অতিরিক্ত রক্তক্ষরনে মারা গেছে মাহবুবা রহমান আখি(২৫)। পরীক্ষা নিরিক্ষার জন্য মৃতদেহ থেকে বিভিন্ন অর্গান রাখা হয়েছে। সেগুলোর রিপোর্ট আসলে ময়নাতদন্তের পুর্ন প্রতিবেদন জমা দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন, ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক।
রাজধানীর গ্রীন রোডের সেন্ট্রাল হাসপাতালে ভুল চিকিৎসায় মৃত্যু হওয়া মাহবুবা রহমান আঁখি (২৫) ও তার নবজাতক সন্তানের মরদেহ ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ দুটি স্বজনরা গ্রামের বাড়ি কুমিল্লার লাকসামে নিয়ে যাবেন। সেখানে আঁখির বাবার কবরের পাশে তাদের দাফনের কথা রয়েছে।
সোমবার (১৯ জুন) ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে রাজধানীর গ্রীন রোডের সেন্ট্রাল হাসপাতালে ভুল চিকিৎসায় মৃত্যু হওয়া মাহবুবা রহমান আঁখি (২৫) ও তার নবজাতক সন্তানের মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে এসব কথা বলেন, ময়নাতদন্ত করেন ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. মোখলেসুর রহমান।
তিনি বলেন, অতিরিক্ত রক্তক্ষরনে মৃত্যু হয়েছে। তবে পরীক্ষা নিরিক্ষার জন্য মৃতদেহ থেকে বিভিন্ন অর্গান রাখা হয়েছে। সেগুলোর রিপোর্ট আসলে ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন জমা দেয়া হবে।
এরআগে সোমবার বেলা সোয়া ২টা থেকে বিকেল সোয়া ৪টা পর্যন্ত মৃতদেহ দুই মরদেহের ময়নাতদন্ত করেন ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. মোখলেসুর রহমান।
এদিকে আঁখির চাচা শফিকুর রহমান মজুমদার জানান, আঁখি ও তার নবজাতক সন্তানের মরদেহ নিয়ে যাওয়া হবে তাদের গ্রামের বাড়ি কুমিল্লা জেলার লাকসাম উপজেলার গায়নের ডহরা গ্রামে। সেখানে আঁখির বাবা মাহবুবুর রহমান মজুমদারের কবরের পাশেই দাফন করা হবে তার ও নবজাকতের মরদেহ।
এরআগে মরদেহ বুঝে নিতে সোমবার সকালে মর্গে হাজির হন পরিবারের সদস্যরা। এসময় তারা আবারও দাবি তুলেন, অভিযুক্ত ডা. সংযুক্তা সাহা সহ হাসপাতালটির সংশ্লিষ্টদের কঠোর শাস্তির। পাশাপাশি হাসপাতালটির লাইসেন্স বাতিলের দাবি করেন তারা।
গতকাল রোববার সন্ধ্যায় সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে ধানমন্ডি থানা পুলিশ মৃতদেহ দুটি ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়।
ভোরের আকাশ/আসা
মন্তব্য