logo
আপডেট : ৬ জানুয়ারি, ২০২২ ১৭:১২
মান বাড়াতে শিক্ষার্থী কমাতে চায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
ঢাবি প্রতিনিধি

মান বাড়াতে শিক্ষার্থী কমাতে চায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি প্রাঙ্গণ। ফাইল ছবি

শতবর্ষ পেরিয়ে আসা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষ শিক্ষার গুণগত মান বাড়াতে শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ লক্ষ্যে ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষ থেকে ভর্তির আসন সংখ্যা কমিয়ে আনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

গত বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিনস কমিটির এক বিশেষ সভায় এ সিদ্ধান্ত হয় বলে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

‘যুগের চাহিদা বিবেচনায়’ বেশ কয়েকটি বিভাগ ও ইনস্টিটিউটে শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমিয়ে ‘সক্ষমতা’ অনুযায়ী কোনো কোনো বিভাগে আসনসংখ্যা বাড়ানোরও সিদ্ধান্ত হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ শিক্ষার্থীর সংখ্যা ‘যৌক্তিক’ হারে নির্ধারণের কথা বলেছে। সেই মানদণ্ড রাখতে গেলে শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমে যাওয়াই স্বাভাবিক।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমানে ১৩টি অনুষদের অধীন ৮৩টি বিভাগ রয়েছে। এ ছাড়া রয়েছে ১৩টি বিশেষায়িত ইনস্টিটিউট।

সর্বশেষ ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে ৭ হাজার ১৪৮ শিক্ষার্থী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এসব বিভাগ-ইনস্টিটিউটে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পেয়েছে।

ডিনস কমিটির সভা শেষে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘সভায় সংশ্লিষ্ট বিভাগ বা ইনস্টিটিউট ও অনুষদসমূহের চাহিদা বা প্রস্তাব পর্যালোচনা করা হয় এবং ভর্তির যৌক্তিক আসনসংখ্যা নির্ধারণ বিষয়ে সুপারিশ প্রণীত হয়। এই সুপারিশ অনুমোদনের জন্য পরবর্তী অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের সভায় পেশ করা হবে।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে সভায় উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মুহাম্মদ সামাদ, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক এএসএম মাকসুদ কামাল এবং বিভিন্ন অনুষদের ডিনরা উপস্থিত ছিলেন।

অধ্যাপক মাকসুদ কামাল বলেন, ‘বৈশ্বিক মানের শিক্ষা নিশ্চিত করতে এবং উচ্চশিক্ষাকে প্রয়োজন ও দক্ষতাভিত্তিক করতে এ উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক চাহিদা বিবেচনায় কোনো কোনো বিভাগে শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমানো হবে এবং কোনোটিতে বাড়ানো হবে।’

কোন কোন বিভাগে কত সংখ্যক শিক্ষার্থী কমানো হবে- জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘বিভাগ ও ইনস্টিটিউটগুলোর চাহিদা ডিনদের মাধ্যমে আমরা জেনেছি। তবে কোন সাবজেক্টে কত কমানো হবে তা চূড়ান্ত হয়নি।’

তিনি বলেন, ‘শ্রেণিকক্ষের আকার অথবা আন্তর্জাতিক পর্যায়ে শ্রেণিকক্ষ ও শিক্ষার্থীরা যে অনুপাত হয়, সেই বিবেচনায় আমরা শিক্ষার্থীর সংখ্যা নির্ধারণ করব। যেসব বিষয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা বাড়ানো দরকার, সেগুলোয় বাড়ানো হবে। অন্যদিকে যেসব বিষয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমানো দরকার, সেখানে কমানো হবে।’