ডেঙ্গুতে এক দিনে ১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ১৭ জন রাজধানী ঢাকায় এবং ঢাকার বাইরে ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছর ডেঙ্গুতে ১৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এরমধ্যে নারী ৮৩ জন এবং পুরুষ ৬৩ জন। শুধু জুলাই মাসের এই ১৯ দিনে মৃত্যু হয়েছে ৯৯ জনের।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে বুধবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ডেঙ্গু নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ১ হাজার ৭৯২ জন। কন্ট্রোল রুম জানায়, নতুন ভর্তিদের মধ্যে ৯২২ জন ঢাকায় এবং ঢাকার বাইরে ৮৭০ জন।
বর্তমানে দেশের সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৫ হাজার ৫৫২ জন। এর মধ্যে ঢাকায় ৩ হাজার ৩৭০ জন এবং ঢাকার বাইরে ২ হাজার ১৮২ জন।
ডেঙ্গু নিয়ে চলতি বছর সারা দেশের হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ২৫ হাজার ৭৯২ জন। এর মধ্যে ঢাকায় ১৬ হাজার ৩৮৯ জন এবং ঢাকার বাইরে ৯ হাজার ৩৯৪ জন।
এ পর্যন্ত হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন ২০ হাজার ৯৪ জন। এ রমধ্যে ঢাকায় ১২ হাজার ৯১৫ জন এবং ঢাকার বাইরে ৭ হাজার ১৭৯ জন।
ডেঙ্গুতে চলতি বছরের এ পর্যন্ত প্রাণ গেছে ১৪৬ জনের। এর মধ্যে চলতি মাসেই মৃত্যু হয়েছে ৯৯ জনের। জুনে মৃত্যু হয়েছে ৩৪ জনের। বাকি কয়েকজন তার আগের মাসগুলোতে মারা গেছেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, জুলাই মাসে ডেঙ্গু নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ১৭ হাজার ৮১৪ জন। সেই হিসেবে দিনে গড়ে ৯৩৭ জন করে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে অর্থাৎ ঘণ্টায় ৩৯ জন।
ঢাকার বাইরে আগে রোগী কম থাকলেও গত সপ্তাহ থেকে রোগী বাড়তে শুরু করেছে। গত তিন দিনে ঢাকা এবং ঢাকার বাইরে রোগী প্রায় সমান সমান ভর্তি হয়েছে।
ডেঙ্গু রোগীদের জন্য রাজধানীর মহাখালীর ডিএনসিসি ডেডিকেটেড কোভিড-১৯ হাসপাতালে ৮০০ শয্যা রয়েছে। সেখানে রোগী ভর্তি আছে ১২১ জন। বাকি শয্যা খালি আছে। রোগীর চাপ বেশি মুগদা জেনারেল হাসপাতালে। সেখানে ৫০৯ জন রোগী ভর্তি রয়েছে। মুগদায় রোগীদের জন্য প্রস্তুত রয়েছে ৬০০ শয্যা।
ঢাকা মেডিকেলে ডেঙ্গু রোগীদের জন্য ১২০ শয্যা থাকলেও সেখানে ভর্তি রয়েছে ২৪০ জন। স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেলে ১৯৫ শয্যা রয়েছে। সেখানে ভর্তি আছেন ১৮৩ জন। শিশু হাসপাতালে ৪৪ শয্যা রয়েছে। সেখানে ভর্তি আছে ৮ জন।
সোহরাওয়ার্দীতে ১২০ শয্যা নির্ধারিত থাকলেও সেখানে ভর্তি রয়েছে ১৩১ জন। কুর্মিটোলায় ২২০ শয্যা থাকলে ভর্তি আছে ১২৫ জন। কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগীদের জন্য ৭২ শয্যা রয়েছে। সেখানে ভর্তি ৫৬ জন। শুধু ডিএনসিসি ডেডিকেটেড হাসপাতাল এবং কুর্মিটোলা হাসপাতালে এখনো বেশ শয্যা খালি আছে। এছাড়া বেশির ভাগ হাসপাতালে নির্ধারিত শয্যায় কোথাও সামান্য কম, কোথাও বেশি রোগী ভর্তি রয়েছে।
ভোরের আকাশ/আসা
মন্তব্য