জোহানেসবার্গ টেস্ট যে নিষ্পত্তি হচ্ছে তা তৃতীয় দিন শেষেই নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল। কেননা জয়ের জন্য দক্ষিণ আফ্রিকার প্রয়োজন ছিল ১২২ রানের। আর ভারতের ৮ উইকেটের। আর হাতে ছিল পুরো দুইদিন। একমাত্র বৃষ্টিই ম্যাচটিকে জয়-পরাজয় থেকে দূরে রাখতে পারত।
ভারতের প্রার্থনা অনুযায়ী জোহানেসবার্গে বৃষ্টি আশীর্বাদ হয়ে নেমেছিল ঠিকই; কিন্তু তা ম্যাচ বাতিলের জন্য যথেষ্ট ছিল না। ফলে যা হওয়ার তাই হয়েছে। ডিন এলগারের অসাধারণ ব্যাটিং দক্ষিণ আফ্রিকাকে সিরিজে ফিরিয়ে এনেছে। ৭ উইকেটের বিশাল জয় দিয়ে সিরিজে সমতা ফিরিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। ফলে তিন ম্যাচের সিরিজের তৃতীয় ম্যাচটি এখন সিরিজ নির্ধারকে রূপ নিয়েছে।
আগে শেষ হওয়া তিন ইনিংসই দুইশোর ঘরে শেষ হয়েছিল। প্রথম টেস্টে জয় পাওয়া ভারত প্রথম ইনিংসে স্কোরবোর্ডে ২০২ রান জমা করেছিল। ফলে দলকে ম্যাচে ফিরিয়ে আনতে বোলারদের অসাধারণ কিছু করার দরকার ছিল। দলের চাহিদা পূরণে হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন শার্দূল ঠাকুর। একাই সাত উইকেট শিকার করেছিলেন। আর তাতেই স্বাগতিক দলের নাভিশ^াস উঠেছিল। তার মধ্যে ব্যতিক্রম ছিলেন কিগান পিটারসেন ও টেম্বা বাভুমা। সতীর্থদের ব্যর্থতার মাঝে তাদের ব্যাট থেকে স্কোর কার্ডে যথাক্রমে ৬২ ও ৫১ রান যোগ হয়েছিল। আর তাতেই ভারতের সংগ্রহ টপকে ২৭ রানের লিড নিয়েছিল স্বাগতিক দল।
দ্বিতীয় ইনিংসে ভারতের অবস্থার উন্নতি হলেও তা যথেষ্ট ছিল না। চেতশ্বর পুজারা (৫৩) ও আজিঙ্কা রাহানের (৫৮) দুই দুর্বল হাফ সেঞ্চুরিতে ২৬৬ রান করে ভারত। কিন্তু প্রথম ইনিংসে ২৭ রানে পিছিয়ে থাকা দক্ষিণ আফ্রিকার সামনে তারা মাত্র ২৪০ রানের লক্ষ্যমাত্রা দিতে সমর্থ হয়।
এমন অবস্থায় যেভাবে বোলারদের এগিয়ে আসার দরকার ছিল, এ ইনিংসে তা হয়নি। বৃষ্টির সহায়তা পেয়েও পেসাররা আগুন ঝড়াতে পারেনি। ফলে নির্বিষ বোলিংয়ের সামনে দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটাররা সহজেই লক্ষ্যে পৌঁছে যায়। প্রথম ইনিংসে ব্যর্থ অধিনায়ক ডিন এলগার এ ইনিংসে অধিনায়কোচিত ইনিংস উপহার দিয়েছেন। ৯৬ রানের ঝলমলে এক ইনিংস খেলেছেন। যা দলকে লক্ষ্যে পৌঁছে দিতে সমর্থ হয়। ৩০৯ মিনিট ক্রিজে থেকে ১৮৮ বলে ১০ বাউন্ডারিতে এ ইনিংসটি সাজিয়েছিলেন তিনি।
এলগারের পাশাপাশি ভ্যান ডার ডুসেনের ৪০ রান আর ওপেনার এইডেন মাকক্রামের ৩১ রানের সঙ্গে যোগ হয়েছিল টেম্বা বাভুমার অপরাজিত ২৩ রান।
আগামী ১১ জানুয়ারি কেপটাউনে শুরু হবে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ টেস্ট। এ ম্যাচই এখন সিরিজ নির্ধারক।