ঘন কুয়াশার কারণে চার ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ফেরি চলাচল শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিআইডব্লিউটিসির দৌলতদিয়া ঘাট শাখার ব্যবস্থাপক শিহাব উদ্দিন ।
এর আগে ভোর চারটার দিকে কুয়াশার ঘনত্ব বেড়ে গেলে ফেরি চলাচল বন্ধ রাখা হয়। তখন থেকেই ঘাট এলাকায় সৃষ্টি হয় দীর্ঘ যানজট। আটকা পড়ে ছোট-বড় মিলে কয়েকশ যানবাহন। ভোগান্তিতে পড়েন চালক ও যাত্রীরা।
বৃহস্পতিবার সকালে ঘাটে গিয়ে দেখা যায়, ঘাটের চারপাশ কুয়াশাচ্ছন্ন। জিরো পয়েন্ট থেকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে চার কিলোমিটার এবং ঘাট থেকে তেরো কিলোমিটার দূরে পণ্যবাহী ট্রাকের দীর্ঘ সারির সৃষ্টি হয়। লম্বা সময় পারের অপেক্ষায় থেকে ভোগান্তিতে পড়েন চালক ও যাত্রীরা।
আরো পড়ুন: ৯ ঘণ্টা পর দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে চলল ফেরি
খুলনা থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী সোহাগ পরিবহনের যাত্রী আয়নাল হোসেন বলেন, ‘রাত চারটায় ফেরি বন্ধ হওয়ার পর থেকে বসে আছি। রাতে ঘুমাতে পারিনি। প্রচণ্ড শীত লেগেছে। একটা চাদরে কি শীত যায়?’
আরেক যাত্রী ইকরাম শেখ বলেন, ‘ছোট শিশুকে নিয়ে ঢাকায় ফিরছি। সকালে অফিসে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু কুয়াশায় ফেরি বন্ধ থাকায় এখনো বসে আছি। বাচ্চাকে নিয়ে সারা রাত খুবই কষ্ট হয়েছে।’
ট্রাক চালক রায়হান বলেন, ‘মঙ্গলবার বিকেল থেকে গোয়ালন্দ মোড়ে আটকে আছি। ফেরি বন্ধ থাকায় দুই দিনেও ফেরিতে উঠতে পারিনি। ঘাটের যা পরিস্থিতি আগামী চার দিনেও ফেরিতে উঠতে পারবো কি না জানি না।’
আরেক ট্রাক চালক রমজান বলেন, ‘পদ্মা পার হতে খুবই ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। আটকে আছি দুই দিন ধরে। এখানে নেই খাবার হোটেল, ঘুমানোর জায়গা। তার ওপর শীতে জীবনটা শেষ হয়ে যাচ্ছে।’
বিআইডব্লিউটিসির দৌলতদিয়া ঘাট শাখার ব্যবস্থাপক শিহাব উদ্দিন বলেন, ‘রাত চারটার সময় কুয়াশার ঘনত্ব বেড়ে যায়। দুর্ঘটনা এড়াতে এই রুটে ফেরি চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। ফলে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে । কুয়াশা কেটে গেলে সকাল আটটার সময় আবার ফেরি চলাচল শুরু হয়।’
শারে/এআই