জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল বাংলাদেশ এবং ফুয়াই ইউনান কার্ডিওভাস্কুলার হাসপাতালের মাঝে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে।
শনিবার সকালে এনআইসিভিডির পক্ষে সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা মীর জামাল উদ্দিন এবং ফুয়াই ইউনান হাসপাতালের পক্ষে হাসপাতালের চীফ কার্ডিয়াক সার্জন ডা. জিয়াংবিং প্যান।
জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট কর্তৃপক্ষ জানায়, সমঝোতা স্মারকের আওতায় আশা করা যাচ্ছে বাংলাদেশের শিশু হৃদরোগীদের বুক না কেটে অভিনব পদ্ধতি - রেডিয়েশন এবং কন্ট্রাস্ট বা ক্ষতিকর ডাই ব্যতিরিকে চিকিৎসা, উচ্চতর গবেষণা, স্বাস্থ্য প্রযুক্তির হস্তান্তর ও বিনিময়, হাসপাতালের অবকাঠামো উন্নয়নের বিষয় অন্তর্ভুক্ত থাকছে।
পরীক্ষামূলকভাবে হাসপাতালের ক্যাথ চারজন রোগীকে ডা. প্যান ও তার সহযোগীরা শুধুমাত্র ইকোকার্ডিওগ্রামের মাধ্যমে ডিভাইস সহকারে চিকিৎসা প্রদান করেন। এধরনের অভিনব চিকিৎসা বাংলাদেশে সর্বপ্রথম চালু করা হলো পরীক্ষামূলকভাবে জাতীয় জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে। এধরনের পদ্ধতিতে চিকিৎসা প্রদানে দরকার দক্ষ জনবল, ইকো মেশিন এবং ডিভাইস বা বেলুন লাগানোর নিরাপদ পরিবেশ।
বাংলাদেশের বাস্তবতায় ব্যয়বহুল পদ্ধতিতে দেশের গরীব মানুষকে চিকিৎসা দেওয়া দুরুহ ব্যাপার। অত্যাধুনিক প্যান পদ্ধতির মাধ্যমে নিরাপদে স্বাস্থ্যগত ঝুঁকি ব্যতিরিকে এমনকি দেশের প্রান্তিক অঞ্চলের সুবিধাবঞ্চিত মানুষকে চিকিৎসার আওতায় আনা সম্ভব হবে। এমনকি গর্ভবতী মহিলাদেরও নিরাপদভাবে তাদের জন্মগত হৃদরোগের চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব হবে।
সমঝোতা স্মারক অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের পেডিয়াট্রিক কার্ডিওলজি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা, আব্দুল্লাহ শাহরিয়ার, মোহাম্মদ অধ্যাপক আতাউল হক,সহযোগী অধ্যাপক ডা নাজমুন উম্মে জাকিয়া।
ভোরের আকাশ/আসা
মন্তব্য