নারায়ণগঞ্জের ধলেশ্বরীতে ট্রলারডুবির ঘটনায় দ্বিতীয় দিনের মতো উদ্ধার অভিযান শুরু করেছে ফায়ার সার্ভিস। তাদের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন নৌ বাহিনী, কোস্টগার্ড ও বিআইডব্লিউটিএর ডুবুরি দলের সদস্যরা।

বৃহস্পতিবার (৬ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ৯টা থেকে উদ্ধার অভিযান শুরু হয়। তবে এখনো জীবিত বা মৃত কাউকে উদ্ধার করা যায়নি।

ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশর অফিসার আলম হোসেন বলেন, ‘ভোর থেকে নদীতে প্রচুর কুয়াশা থাকার কারণে উদ্ধার অভিযানে বেগ পেতে হচ্ছে। আমরা নদীতে কয়েটি ভাগে বিভক্ত হয়ে উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছি।’

‘নৌ বাহিনী, কোস্টগার্ড ও বিআইডব্লিউটিএর ডুবুরি দল নদীতে নেমেছে। তবে এখনো ডুবে যাওয়া ট্রলারের সন্ধান পাওয়া যায়নি। পাশাপাশি কারো মরদেহ উদ্ধার হয়নি’, বলেন আলম হোসেন।

এদিকে ধলেশ্বরী নদীর তীরে নিখোঁজদের স্বজনরা তাদের প্রিয় মানুষটির জন্য অপেক্ষা করছেন। বার বার আহাজারী করে প্রিয় মানুষটিকে ফিরে পেতে চাচ্ছেন। ভোর থেকে এ নদীর তীরে অসংখ্য মানুষ আসতে শুরু করেন। তাদের মধ্যে কেউ সন্তান, কারো ভাই এবং সহকর্মীর সন্ধানে অপেক্ষার প্রহর গুনছেন।

লঞ্চের ধাক্কায় ডুবে যাওয়া ট্রলারের যাত্রীদের মধ্যে এখন পর্যন্ত নিখোঁজ রয়েছেন বক্তাবলী এলাকার কলেজ শিক্ষার্থী সাব্বির হোসেন, নেয়ামতপুর এলাকার আব্দুল্লাহ, চর মধ্য নগরের জিয়াসমিন আক্তার ও তার মেয়ে তাসমিন আক্তার, ছেলে তামিম এবং দুই বছরের ছোট শিশু তাসফিয়া।

এ ছাড়াও এ দুর্ঘটনায় উত্তর গোপালনগর এলাকার মোতালেব মিয়া ও একই এলাকার মসজিদের মোয়াজ্জিন আব্দুল্লাহ ও ৬৫ বছর বয়সী হকার শামসুদ্দিন নিখোঁজ রয়েছেন।

আরও পড়ুন: ‘এমভি ফারহান-৬’ লঞ্চের চালকসহ আটক ৩

এদিকে ট্রলারটিকে ধাক্কা দেয়া এমভি ফারহান-৬ নামের যাত্রীবাহী লঞ্চটি জব্দ করে লঞ্চের চালক মাষ্টারসহ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে নৌ পুলিশ। তাদের বিরুদ্ধে ফতুল্লা মডেল থানায় মামলা করেছে বিআইডব্লিউটিএ।

বুধবার সকাল সাড়ে আটটার দিকে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লার ধর্মগঞ্জ এলাকার ধলেশ্বরীতে এমভি ফারহান-৬ নামের যাত্রীবাহী লঞ্চের ধাক্কায় অন্তত ত্রিশ যাত্রী নিয়ে ডুবে যায় ট্রলারটি। অনেকে সাতরে তীরে উঠলেও নিখোঁজ হন ৯ জন। সারাদিন ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিরা উদ্ধার অভিযান চালিয়েও ডুবে যাওয়া ট্রলারের সন্ধান পায়নি। ঘন কুয়াশা ও অন্ধকারের কারণে বুধবার সন্ধ্যা ৭ টার দিকে প্রথম দিনের উদ্ধার কাজ স্থগিত করা হয়।

/বিহো/এআই