-->

থামছে না কান্নার রোল

নিখিল মানখিন
থামছে না কান্নার রোল

নিখিল মানখিন: ডেঙ্গুর কাছে অসহায় হয়ে পড়েছে মো. ফরিদ উদ্দিনের পরিবার। ফার্মগেটের তেজকুনিপাড়ায় তাদের বাসা। পাঁচ সদস্যের পরিবারের মো. ফরিদ উদ্দিন ও তার দু’ সন্তান হাসপাতালে ভর্তি আছেন। তিনজনের মধ্যে বাবা ফরিদ উদ্দিন ঢাকা মেডিকেলে এবং দুই শিশু সন্তান ঢাকা শিশু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। দুই সন্তানের একজনকে কয়েকদিনের জন্য আইসিইউতে যেতে হয়েছিল।

 

আরেকজনের প্লাটিলেট নেমে গিয়েছিল আশঙ্কাজনক পর্যায়ে। মেঝো ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে এমন পরিস্থিতি মোকাবিলা করে যাচ্ছেন মো. ফরিদ উদ্দিনের স্ত্রী আমেনা খাতুন। এভাবে মো. ফরিদ উদ্দিনের পরিবারের মতো শত শত পরিবারে চলছে হাহাকার ও আর্তনাদ। জীবন বাঁচানোর প্রয়োজনে বেসরকারি হাসপাতালের উচ্চ ব্যয় মেটাতে গিয়ে নিঃস্ব হয়ে পড়ছেন অনেক ডেঙ্গু আক্রান্ত পরিবার। আর্থিক কারণে ব্যাহত হচ্ছে অনেক রোগীর চিকিৎসা।

 

আমেনা খাতুন ভোরের আকাশকে বলেন, এক সপ্তাহ আগে মেয়ে শাহানা (১৩) ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়। অবস্থার অবনতি ঘটলে তাকে ঢাকা শিশু হাসপাতালের আইসিইউতে রাখতে হয় দু’দিন। বর্তমানে থাকে সাধারণ বেডে স্থানান্তর করা হয়েছে। ছোট ছোট তন্ময়ের (৫) ডেঙ্গু ধরা পড়ে। প্লাটিলেট এক লাখের নিচে নেমে আসে। বর্তমানে তার অবস্থার উন্নতি হয়েছে। ছোট ছেলেকে হাসপাতালে ভর্তি করানোর একদিন পরই স্বামীর শরীরে ডেঙ্গু শনাক্ত হয়। বর্তমানে তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

 

তিনি আরো জানান, ৮ বছরের ছেলেকে এক আত্মীয়ের বাসায় রেখে তিন রোগীকে নিয়ে দৌড়াদৌড়ি করছি। গ্রাম থেকে এক আত্মীয়কে এনে ঢাকা মেডিকেলে স্বামীর সঙ্গে রেখেছি। আর আমি সময় দিচ্ছি ঢাকা শিশু হাসপাতালে। তিনজনের চিকিৎসাসেবায় আমার সামর্থ্যরে বাইরে চলে গেছে বলে জানান আমেনা খাতুন।

 

মহাখালীর ডিএনসিসি কোভিড হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন একই পরিবারের ৩ সদস্য। চারজনের পরিবারের ৩ জনই আক্রান্ত এ রোগে। স্বামী, ছেলে ও মেয়ে ৩ জনই ভর্তি এই হাসপাতালে। স্বামী চিকিৎসা নিচ্ছেন চতুর্থ তলার পুরুষ ওয়ার্ডে। দুই ছেলে-মেয়ে চিকিৎসা নিচ্ছে ২ তলায়। সবার যত্নে একা প্রাণপণ চেষ্টা করে যাচ্ছেন গৃহকর্ত্রী রাওজানা। দুই ছেলে-মেয়ের মধ্যে বড় তাওসীফ। তার বয়স ৭ বছর। লালবাগের একটি বিদ্যালয়ে ক্লাস ওয়ানে পড়ে সে। ছোট মেয়ে নোভা। তার বয়স ৫ বছর। পড়ে নার্সারিতে।

 

রাওজানা জানান, পুরান ঢাকার লালবাগে বাস করেন তারা। গত ১৫ সেপ্টেম্বর প্রথম তার স্বামী সুমন জ্বরে আক্রান্ত হন। তাকে ভর্তি করা হয় ডিএনসিসি কোভিড হাসপাতালে। দুদিন পরই আক্রান্ত হয় দুই ছেলে-মেয়ে। তাদেরও দুর্বলতা, খাওয়া-দাওয়া না করার সমস্যা থাকায় ভর্তি করা হয় হাসপাতালে। গত ৫ দিন পুরো পরিবারই এ হাসপাতালে। সবাইকে নিয়েই দুশ্চিন্তা আর সীমাহীন কষ্টে আছি।

 

তিনি জানান, স্বামী সুমন অনেকটা সুস্থ হওয়ায় আজ তাকে ছাড়পত্র দেয়া হচ্ছে। বাচ্চারাও আগের চেয়ে অনেকটা সুস্থ হয়েছে। কর্তব্যরত চিকিৎসকরা জানান, ছেলে-মেয়ে দুজনই সুস্থতার দিকে। আমাদের অবজারভেশনে আছে। দু-একদিনের মধ্যে তারাও ছাড়া পেতে পারে বলে জানান চিকিৎসকরা।

 

বাংলাদেশ চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের সিনিয়র স্টাফ নার্স রাহেনা খাতুন। এর আগে দীর্ঘদিন কর্মরত ছিলেন রাজধানীর হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতালে। মানুষের সেবা করে সুস্থ করে তোলাই তার কাজ। স্বামী আলমগীর হোসেন একজন ঠিকাদার। তাদের ঘর আলো করে রাখতো দুই মেয়ে আট বছর বয়সী আফিয়া আঞ্জুম ও ছয় বছর বয়সী তাসনিয়া তাসনিম। তাদের সেই আলোকিত ঘরে অসময়ে যেন নেমে এসেছে ঘোর অন্ধকার। ডেঙ্গু কেড়ে নিয়েছে তাদের বড় মেয়েকে। ছোট মেয়ে সেই একই বেডে চিকিৎসাধীন। ঘরে ফেরার মানসিক শক্তিটুকুও যেন হারিয়েছেন এ দম্পতি।

 

চারজনের পরিবার নিয়ে রাজধানীর ৬০ ফুটের বারিক মোল্লার মোড় এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় থাকেন তারা। গ্রামের বাড়ি সিরাজগঞ্জের চৌহালি থানায়। গত ৯ সেপ্টেম্বর হঠাৎ জ্বর আসে বড় মেয়ে আফিয়ার। অনেক বেশি ঠান্ডা ও দুর্বলতা দেখা দেয়। একদিন পরেই নেয়া হয় বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউটে। প্রথমে হাসপাতালের বেডে রেখেই চিকিৎসা দেয়া হচ্ছিল। এরই মধ্যে নেমে আসে ঘোর অমানিশা। একদিন পর একই হাসপাতালে ভর্তি করতে হয় তার ছোট বোন তাসনিয়া তাসনিমকেও। অন্যদিকে শক সিন্ড্রোমে চলে যায় আফিয়া। কমে যায় রক্তচাপ। হাসপাতাল থেকে বলা হয় শিশুদের বিশেষ কেয়ার ইউনিট পেডিয়াট্রিক ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে (পিআসিইউ) নিতে।

 

ঘটনার বর্ণনা দিতে দিতে গলা ধরে আসছিল আফিয়া-তাসনিয়ার বাবা মো. আলমগীর হোসেনের। বলছিলেন, বড় মেয়ের শারীরিক অবস্থা খারাপের দিকে গেলে চিকিৎসক পিআইসিইউর কথা বলেন। ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে খোঁজ করতে থাকলেও কোথাও পিআইসিইউ পাচ্ছিলাম না। একপর্যায়ে এক লোকের মাধ্যমে জানতে পারি ঢাকা হেলথ কেয়ার নামে একটি হাসপাতালে পিআইসিইউ আছে। বড় মেয়েকে সেখানে নিয়ে ভর্তি করা হয়। তবে এই হাসপাতালের সেবা নিয়ে সন্তুষ্ট হতে পারিনি।

 

বাবা-মা দুজনই একবার ঢাকা হেলথ কেয়ার একবার শিশু হাসপাতালে দুই মেয়ের দেখাশোনায় দৌড়াচ্ছিলেন। এর মধ্যে চেষ্টা করতে থাকেন শিশু হাসপাতালের পিআইসিইউর জন্য। অনেক রিকোয়েস্ট ও চেষ্টায় শিশু হাসপাতালে পিআইসিইউ ম্যানেজ হয়। আফিয়ার জায়গা হয় পাঁচ নম্বর বেডে। এর আগে বেসরকারি ওই হাসপাতালে একদিনেই ৫০ হাজার টাকা বিল দিয়ে ১২ সেপ্টেম্বর বড় মেয়েকে আনেন শিশু হাসপাতালে। তবে দিন দিন অবনতি হতে থাকে তার শারীরিক অবস্থার।

 

চিকিৎসকরা এক পর্যায়ে নরম গ্লোবিন নামে ইনজেকশনের ব্যবস্থা করতে বলেন। তবে অনেক খুঁজেও প্রয়োজনীয় আটটি ইনজেকশন পাওয়া যায়নি। পরে চিকিৎসকরা নিষেধ করে দেন আর খুঁজতে এবং মেয়েকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়। গত ১৫ সেপ্টেম্বর রাত ১১টায় আফিয়া মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে।

 

পাশে থাকা আফিয়া-তাসনিয়ার বাবা আলমগীর হোসেন বলেন, ছোট মেয়ে ভর্তি ছিল হাসপাতালের ওয়ার্ডে। তারও শরীরে প্লাটিলেট কম ছিল। হাসপাতালে বলেছি এক মেয়েকে হারিয়েছি, সেই বেডেই আমার ছোট মেয়েকে রাখার ব্যবস্থা করে দিন। এরপর থেকে বড় মেয়ের সেই পিআইসিইউ বেডেই চিকিৎসা নিচ্ছে তাসনিয়া। তার শারীরিক অবস্থা এখন আগের চেয়ে ভালো। প্লাটিলেট বাড়ছে। চিকিৎসকরা আশা দিয়েছেন। তবে এখনো স্পষ্ট জানাননি।

 

স্টার লাইন পরিবহনের লাইনম্যান সাইফুল ইসলাম। মুগদা হাসপাতালের আইসিইউর সামনে বসে আছেন প্লাস্টিকের টুলে। মন ভারাক্রান্ত। একটু পরপর তাকাচ্ছেন আইসিইউর দরজার দিকে। এই বুঝি এলো কোনো সংবাদ! নিজের অগোচরেই মাঝে মধ্যে ভিজে যাচ্ছে চোখ। পাশে নিকটাত্মীয় কেউ এলে চোখের পানি মুছছেন তড়িঘড়ি করে। কাউকে বুঝতে দিতে চান না কষ্ট। ধীর পায়ে কাছে গিয়ে কথা বলে জানা যায় সাইফুল ইসলামের ভাই মো. শরিফ আইসিইউতে ভর্তি। দুই মেয়ের জনক শরিফ। সপ্তাহখানেক আগে তিনি ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হন। এর আগে তার জন্ডিসসহ কিডনি রোগ ছিল। পেশায় রিকশাচালক। চিকিৎসার খরচ বহন করার ক্ষমতা তার একার নেই। তবে চিকিৎসার কমতি রাখেননি ভাই সাইফুল।

 

এভাবে ডেঙ্গুরোগীদের মনে মৃত্যুভয় কাজ করছে। সরকারি হাসপাতালে শয্যা খালি নেই। বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা গ্রহণের আর্থিক সামর্থ্য থাকে না অধিকাংশ পরিবারের। রোগী ভর্তি করিয়ে চিকিৎসা খরচ চালাতে না পেরে দিশেহারা হয়ে পড়ছে অনেক পরিবার। সারাদেশে চলছে ডিএনএস স্যালাইন সংকট। স্যালাইন আমদানি সম্পন্ন করতে পারেনি সরকার। সারাদেশে ছড়িয়ে পড়েছে ডেঙ্গুর বাহক এডিস মশা। ঢাকা সিটির তুলনায় দেশের অন্যত্র ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে। সারাদেশের রোগী ভিড় জমাচ্ছেন রাজধানীতে। ফলে ঢাকা সিটির সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতাল যেন নতুন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি নেয়ার সক্ষমতা হারিয়ে ফেলেছে। অবশেষে বাইরে থেকে ঢাকা সিটিতে ডেঙ্গু রোগী না পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

 

শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. মো. খলিলুর রহমান বলেন, এ বছর ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ও মৃত্যু বিগত বছরগুলোর সব ইতিহাস ভেঙে দিয়েছে। এখন ২-৩ দিনের জ্বরে ডেঙ্গু রোগীদের অবস্থা খুব তাড়াতাড়ি খারাপ হয়ে যাচ্ছে। আগে কিন্তু তেমনটা হতো না। তাই জ্বর হলে অবহেলা না করে আগে জানতে হবে, তার ডেঙ্গু হয়েছে কিনা। ডেঙ্গু হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

 

তিনি বলেন, কেউ যদি বাসায় বসেও প্রচুর পরিমাণে তরল জাতীয় খাবার খায় তাহলেও কিন্তু দেখা যায় যে শকড হয় না। ডা. মো. খলিলুর রহমান বলেন, একটা শকের রোগী নিয়ে গেল, তাকে ম্যানেজ না করে যদি বলা হয় যে, তাড়াতাড়ি এখন ঢাকার দিকে যান। তাহলে দেখা যাবে, রাস্তাতেই রোগীটা হয়তো মারা যাবে অথবা তার অর্গান ফেইলিউর হয়ে যাবে। তখন হাসপাতালে এলেও অবস্থা পরিবর্তন করা কঠিন হয়ে যায়।

 

এদিকে, ডেঙ্গু পরিস্থিতি মোকাবিলায় অনেকটা অপারগতা প্রকাশ করেছে দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিরা! এমন প্রশ্ন ও ক্ষোভ আজ মানুষের মনে। অসহায় হয়ে পড়েছেন ডেঙ্গু রোগী ও তাদের স্বজনেরা।

 

জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চলতি বছরের শুরু থেকেই খারাপ পরিস্থিতির ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছিল। কিন্তু গুরুত্ব না দেয়ার কারণে ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। মশক নিধনের ব্যর্থতার দায় কেউ নিচ্ছে না। জনসচেনতাই এখন ডেঙ্গু মোকাবেলার মূল হাতিয়ার বলে বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছেন দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানের কর্তা ব্যক্তিরা। অথচ মশক নিধনসহ ডেঙ্গু মোকাবেলায় ইতোমধ্যে খরচ হয়ে গেছে কোটি কোটি টাকা।

 

জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পরামর্শ ও নির্দেশনায় সীমাবদ্ধ এডিস মশা নিধন! লার্ভা পর্যায়ে ধ্বংস করতে না পারলে উড়ন্ত এডিস মশা নিয়ন্ত্রণ এবং ডেঙ্গু মোকাবেলায় সফলতা পাওয়া সম্ভব হবে না বলে জানিয়ে দিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। ডেঙ্গুরোগের বাহক এডিস মশার বংশবিস্তারের তিন স্তর হলো-লার্ভা, বাড়ন্ত ও উড়ন্ত। লার্ভা ধ্বংসে সফলতা দেখাতে পারছেন না দায়িত্বপ্রাপ্তরা। সীমিতসংখ্যক বাসাবাড়িতে অভিযান চালিয়ে জরিমানা আদায় করে লার্ভা নিয়ন্ত্রণে আনা যাবে না। ডেঙ্গু মোকাবেলায় বাড়াতে হবে জনসম্পৃক্ততা।

 

সিটি করপোরেশনের মশক নিধন বিভাগের পাশাপাশি প্রত্যক ওয়ার্ড কাউন্সিলরসহ এলাকার গণমান্য ব্যক্তিদের কর্মসূচিতে সম্পৃক্ত করতে হবে। দেশে ডেঙ্গু পরিস্থিতির অবনতি অব্যাহত রয়েছে। ডেঙ্গুতে মৃত্যু ও আক্রান্তের সংখ্যা সর্বকালের রেকর্ড ভেঙেছে। আক্রান্তের স্বল্প সময়ের মধ্যে মৃত্যুর ঘটনায় ডেঙ্গুরোগীর মধ্যে বিরাজ করছে মৃত্যু আতঙ্ক। গ্রামাঞ্চলের যেখানে সেখানে এডিস মশার লার্ভা পাওয়ার ঘটনা যেন আতঙ্কের মাত্রা বাড়িয়ে দিয়েছে। গ্রামাঞ্চলে লার্ভা ধ্বংস করার নির্দিষ্ট কোনো কাঠামো ও কর্তৃপক্ষ নেই। উপসর্গহীন ডেঙ্গুরোগীও পাওয়া যাচ্ছে।

 

হঠাৎ করে প্লাটিলেট নেমে গেলেই কান্নাকাটি শুরু করে দিচ্ছেন রোগীর স্বজনরা। চিকিৎসকদের বোঝানোর পরও নিরাপদ মনে করছেন না অনেকে। সরকারি হাসপাতালে সিট না পেয়ে আতঙ্কে বেসরকারি হাসপাতালে ছুটছেন অনেক রোগী। তাদের অনেকে অসাধু চক্রের খপ্পরে হয়ে পড়ছেন নিঃস্ব। অপ্রয়োজনীয় আইসিইউতে রেখে টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগও উঠছে। জীবন বাঁচানোর আশায় সব মেনে নিচ্ছেন রোগীর স্বজনরা।

 

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, স্বাস্থ্যসেবায় কোনো ঘাটতি নেই। মশা না কমলে ডেঙ্গু রোগীও কমবে না। গত দু-এক দিনের তুলনায় রোগীর সংখ্যা এখনও কমেনি, বরং ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা আরও বাড়ছে। এ বছর ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বেশি। এটি সত্যিই উদ্বেগজনক।

 

তিনি বলেন, বাংলাদেশ করোনা নিয়ন্ত্রণে আনতে পারলে, ডেঙ্গুও আনতে পারবে। তবে মশা নির্মূল করতে হবে। মশা বাড়লে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বাড়বে। তাই সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। আশপাশ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। এরইমধ্যে আমাদের স্বাস্থ্যসেবা ডেঙ্গু চিকিৎসায় অগ্রগতি লাভ করেছে।

 

ভোরের আকাশ/নি 

মন্তব্য

Beta version