logo
আপডেট : ৭ জানুয়ারি, ২০২২ ১৭:৫৭
বিটিভির মাধ্যমে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সংস্কৃতি সংরক্ষণ ও বিকাশের উদ্যোগ
লোকালয় অনুষ্ঠানের ৩৮ বছর পূর্তি উদযাপন
খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি

লোকালয় অনুষ্ঠানের ৩৮ বছর পূর্তি উদযাপন

লোক-লোকালয় অনুষ্ঠানের ৩৮বছর পুর্তিতে স্থানীয় শিল্পীদের সম্মাননা প্রদান

দেশের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সংস্কৃতি, ঐতিহ্য সংরক্ষণ ও বিকাশের উদ্যোগ নিয়ে দীর্ঘ ৩৮ বছর ধরে বাংলাদেশ টেলিভিশনে ধারাবাহিকভাবে সম্প্রচার হচ্ছে ‘লোক-লোকালয়’ অনুষ্ঠান। আশির দশকের প্রথমদিকে অনুষ্ঠানটির নাম ‘বনফুল’ থাকলেও পরবর্তীতে এর নাম বদলে করা হয় ‘লোক-লোকালয়’। অনুষ্ঠানটির ৩৮বছর পূর্তি উপলক্ষে খাগড়াছড়ি জেলার সাংস্কৃতিক সংগঠক ও শিল্পীরা এক আনন্দ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। ওই অনুষ্ঠানে দীর্ঘ ৩৮বছরের পথ চলার স্মৃতি নিয়ে আলোচনাপর্ব, বর্ষপূর্তির কেক কাটা এবং শিল্পীদের পক্ষ হতে স্মৃতিচারণ অনুষ্ঠিত হয়।


খাগড়াছড়ি প্রেসক্লাব মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এই আনন্দ আয়োজনে বক্তব্য রাখেন, ‘লোক-লোকালয়’ অনুষ্ঠানের সংগঠক ও উপস্থাপক চৌধুরী আতাউর রহমান। অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, শিক্ষাবিদ ধর্মরাজ বড়–য়া, বিশিষ্ট শিল্পী সংগঠক প্রকৌশলী জীবন রোয়াজা, খাগড়াছড়ি প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি দীলিপ চৌধুরী, সিনিয়র সাংবাদিক মুহাম্মদ আবু দাউদ ও খাগড়াছড়ি জেলা ক্রীড়া সংস্থার যুগ্ম-সম্পাদক সাংবাদিক আজহার হীরা। শিল্পীদের পক্ষে স্মৃতিচারণ করেন অংচাইরী মারমা, ক্রাঞোরী মারমা। শিল্পী, সংগঠকরা অনুষ্ঠানের ধারা অব্যাহত রাখতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহবান জানান।


অনুষ্ঠানে বক্তারা বিটিভির ‘লোক লোকালয়’ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পার্বত্য চট্টগ্রামসহ সারা দেশের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর বর্ণিল সংস্কৃতি, ভাষা, পোষাক-পরিচ্ছদ, ঐতিহ্য সংরক্ষণ ও বিকাশে ভুমিকা রাখায় বাংলাদেশ টেলিভিশন এবং সংশ্লিষ্টদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান। বক্তারা আরো বলেন, এই অনুষ্ঠানটির কারণে পাহাড়ী মানুষের বৈচিত্র্যময় সংস্কৃতি ও বৈশিষ্ট্য অনেকটাই সুরক্ষা পেয়েছে। দীর্ঘ ৩৮বছরে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সংস্কৃতি বিকাশে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ বান্দরবানের শিল্পী ও সংগঠক চথুইপ্রæ মারমা, খাগড়াছড়ির শিল্পী ও সংগঠক এ্যামেলী দেওয়ান ও অংচাইরী মারমা, পাইনীলা চৌধুরী, রাঙ্গামাটির শিল্পী ও সংগঠক তৃষ্ণা ত্রিপুরাকে সম্মাননা প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানের আলোচনা পর্ব শেষে কেক কেটে ৩৮বছর পুর্তি উদযাপন করা হয়।