ঝালকাঠিতে লঞ্চে আগুনের সপ্তম দিনে এসে বৃহস্পতিবার (৩০ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টা পর্যন্ত কোনো মরদেহ উদ্ধার হয়নি। তবে সকাল থেকেই ফায়ার সার্ভিস ও কোস্টগার্ড উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রেখেছে।
বরিশাল নৌ ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার খোরশেদ আলম জানান, ভোর থেকেই সুগন্ধা, বিশখালি আর গাবখান নদীতে শুরু হয়েছে সপ্তম দিনের উদ্ধার অভিযান। কিন্তু কোনো মরদেহ উদ্ধার হয়। ফায়ার সার্ভিস জানায়, তীব্র শীতে মরদেহ নদীর তলদেশে আটকা পড়ে থাকতে পারে। এ কারণে মরদেহ ভেসে উঠতে পারছে না।
গত চারদিনে উদ্ধার হয়েছে পাঁচ জনের মরদেহ। তাদের মধ্যে চার জনের লাশ শনাক্ত করেছেন স্বজনরা। ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করেছে ঝালকাঠি সদর থানা পুলিশ।
এদিকে উদ্ধার অভিযানে সেই ভয়াবহ রাত থেকেই ফায়ার সার্ভিস ও প্রশাসনের সঙ্গে স্থানীয় জনগণ ও স্বেচ্ছাসেবীরা অংশ নিয়েছেন। এখনো তারা তদন্ত কমিটি ও ফায়ার সার্ভিসের সঙ্গে সহযোগিতা করছেন। অন্যদিকে ঝালকাঠি সদর থানার দুই মামলায় ঘাটে লঞ্চটি জব্দ করে রাখা হয়েছে। অভিযান-১০ নামের ওই লঞ্চটি মৃত্যুপুরীর চেহারা নিয়ে এখনো দাঁড়িয়ে আছে। যা দেখতে এসে আঁতকে উঠছেন সবাই।
গত বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে ঝালকাঠির সুগন্ধা নদী অতিক্রমকালে লঞ্চটিতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এতে এখন পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৪৬ জনের। প্রাণ বাঁচাতে নদীতে ঝাঁপ দিয়ে এখনো অনেক যাত্রী নিখোঁজ রয়েছেন।