logo
আপডেট : ৬ জানুয়ারি, ২০২২ ১৭:৫৮
বিসিএল চ্যাম্পিয়ন মধ্যাঞ্চল
ক্রীড়া প্রতিবেদক

বিসিএল চ্যাম্পিয়ন মধ্যাঞ্চল

জয়ের জন্য দরকার ২১৮ রান। এ লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে মধ্যাঞ্চলের টপ অর্ডার হাটল উল্টো পথে। পাঁচ ব্যাটার ছুঁতে পারল না দুই অঙ্কের রান। বিপদে পড়া দলকে টেনে তুললেন শুভাগত হোম। প্রথম ইনিংসের মতো দ্বিতীয় ইনিংসেও হাঁকালেন দারুণ সেঞ্চুরি। আর তাতে বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগের (বিসিএল) শিরোপাও জিতল ওয়ালটন মধ্যাঞ্চল।

দারুণ প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ফাইনালের শেষ দিনে গতকাল দক্ষিণাঞ্চলকে ৪ উইকেটে হারিয়ে শিরোপা উৎসবে মাতে মধ্যাঞ্চল। বিসিএল পাঁচবারের চ্যাম্পিয়নদের হারিয়ে তারা জিতল তৃতীয়বারের মতো শিরোপা। দলটি আগের শিরোপাটি জিতেছিল ২০১৫-১৬ মৌসুমে।

২১৮ রানের লক্ষ্য তাড়ায় জয়ের জন্য পঞ্চম দিন ১৯২ রান প্রয়োজন ছিল মধ্যাঞ্চলের। ৩ উইকেটে ২৬ রান নিয়ে খেলতে নামা দলটি লক্ষ্যে পৌঁছে যায় দিনের দ্বিতীয় সেশনেই। দিনের শুরুতে দ্রুত আরো তিন উইকেট হারিয়ে যখন ধুঁকছে দল, হাল ধরেন শুভাগত ও জাকের। দুজনে গড়েন ১৫৩ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি। যেখানে অগ্রণী ছিলেন শুভাগত।

দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে ১২১ বলে ২ ছক্কা ও ১৩ চারে ১১৪ রান করে দলের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়েন শুভাগত। প্রথম ইনিংসে মধ্যাঞ্চল অধিনায়ক খেলেছিলেন ১১৬ রানের ইনিংস। ডাবল সেঞ্চুরি করা মোহাম্মদ মিঠুনের সঙ্গে ২৮৩ রানের জুটি গড়ে দলকে এনে দিয়েছিলেন বড় সংগ্রহ। প্রথম ইনিংসে ফিফটি করা জাকের এবার অপরাজিত থাকেন ৪১ রানে।

দিনের তৃতীয় ওভারেই সৌম্য সরকারকে হারায় মধ্যাঞ্চল। আগের দিনের ৮ রানের সঙ্গে কোনো রান যোগ না করতেই মেহেদি হাসান রানার বলে এলবিডব্লিউ হয়ে যান সৌম্য। মেহেদি রানা টিকতে দেননি তাইবুর রহমানকেও। থিতু হওয়ার চেষ্টায় থাকা এই ব্যাটসম্যান ক্যাচ দেন কিপারের হাতে। আগের দিনের আরেক অপরাজিত ব্যাটসম্যান সালমান হোসেন কিছুক্ষণ লড়াই করলেও পারেননি বড় ইনিংস খেলতে। কামরুল ইসলাম রাব্বির বলে ফেরেন ৫ চারে ৩৭ রান করে।

৬৮ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে পথ হারাতে বসা দলের হাল ধরেন শুভাগত ও জাকের। আত্মবিশ্বাসী ব্যাটিংয়ে রান বাড়াতে থাকেন শুভাগত, সাবধানী ছিলেন জাকের। শুভাগত ফিফটি স্পর্শ করেন ৬৩ বলে, সমান সংখ্যক বল খেলে জাকেরের রান তখন ১৬। তাদের দুইজনের জুটিতে লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে যেতে থাকে মধ্যাঞ্চল।

রিশাদ হোসেনকে চার মেরে শুভাগত পা রাখেন ষোড়শ সেঞ্চুরিতে। আগের ম্যাচেও তার ব্যাট থেকে এসেছিল ১৫২ রান। ফাইনালে জয়সূচক রানটি এসেছে জাকেরের ব্যাট থেকে, নাসুম আহমেদকে চার মেরে। জোড়া সেঞ্চুরি করা শুভাগত জেতেন ম্যাচ সেরার পুরস্কার। একটি করে সেঞ্চুরি ও ডাবল সেঞ্চুরি করা মিঠুন এবং তিনটি শতক হাঁকানো জাকির হাসান পান টুর্নামেন্ট সেরার পুরস্কার।