়িয়েছে। যদিও এ সময়ে আক্রান্ত হওয়ার হার খুব একটা পরিবর্তন হয়নি তবে উচ্চ রক্তচাপের প্রকোপ ধনী দেশগুলো থেকে কমে নিম্ন এবং মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে বৃদ্ধি পেয়েছে।

 

গবেষণার তথ্যমতে, উচ্চরক্তচাপে আক্রান্ত একশ কোটিরও বেশি মানুষের (৮২%) বসবাস নিম্ন এবং মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে, যা অত্যন্ত উদ্বেগজনক।

 

উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত ৪৬ শতাংশ রোগী জানে না যে, তার উচ্চরক্তচাপ রয়েছে। উচ্চরক্তচাপে আক্রান্ত ৭২ কোটি অর্থাৎ অর্ধেকেরও বেশি রোগী (৫৩% নারী এবং ৬২% পুরুষ) প্রয়োজনীয় চিকিৎসা পায় না।

 

ভোরের আকাশ/নি 

মন্তব্য

Beta version