ব্লগস্পটে শেয়ার করুন
জলবায়ু পরিবর্তন জনিত স্বাস্থ্যঝুঁকি মোকাবেলায় মেডিকেল শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে শিগগিরই গবেষণা শুরু করা হবে। বুধবার এক অনুষ্টানে এমনটাই প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। বাংলাদেশ মেডিকেল স্টুডেন্টস সোসাইটির উদ্যোগে মহাখালি আইডিসিআর-এ এই অনুষ্ঠান হয়।
উন্মুক্ত আলোচনায় বিস্তৃত অঙ্গনের নানান সম্মানিত পেশাদাররা অংশ নেন। এসময় তারা উদারভাবে অমূল্য দিকনির্দেশনা এবং পরামর্শ প্রদান করেছেন। তারা অতি শীগ্রই মেডিকেল শিক্ষার্থীদের সক্রিয় অংশগ্রহণে গবেষণা প্রকল্পগুলি শুরু করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন-আইইডিসিআর এর পরিচালক প্রফেসর ড. তাহমিনা শিরিন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (রোগ নিয়ন্ত্রণ) অধ্যাপক ডা. মো. নাজমুল ইসলাম, পরিচালক (এমআইএস) প্রফেসর ডা. মো. শাহাদাত হোসেন, লাইন ডিরেক্টর (অসংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ) অধ্যাপক ডা. রোবেদ আমিন, লাইন ডিরেক্টর (প্ল্যানিং, মনিটরিং অ্যান্ড রিসার্চ) অধ্যাপক ডা. মাজহারুল ইসলাম, লাইন ডিরেক্টর (এল এন্ড এইচইপি) ডা. মো. মিজানুর রহমান আরিফ, লাইন ডিরেক্টর (এএমসি) ডা. মো. আবু জাহের, বাংলাদেশ মেডিকেল স্টুডেন্টস সোসাইটির সভাপতি ডা. আসাদুর রহমান নবীন।
আয়োজকরা জানান, জলবায়ু পরিবর্তন বাংলাদেশে স্বাস্থ্যঝুঁকি তীব্রতর করে, ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়া, কালাজার, কলেরা, ডায়রিয়া, চিকেনপক্স, মাম্পস ও অপুষ্টি মতো বিভিন্ন রোগের জন্ম দেয়। পরিবর্তিত জলবায়ু প্যাটার্ন জলবাহিত এবং ভেক্টর-বাহিত রোগে অবদান রাখে, স্বাস্থ্যসেবা অবকাঠামোকে প্রভাবিত করে। তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে প্রাকৃতিক দুর্যোগে বছরে গড়ে ৬ হাজার ১৮৮ জন প্রাণ হারিয়েছেন।
ইউনিসেফের এক রিপোর্টের বরাত দিয়ে তারা জানান- ২০ টি জেলার ১৯.৪ মিলিয়ন শিশু জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে উচ্চমাত্রার স্বাস্থ্য ঝুঁকির সম্মুখীন হয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তন বাংলাদেশে মানসিক স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটায়, বন্যা এবং সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বাড়ায়, বন্যা, খরা এবং অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঝুঁকি বাড়ায়। গবেষণা ইঙ্গিত করে প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে ৩১ শতাংশ এবং দুর্যোগ-প্রবণ এলাকায় ২২ দশমিক ৯ শতাংশ শিশু মানসিক ব্যাধির সম্মুখীন হয়, যা মানসিক স্বাস্থ্যের বিকাশের পথে অন্তরায়।
এই সমস্যার সমাধানের সন্ধানে, বাংলাদেশ মেডিকেল স্টুডেন্টস সোসাইটি, “দ্য আর্থ” দ্বারা সমর্থিত, একটি স্বাস্থ্য পেশাদার ফোরামের সূচনা করে। এই সহযোগী প্ল্যাটফর্মটি বিভিন্ন স্বাস্থ্যমুখী সেক্টরের পেশাদারদের একত্রিত করেছে।
এই উদ্যোগের লক্ষ্য হল মেডিকেল ছাত্র, ডাক্তার, অন্যান্য স্বাস্থ্য পেশাদার এবং অনুশীলনকারীদের সক্ষমতা বৃদ্ধি করে স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করা। উপরন্তু, এটি বর্তমান এবং প্রক্ষিপ্ত জলবায়ু-সম্পর্কিত ঝুঁকি থেকে মানব স্বাস্থ্যকে রক্ষা করার লক্ষ্যে কাজ করছে।
ভোরের আকাশ/আসা
মন্তব্য