১০৯ বছরের বৃদ্ধা জেবুন্নেছা। হাঁটার শক্তি হারিয়েছেন অনেক আগেই। তারপরও ভ্যানে শুয়ে শীত উপেক্ষা করে এসেছিলেন ভোট দিতে। কিন্তু ভোট দিতে না পেরে ফিরে যেতে হয়েছে তাকে। জেবুন্নেছার নাতি বুথে গিয়ে জানতে পারেন, আগেই একজন তার ভোট দিয়ে দিয়েছেন। গতকাল বুধবার এমনটি ঘটেছে ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার কৃপালপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে।
পঞ্চম ধাপে ঝিনাইদহের দুই উপজেলা শৈলকুপা ও হরিণাকুণ্ডু উপজেলায় ২০ ইউনিয়নে ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। শৈলকুপার ১২ ও হরিণাকুণ্ডু উপজেলা আট ইউনিয়নে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। ভোটের শেষ সময়ের এক ঘণ্টা আগেই অধিকাংশ কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ শেষ হয়ে যায়। কিছু কিছু কেন্দ্রে তারও আগে ভোট সম্পন্ন হয়।
সকাল থেকে ঘন কুয়াশা আর কনকনে শীত উপেক্ষা কেন্দ্রে কেন্দ্রে ভোটারদের দীর্ঘ লাইন চোখে পড়ে। শৈলকুপায় ১১২ ও হরিণাকুণ্ডুতে ৮২ কেন্দ্রে ভোট নেওয়া হয়। এসব কেন্দ্রের ৮০ ভাগ ঝুঁকিপূর্ণ চিহ্নিত করেছিল প্রশাসন। সুষ্ঠু ভোটের জন্য ছয় প্লাটুন বিজিব, ১ হাজার ৫৭৪ পুলিশ এবং ৩ হাজার ২৯৪ আনসার সদস্য মোতায়েন করা হয়।
এর মধ্যেও ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার কৃপালপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ১০৯ বছরের বৃদ্ধা জেবুন্নেছা নেছা ভোট দিতে এসে দেখে তার ভোট হয়ে গেছে। বেলা ১১টার দিকে ভ্যানে শুয়ে শীত উপেক্ষা করে এসেছিলেন ভোট দিতে এসেছিলেন তিনি। কিন্তু ভোট দিতে না পেরে ফিরে যেতে হলো তাকে।
বৃদ্ধা জেবুন্নেছার নাতি নাঈমুল ইসলাম নয়ন বলেন, ‘আমার দাদি হাঁটতে পারেন না। তারপরও তার ইচ্ছায় ভোট দিতে নিয়ে এনেছিলাম। ভোট নষ্ট করে তো লাভ নেই। কিন্তু ভোটকেন্দ্রের বুথে গিয়ে জানতে পারি দাদির ভোট আগেই কে যেন দিয়ে গেছে। বিষয়টি প্রিসাইডিং অফিসারকে জানানো হয়েছে কিন্তু কোনো লাভ হয়নি।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কৃপালপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার রাকিবুল ইসলাম বলেন, ‘আমি তো কাউকে চিনি না। প্রতিটা বুথে প্রার্থীদের পোলিং এজেন্ট রয়েছেন। তারা না চিনতে পারলে আমার কী করার আছে বলেন?’