সরকারি হাসপাতালে মোট জনগণের ৭০ শতাংশ মানুষ বিনামূল্যে সেবা নিয়ে থাকে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
তিনি বলেন, ইউনিভার্সেল হেলথ কাভারেজ আমরা এখনো পুরোপুরি শুরু করতে পারিনি। এটা একটা চ্যালেঞ্জ আমাদের জন্য। অসংক্রামক ব্যাধি বেড়ে যাচ্ছে তার যে চিকিৎসা ব্যবস্থা, সেটা আমাদের জন্য আরেকটা চ্যালেঞ্জ। এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আমরা কাজ করে যাচ্ছি।
সোমবার দুপুরে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সায়মা ওয়াজেদ হোসেনের বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক পদে বিজয়, বাংলাদেশ বিশ্বে প্রথম কালাজ্বর মুক্ত এবং ফাইলেরিয়া মুক্ত ঘোষিত হওয়া উপলক্ষে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
জাহিদ মালেক বলেন, স্বাস্থ্যসেবা মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে গেছে। মানুষ স্বাস্থ্যসেবা পাচ্ছে। আমরা এসডিজি অর্জন করেছি। স্বাস্থ্যসেবা ভালো হয়েছে বলেই আজকে আমাদের গড় আয়ু ৭৩ বছর। ভারতের গড় আয়ু ৬৭ বছর, সেখানে আমাদের গড় আয়ু ৭৩ বছর। স্বাস্থ্যসেবা ভালো আছে বলেই পোলিও নির্মূল হয়েছে, টিটেনাস, কালাজ্বর, ফাইলেরিয়া কালাজ্বর নির্মূল হয়েছে। এগুলো আমাদের অর্জন, যা বিশ্ববাসী আমাদের স্বীকৃতি দিয়েছে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরো বলেন, বাংলাদেশে ওষুধের কোনো অভাব নেই। ১০০ শতাংশ ওষুধ বাংলাদেশে তৈরি হচ্ছে এবং রপ্তানি হচ্ছে। আমাদের ১২০টা হাসপাতালে সেন্ট্রাল অক্সিজেন লাইন রয়েছে। এগুলো কোনো জাদু নয় কাজের মাধ্যমেই সম্ভব হয়েছে। ৩৭ কোটি করোনা ভ্যাকসিন আমরা বিনামূল্যে সবার আগে দিয়েছি। কাজেই যারা আমাদের অর্জন দেখতে পায় না, তারা কখনোই দেখতে পাবে না।
১৭ কোটি কোটি লোক দেশে চিকিৎসাগ্রহণ করছে। দেশের বাইরে কিছু লোক চিকিৎসা গ্রহণ করেন আমরা অস্বীকার করি না, ৫ লাখ লোক দেশের বাইরে চিকিৎসা গ্রহণ করলে বাকি ১৭ কোটি লোক দেশেই চিকিৎসা গ্রহণ করেন।
তিনি আরো বলেন, আমাদের কাছে পরিসংখ্যান রয়েছে এক বছরে দেশে আমাদের হাসপাতালে, সরকারি হাসপাতালে ৩৬ কোটি রোগী চিকিৎসা নিয়েছেন এবং ভালো হয়েছেন। আমরা চেষ্টা করছি ভবিষ্যতে মানুষ যেন আরো বেশি ভালো স্বাস্থ্যসেবা পায়।
ভোরের আকাশ/নি
মন্তব্য