মাইলফলকের হাতছানি নিয়ে বাংলাদেশের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ শুরু করেছিলেন নিউজিল্যান্ডের ট্রেন্ট বোল্ট। প্রথম ম্যাচে অবশ্য সুবিধা করতে পারেননি। প্রথম ইনিংসে ৪ উইকেট নিয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছিল। দ্বিতীয় ইনিংসে কোনো উইকেট পাননি। অবশ্য বেশি বল করার সুযোগ পাননি তিনি, সুযোগও ছিল না। কেননা দ্বিতীয় ইনিংসে জয় পেতে বাংলাদেশকে মাত্র ১৬.৫ ওভার বোলিং মোকাবিলা করতে হয়েছিল। আর বোল্ট ওই ইনিংসে ৫ ওভার বল করার সুযোগ পেয়েছিলেন।
দ্বিতীয় ম্যাচে মাইলফলকে পা রাখতে আর দেরি করেননি বোল্ট। একের পর এক উইকেট ঝুলিতে পুরে এ কিউই পেসার তিনশ’ উইকেট শিকারের মাইলফলকে পৌঁছেছেন। চতুর্থ কিউই পেসার হিসেবে তিনি এ কীর্তি গড়েছেন। দ্বিতীয় ইনিংসে বোল্ট ৫ উইকেট নিয়েছেন। এ পাঁচ উইকেট নিয়ে তার শিকার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩০১। কাল দ্বিতীয় ইনিংসে ১৩.২ ওভারে ৪৩ রানে ৫ উইকেট নিয়েছেন তিনি। মেহেদি হাসান মিরাজকে (৫) বোল্ড করে কাক্সিক্ষত এ মাইলফলকে পা রাখেন বামহাতি এ পেসার। পরে শরীফুল ইসলামকে (২) বোল্ড করে শিকার সংখ্যাকে ৩০১ করেন। এর আগে তিনি সাদমান ইসলাম (৭), নাজমুল হোসেন শান্ত (৪) ও লিটন দাসের (৮) উইকেট নেন।
২০১১ সালে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক হয়েছিল বোল্টের। ৩৬তম বোলার হিসেবে বোল্ট ৩০০ উইকেট শিকারের মাইলফলক স্পর্শ করেছেন। এ জন্য বোল্টকে খেলতে হয়েছে ৭৫ ম্যাচ। সময় নিয়েছেন ১১ বছর। বোল্ট ইনিংসে ক্যারিয়ার সেরা বোলিংয়ে ৩০ রানে ৬ উইকেট নিয়েছেন। তার ম্যাচসেরা বোলিং ৮০ রানে ১০ উইকেট। ৯ বার তিনি ম্যাচে পাঁচ উইকেট শিকারের কীর্তি গড়েছেন। আর ১০ উইকেট নিয়েছেন একবার।
৩০০ উইকেট ক্লাবের নিউজিল্যান্ডের অন্য তিন সদস্য হচ্ছেনÑ স্যার রিচার্ড হ্যাডলি (৪৩১), ড্যানিয়েল ভেট্টরি (৩৬২) ও টিম সাউদি (৩২৮)। এদের মধ্যে প্রথম দুইজন সাবেক তালিকায় নাম লিখিয়েছেন। অন্যজন এ ম্যাচে বোল্টের সঙ্গে খেলছেন। সবচেয়ে বেশি উইকেট শিকারের তালিকায় সবার উপরে রয়েছেন শ্রীলঙ্কার মুত্তিয়া মুরালিধরন। ১৮ বছরের ক্যারিয়ারে ১৩৩ ম্যাচ খেলে তিনি ৮০০ উইকেট শিকার করেছেন। উইকেট সংখ্যায় তার ধারেকাছে কেউ নেই। ৭০৮ উইকেট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে অস্ট্রেলিয়ার শেন ওয়ার্ন। এছাড়া ইংল্যান্ডের জেমস অ্যান্ডারসন ৬৪০ উইকেট নিয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছেন।