logo
আপডেট : ১১ জানুয়ারি, ২০২২ ১৭:৩১
নর্দার্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যানকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ
নিজস্ব প্রতিবেদক

নর্দার্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যানকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ

নর্দার্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আবু ইউসুফ মো. আব্দুল্লাহ

প্রতারণা ও জালিয়াতির অভিযোগে দায়ের করা মামলায় নর্দার্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আবু ইউসুফ মো. আব্দুল্লাহ ও তার সহযোগী রিয়াজুল আলমকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন ঢাকার একটি আদালত।

মঙ্গলবার (১১ জানুয়ারি) ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম তরিকুল ইসলাম এ আদেশ দেন।

খিলক্ষেত থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা মো.সেলিম হোসেন ভোরের আকাশকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, আসামিপক্ষের আইনজীবীরা আজ জামিনসহ অন্যান্য শুনানির তারিখ পেছানোর জন্য আবেদন করেন। তাদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক আগামীকাল বুধবার (১২ জানুয়ারি) শুনানির তারিখ নির্ধারণ করেছেন।

বাদীপক্ষের আইনজীবী কাজী নজরুল ইসলাম রানা জানান, ‘আসামি পক্ষের সময় চেয়ে আবেদন করায় আজকে শুনানি হচ্ছে না। তবে আগামীকালের শুনানিতে আমরা জামিনের বিরোধিতা করবো।’

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা খিলক্ষেত থানার উপ-পরিদর্শক মো. নাজমুল হকসহ দুই আসামিকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেছিলেন।

গত ১০ জানুয়ারি আবু ইউসুফ মো. আব্দুল্লাহসহ দুইজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

রাজধানীর খিলক্ষেত থানায় আশিয়ান ল্যান্ডস ডেভেলপমেন্ট লিমিটেডের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি) মো. সাইফুল ইসলাম ভুঁইয়া মামলাটি দায়ের করেন। মামলাতে আবু ইউসুফ মো. আব্দুল্লাহর সহযোগী হিসেবে মো. রিয়াজুল আলম ও সেলিম মুন্সিসহ অজ্ঞাতনামা আরও ছয়-সাত জনকে আসামি করা হয়।

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ক্যাম্পাস স্থাপনের জন্য আশিয়ান ল্যান্ডস ডেভেলপমেন্টের ৫ বিঘা জমি পছন্দ করে নর্দার্ন বিশ্ববিদ্যালয়। আলোচনাসাপেক্ষে ওই জমির মূল্য নির্ধারণ করা হয় ৫০ কোটি টাকা। এর মধ্যে চেকের মাধ্যমে ৩০ কোটি টাকা পরিশোধ করে নর্দার্ন বিশ্ববিদ্যালয়। বাকি ২০ কোটি টাকা পরে পরিশোধ করার কথা বলা হয়।

মামলায় অভিযোগ আরও বলা হয়, পরবর্তী সময়ে নর্দার্ন বিশ্ববিদ্যালয় ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আবু ইউসুফ মো. আব্দুল্লাহর কাছে বাকি ২০ কোটি টাকা চাইলে তিনি জানান, সব টাকা পরিশোধ করা হয়েছে। পরে বাদী খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন, ওই জমি ৯ কোটি ৩৩ লাখ টাকায় কেনা হয়েছে বলে দেখানো হয়েছে সাফ কবলা দলিলে। আরও জানা যায়, দলিল সম্পাদনকারী মোহরার হিসেবে বাদীর অফিসের মোহরারের নাম থাকলেও তিনি এ ধরনের কোনো দলিল লেখার কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন না বলে জানিয়েছেন।