প্রায় আড়াই বছর দলে ছিলেন না উসমান খাজা। ফিরলেন যখন তখন প্রজার মতো নয়, রাজার মতো করেই বোলারদের ওপর ছড়ি ঘোরালেন। সিডনি টেস্টে উভয় ইনিংসে তার নামের পাশে সেঞ্চুরির কৃতিত্ব যোগ হয়েছে। আর তাতেই ইংল্যান্ডের সামনে কঠিন লক্ষ্য ছুঁড়ে দিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। রোববার ম্যাচের শেষ দিনে ১০ উইকেট শিকার করতে পারলেই অস্ট্রেলিয়া ইংল্যান্ডকে হোয়াইট ওয়াশ করার সম্ভাবনা জিইয়ে রাখতে পারবে। অন্যদিকে হোয়াইট ওয়াশ এড়াতে এ ম্যাচে ইংল্যান্ড হার এড়াতেই হবে। তাদের সামনে জয়ের যেমন সুযোগ রয়েছে তেমনি ড্রয়ের। তবে দুটি পথই কঠিন। ৩৮৮ রানের লক্ষ্যমাত্রা দিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। চতুর্থ দিন শেষে বিনা উইকেটে ৩০ রান করেছে ইংল্যান্ড। অর্থাৎ জয় পেতে আজ তাদের ৩৫৭ রান করতে হবে। অথবা সারাদিন ব্যাট করতে হবে। দুটি কাজের কোনোটাই মোটেও মসৃণ নয়।
উসমান খাজা প্রথম ইনিংসে ১৩৭ রানের ঝলমলে ইনিংস খেলেছিলেন। আর দ্বিতীয় ইনিংসে করেছেন অপরাজিত ১০১ রান। তার সেঞ্চুরির পরপরই অস্ট্রেলিয়া ইনিংসের সমাপ্তি টানে। এ সেঞ্চুরিতে খাজা সিডনিতে তৃতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে উভয় ইনিংসে সেঞ্চুরির কৃতিত্ব গড়লেন। তার আগে ডুগ ওয়ালটার্স ও রিকি পন্টিং এ কীর্তি গড়েছেন। অ্যাশেজে অবশ্য এ কীর্তিতে খাজা নবম। আর পঞ্চম বা তার থেকে নিচে ব্যাটিং করতে নেমে দশম ব্যাটসম্যান হিসেবে খাজা উভয় ইনিংসে সেঞ্চুরি করেছেন।
চতুর্থ দিনে অন্য ব্যাটাররা যখন রান করতে লড়াই করেছেন সেখানে সাবলীল ব্যাটিং করেছেন খাজা। একের পর এক বলকে সীমানার বাইরে পাঠিয়েছেন। ১০১ রানের ইনিংসটি খেলতে খাজা খেলেছেন মাত্র ১৩৮ বল। ১০ বাউন্ডারি ও দুই ওভার বাউন্ডারিতে সাজানো ছিল তার ইনিংসটি। শুধু খাজা নয়, ক্যামেরন গ্রিনও দারুণ ব্যাটিং করেছেন। ১২২ বলে ৭৪ রান করেন তিনি। সাত বাউন্ডারি ও এক ওভার বাউন্ডারি মেরেছেন তিনি। পঞ্চম উইকেটে এ জুটি ১৭৯ রানের জুটি গড়েন। মূলত এ জুটি ইংলিশদের হতাশা বাড়িয়ে দেন।
৩৮৮ রানের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে খেলতে নেমে ইংল্যান্ড এই প্রথম ভালো একটা সূচনা করেছে। এরই মধ্যে তাদের দুই ওপেনার স্কোর বোর্ডে ৩০ রান জড়ো করেছে। ১১ ওভার ব্যাটিং করেছেন তারা। জ্যাক ক্রলি ২২ রানে ও হাসিব হামিদ ৮ রানে পঞ্চম দিনের ব্যাটিং শুরু করবেন। হাসিব বেশ সতর্ক ব্যাটিং করেছেন। ৮ রান করতে তিনি ৩৪ বল মোকাবেলা করেছেন। তবে জ্যাক ক্রলি ছিলেন বেশ আক্রমণাত্মক। ২২ রান করতে খেলেছেন ৩২ রান। এবারের অ্যাশেজ প্রথম উইকেটে এটা ইংল্যান্ডের সর্বোচ্চ সংগ্রহ। তাদের প্রথম দিনের ব্যাটিং কিছুটা হলেও ইংল্যান্ডকে আশাবাদী করে তুলেছে। অন্তত কোনো উইকেট না হারানোর স্বস্তি নিয়ে তারা পঞ্চম দিনের লড়াইয়ে নামবে।