-->
শিরোনাম

করোনার ভয়ঙ্কর রূপ তুলে ধরল বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা

নিজস্ব প্রতিবেদক
করোনার ভয়ঙ্কর রূপ তুলে ধরল বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা

করোনাভাইরাস। এই মহামারির আতঙ্কে পুরো দুই বছর বিশ্ব কেঁপেছে, যার ভয়াবহতা এখনো কাটেনি। এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে সপ্তাহে এখনো বিশ্বজুড়ে প্রাণ হারাচ্ছেন প্রায় ১৭০০ মানুষ। শুক্রবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) বরাতে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা এএফপি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কোভিড-১৯ এখনো সারা বিশ্বে সপ্তাহে প্রায় ১৭০০ জনের প্রাণ কেড়ে নিচ্ছে বলে জানিয়েছে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। আর এ কারণে ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীকে আবারও এই ভাইরাসের টিকা দেওয়ার জন্য আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি।

বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক টেড্রোস আধানম গেব্রেইয়েসুস এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, করোনা আক্রান্ত হয়ে ক্রমাগত মৃত্যুর সংখ্যা সামনে আসা সত্ত্বেও ‘তথ্যগুলোতে দেখা যাচ্ছে, স্বাস্থ্যকর্মী এবং ৬০ বছরের বেশি বয়সী ব্যক্তিদের মধ্যে ভ্যাকসিনের কাভারেজ হ্রাস পেয়েছে। সবচেয়ে ঝুঁঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর মধ্যে তারাও রয়েছেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘সবচেয়ে বেশি ঝুঁঁকিতে থাকা ব্যক্তিদেরকে তাদের শেষ ডোজ নেওয়ার ১২ মাসের মধ্যে আবারও কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন নিতে সুপারিশ করছে ডব্লিউএইচও।’

একই সঙ্গে ভাইরাস নজরদারি এবং সিকোয়েন্সিং বজায় রাখতে সাশ্রয়ী মূল্যে নির্ভরযোগ্য পরীক্ষা, চিকিৎসা ও সবার জন্য ভ্যাকসিন নিশ্চিত করার জন্য বিশ্বের সরকারগুলোর প্রতিও আহ্বান জানিয়েছে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা।

২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহান শহরে প্রথম করোনা সংক্রমণের ঘটনা ঘটে। এরপর ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে করোনা। এই মহামারিতে মারা গেছেন ৭০ লাখেরও বেশি মানুষ। একই সঙ্গে বিশ্বের অনেক দেশের অর্থনীতিকে ছিন্নভিন্ন করে দিয়েছে এই ভাইরাস।

ভাইরাসটি শনাক্ত হওয়ার তিন বছরেরও বেশি সময় পরে ২০২৩ সালের মে মাসে করোনাভাইরাস মহামারি আর ‘বৈশ্বিক স্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা’ নয় বলে ঘোষণা করেছিলেন বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান টেড্রোস আধানম গেব্রেইয়েসুস।

যদিও ওই মাসেই ডব্লিউএইচও প্রধান বলেছিলেন, ‘বিশ্বব্যাপী করোনা সম্পর্কিত স্বাস্থ্য জরুরি অবস্থার সমাপ্তি ঘোষণা করা হলেও তা বিশ্বব্যাপী এই ভাইরাসের স্বাস্থ্য হুমকির সমাপ্তি নয়। বিশ্বে করোনাভাইরাসের আরেকটি ভ্যারিয়েন্ট উদ্ভূত হওয়ার হুমকি এখনো রয়ে গেছে, যা নতুন করে এই রোগ ও মৃত্যুর সংখ্যা বাড়াতে পারে।’

ভোরের আকাশ/ সু

মন্তব্য

Beta version