ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থান পরবর্তী পরিস্থিতিতে সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে রদবদল ও পদত্যাগের হিড়িক পড়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় এবার ওএসডি করা হলো রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতালের পরিচালক ও সহকারী পরিচালককে। বিভিন্ন সময়ে নানা আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দেওয়া এই দুই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে বদলি করা হয়েছে।
সোমবার (১২ আগস্ট) মন্ত্রণালয় স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের পারসোনেল-২ শাখার সহকারী সচিব এম কে হাসান জাহিদ স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপন সূত্রে জানা যায়, বিসিএস স্বাস্থ্য ক্যাডারের নিম্নবর্ণিত কর্মকর্তাদেরকে তাদের নামের পাশে বর্ণিত পদ ও কর্মস্থলে বদলিপূর্বক পদায়ন করা হলো। দুই কর্মকর্তা হলেন—পরিচালক ডা. মোহাম্মদ ইউনুস আলী ও সহকারী পরিচালক প্রশাসন ডা. মো. মজিদুল ইসলাম।
একই সঙ্গে এই দুই কর্মকর্তাকে অধিদপ্তরের বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) করা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়, রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে এবং জনস্বার্থে জারিকৃত এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।
এর আগে, গত ১০ আগস্ট শনিবার বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) শিক্ষার্থী শহীদ আবু সাঈদের কবর জিয়ারত ও পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলতে রংপুরের পীরগঞ্জে এসেছিলেন অন্তর্র্বতী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। পরে তিনি রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহতদের দেখতে যান। ওই সময় অন্তর্র্বতী সরকার প্রধানের সামনে মেডিকেলের পরিচালক, সহকারী পরিচালকসহ প্রশাসনের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম, দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ তুলে ধরেন ভুক্তভোগীরা। এরই প্রেক্ষিতে এক দিন পর ওএসডি হলেন রংপুর মেডিকেলের পরিচালক-সহকারী পরিচালক।
এ বিষয়ে জানতে রমেক হাসপাতালের পরিচালক ডা. মোহাম্মদ ইউনুস আলী ও সহকারী পরিচালক ডা. মো. মজিদুল ইসলামের সঙ্গে মুঠোফোন নম্বরে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তারা কল রিসিভ করেননি। তাই তাদের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
ভোরের আকাশ/মি
মন্তব্য