-->
বিশ্ব মশক দিবস আজ

অনেক মরণব্যাধি রোগের বাহক মশা

নিজস্ব প্রতিবেদক
অনেক মরণব্যাধি রোগের বাহক মশা

আকারে ক্ষুদ্র হলেও কিছু মরণব্যাধি রোগের বাহক হিসেবে আতঙ্কের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে মশা। খুব সহজেই ঘাতক হিসেবে রূপ নিতে পারে ক্ষুদ্র এ জীবটি। মশার কামড়ে মানুষ ডেঙ্গু, চিকনগুনিয়া, ম্যালেরিয়াসহ নানা রোগে আক্রান্ত হতে পারে।

 

চলতি বছর এডিস মশার মাধ্যমে সংক্রমিত ডেঙ্গু রোগে মৃতের সংখ্যা ৪৫০ ছাড়িয়ে গেছে। থামেনি ম্যালেরিয়া রোগীর মৃত্যু। এ অবস্থার মধ্য দিয়ে আজ রোববার পালিত হচ্ছে বিশ্ব মশক (মশা) দিবস।

 

জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মশাবাহিত রোগ হাজার বছর ধরে মানুষের ইতিহাসে অসুস্থতা এবং মৃত্যুর প্রধান কারণ হিসেবে লিপিবদ্ধ রয়েছে। ১৯ শতাব্দীর শেষ পর্যন্ত কেউই বুঝতে পারেনি যে মশা রোগের ভেক্টর ছিল।

 

প্রথম সাফল্য আসে ১৮৭৭ সালে যখন ব্রিটিশ ডাক্তার প্যাট্রিক ম্যানসন আবিষ্কার করেছিলেন, একটি কিউলেক্স প্রজাতির মশা মানুষের ফাইলেরিয়াল রাউন্ডওয়ার্ম বহন করতে পারে।

 

পরবর্তী দুই দশকে তিনি এবং ফ্রান্স, ইতালি, রাশিয়া এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অন্য গবেষকরা ম্যালেরিয়ায় গবেষণায় মনোনিবেশ করেন, যা গ্রীষ্মমন্ডলীয় এবং নাতিশীতোষ্ণ দেশগুলোয় একটি প্রধান ঘাতক। তারা আস্তে আস্তে মানুষ এবং মশার মধ্যে ম্যালেরিয়া সংক্রমণ এবং জীববিজ্ঞানের জটিল সমীকরণ বুঝতে শুরু করেন।

 

গবেষণা অনুযায়ী, বাংলাদেশে এ পর্যন্ত ১২৩ প্রজাতির মশা শনাক্ত করা হয়েছে, তার মধ্যে বর্তমান ঢাকায় আমরা পাই ১৪ প্রজাতির। উষ্ণ আর্দ্র আবহাওয়া থাকার কারণে বাংলাদেশ মশা ও মশাবাহিত রোগ বিস্তারের জন্য উত্তম জায়গা।

 

বাংলাদেশ মশাবাহিত রোগগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো এনকেফালাইটিস, জিকা ভাইরাস, ডেঙ্গুজ্বর, পীতজ্বর, চিকনগুনিয়া ও ম্যালেরিয়া।

 

ভোরের আকাশ/নি 

মন্তব্য

Beta version