logo
আপডেট : ১২ জানুয়ারি, ২০২২ ১৮:০০
পেয়ারার এক ফলনে লাভ ১০ লাখ টাকা
দিনাজপুর প্রতিনিধি

পেয়ারার এক ফলনে লাভ ১০ লাখ টাকা

পলিথিন দিয়ে পেয়ারা মুড়ে দিচ্ছেন মেহেদী। ছবি- ভোরের আকাশ

দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটের মেহেদী হাসান পেয়ারা চাষ করে স্বাবলম্বী হয়েছেন। বদলে গেছে তার ভাগ্যের চাকা। এবারের ফলনে বিঘাপ্রতি দেড় লাখ টাকার পেয়ারা বিক্রি করেছেন এই তরুণ। খরচ বাদ দিয়ে লাখ টাকা লাভ হয়েছে তার।

ঘোড়াঘাট উপজেলার রানীগঞ্জের মহাসড়কের পাশে ১০ বিঘা জমিতে পেয়ারা বাগান করেছেন মেহেদী। দেড় বছর আগে এই জমিতে সাড়ে চার হাজার থাই জাতের পেয়ারার চারা লাগান তিনি। চারা লাগানোর ছয় মাসের মধ্যে প্রতিটি গাছে পেয়ারা ধরতে থাকে। পরের ছয় মাসের মধ্যে পেয়ারা বাজারজাত করেছেন তিনি। প্রায় ১৫ লাখ টাকার পেয়ারা বিক্রি করেছেন। খরচ হয়েছে মাত্র পাঁচ লাখ টাকা।

গাছ থেকে পেয়ারা পেড়ে বাজারজাত করার পরপরই প্রত্যেক গাছে নতুন করে প্রচুর পেয়ারা ধরতে শুরু করেছে। আগামী দুই মাসের মধ্যে এসব নতুন পেয়ারা বিক্রি করবেন বাগান মালিক মেহেদী হাসান।

বর্তমান তার বাগানে কাজ করেন ১০ জন শ্রমিক। তারা সারা বছর পরিচর্যা করেন। গাছের পেয়ারা পলিথিন ব্যাগ দিয়ে ঢেকে দেন। এতে পোকার আক্রমণ থেকে পেয়ারা রেহাই পায়। পেয়ারা বাগানে দুই থেকে তিন সপ্তাহ পরপর পানি সেচ ও স্প্রে দিতে হয়।

বাগান শ্রমিক মিলন হোসেন বলেন, ‘আমরা ১০ জন এই বাগান পরিচর্যার কাজ করি। বর্তমানে পলিথিন দিয়ে পেয়ারাগুলো ঢেকে দিচ্ছি। আবার মাঝেমধ্যে পানি ও স্প্রে দিতে হয়।’

খোকন নামে আরেক শ্রমিক বলেন, ‘এই বাগানে আমি সারাদিন কাজ করি। কাজ শেষে যে টাকা পাই, তা দিয়ে আমার বাবা-মা ও ভাই-বোনদের নিয়ে চলি।’

বাগান মালিক মেহেদী হাসান বলেন, ‘অনেক আশা করে নিজেকে স্বাবলম্বী করার উদ্দেশ্যে এই পেয়ারা বাগানটি করেছি। আজ আশা পূরণ হয়েছে। বিঘাপ্রতি ২২০টি করে পেয়ারার চারা লাগিয়েছিলাম। ১০ বিঘার বাগানে এবার প্রায় ১০ লাখ টাকা লাভ হয়েছে। নিজেকে আজ অনেক স্বাবলম্বী মনে হচ্ছে।’

ঘোড়াঘাট উপজেলা কৃষি অফিসার এখলাস হোসেন সরকার বলেন, ‘চলতি বছরে এই উপজেলায় পেয়ারার চাষ বৃদ্ধি পেয়েছে। আম-লিচুর ভালো ফলন হয়ে থাকে এখানে। এবার পেয়ারার চাষেও মানুষ ঝুঁকে পড়েছেন।

‘উপজেলার রানীগঞ্জের মেহেদী হাসান একটি বড় পেয়ারার বাগান করেছেন। তার বাগান প্রতিনিয়ত আমরা পরিদর্শন করে আসছি। তিনি একটি পেয়ারার চালান তুলেছেন, তাতে ভালো লাভবান হয়েছেন। উপজেলায় আরও অনেকেই পেয়ারা চাষে উৎসাহী হয়ে উঠছেন। পাঁচ হেক্টর জমিতে উপজেলায় পেয়ারার চাষ হচ্ছে। আমরা সব পেয়ারা চাষিকে সুপরামর্শসহ সেবা দিয়ে আসছি।’