প্রধানমন্ত্রী প্রতিশ্রুত তামাকমুক্ত বাংলাদেশ অর্জনে ‘ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০০৫ (২০১৩ সালে সংশোধিত)’ সংশোধনের বিকল্প নেই। তাই আইনটিকে বৈশ্বিক মানদণ্ডে উন্নীত করতে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবিত সংশোধনীটি আসন্ন জাতীয় সংসদ অধিবেশনে পাশ করার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ মেডিক্যাল এসোসিয়েশেন (বিএমএ)- ময়মনসিংহ জেলার নেতৃবৃন্দ।
রোববার (২৮ মে) ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের সভাকক্ষে বাংলাদেশ মেডিক্যাল এসোসিয়েশন (বিএমএ)-ময়মনসিংহ জেলা এবং ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশ আয়োজিত ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী প্রতিশ্রুত ২০৪০ সালের মধ্যে তামাকমুক্ত বাংলাদেশ অর্জনের লক্ষ্যে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনের দাবি’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় বক্তারা এ দাবি জানান।
বিএমএ ময়মনসিংহ জেলা পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ডা. মতিউর রহমান ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতাল অ্যান্ড রিসার্চ ইন্সটিটিউটের রেজিস্ট্রার (ক্লিনিক্যাল রিসার্চ) ডা. শেখ মোহাম্মদ মাহবুবুস সোবহান।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে প্রায় পৌনে চার কোটি প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ তামাক ব্যবহার করে। কর্মক্ষেত্রসহ পাবলিক প্লেস ও গণপরিবহনে পরোক্ষ ধূমপানের শিকার হয় ৩ কোটি ৮৪ লক্ষ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ।
তামাকজাত দ্রব্যের বহুল ব্যবহার হৃদরোগ, ক্যান্সার, বক্ষব্যাধি এবং অন্যান্য অনেক প্রতিরোধযোগ্য রোগ এবং মৃত্যুর অন্যতম প্রধান কারণ। তামাকের এসব ক্ষতি থেকে জনস্বাস্থ্যকে রক্ষার জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় প্রস্তাবিত তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনের বিকল্প নেই।
বিএমএ’র কেন্দ্রীয় কমিটির দপ্তর সম্পাদক অধ্যাপক ডা. মোহা. শেখ শহীদ উল্লাহ বলেন, সাধারণত বিএমএ চিকিৎসকদের নিয়ে কাজ করলেও জনস্বাস্থ্যকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে থাকে। তাই তামাকের ভয়াবহতা থেকে জনস্বাস্থ্যকে রক্ষা করার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুত তামাকমুক্ত বাংলাদেশ বাস্তবায়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে বিএমএ। তামাকমুক্ত বাংলাদেশ বাস্তবায়নে সমাজের সবস্তরের মানুষের একযোগে কাজ করতে হবে।
বিএমএ’র কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক ডা. মো. তারিক মেহেদী পারভেজ বলেন, দেশের সাধারণ মানুষকে রক্ষায় তামাক নিয়ন্ত্রণ করতেই হবে। তামাকের ক্ষতিকর বিষয়গুলো বিবেচনায় নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০৪০ সালের মধ্যে তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকার করেন। তার অঙ্গীকার বাস্তবায়নে বিএমএ ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করছে।
এ ছাড়া তামাক নিয়ন্ত্রণ করতে পারলে এদেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা উন্নত হবে।
এ সময় মতবিনিময় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. আব্দুল কাদের, বিভাগীয় পরিচালক, (স্বাস্থ্য) ময়মনসিংহ ডা. শফিউর রহমান, ডা. শাহেদ ইমরান, ডা. মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুনসহ জেলা বিএমএর নেতৃবৃন্দ।
ভোরের আকাশ/নি
মন্তব্য