আফ্রিকান নেশন্স কাপে নবাগত দল কোমোরস আইল্যান্ড। প্রথম আসরেই তারা চমক দেখিয়েছে। দ্বিতীয় রাউন্ডে উঠতে পারেনি তারা, তবে ‘সি’ গ্রুপের ম্যাচে বিস্ময় ছড়িয়েছে। মঙ্গলবার গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে তারা শক্তিশালী ঘানাকে ৩-২ গোলে হারিয়ে দিয়েছে। আর তাতেই এবারের টুর্নামেন্টে গ্রুপ পর্ব থেকে ঘানাকে বিদায় নিতে হচ্ছে। তিন ম্যাচের দুটিতে হেরেছে ঘানা। আর এক ম্যাচ ড্র করেছে। অন্যদিকে কোমোরস তিন পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপে তৃতীয় হয়েছে।
‘সি’ গ্রুপ থেকে মরক্কো চ্যাম্পিয়ন হয়ে পরবর্তী রাউন্ডে উঠেছে। তাদের পয়েন্ট ৭। মরক্কোর সঙ্গী হয়েছে গ্যাবন। তাদের সংগ্রহ ৫ পয়েন্ট। গ্রুপের শেষ ম্যাচে তারা মুখোমুখি হয়েছিল। ম্যাচটি ২-২ গোলে ড্র হয়েছে।
ঘানার জন্য এবারের টুর্নামেন্ট বড় এক লজ্জা হয়ে দেখা দিয়েছে। এই প্রথম দলটি গ্রুপ পর্বে কোনো ম্যাচই জিততে পারেনি। ঘানা এ নিয়ে ২৩ বার টুর্নামেন্টের চূড়ান্ত পর্বে খেলছে। চারবার তারা শিরোপা জিতেছে। একাধিকবার গ্রুপ পর্ব থেকে ছিটকে গেছে। কিন্তু কখনো গ্রুপ পর্বে একটা ম্যাচও জিততে পারেনি তেমনটা হয়নি।
কোমোরসের বিপক্ষে জয় পেলে ঘানার দ্বিতীয় পর্বে খেলার একটা সম্ভাবনা ছিল। কিন্তু তাদের সে সম্ভাবনা ম্যাচের শুরুতেই থমকে দেয় কোমোরস। ম্যাচের চতুর্থ মিনিটেই কোমোরসকে এগিয়ে নেন এল ফারদুউ বেন। উপমহাদেশের কোনো টুর্নামেন্টে কোমোরসের এটা ছিল প্রথম আন্তর্জাতিক গোল। ফারদুউয়ের পর আহমেদ মগনি জোড়া গোল করেন। তার করা প্রথম গোলটি আসে ৬১ মিনিটে। আর দ্বিতীয় গোলটি করেন ৮৫ মিনিটে। তার আগে অবশ্য ম্যাচের চতুর্থ মিনিটে পিছিয়ে পড়লেও ঘানা আশার আলো হয়ে দেখা দিয়েছিল রিচমন্ড বোকয়ে ও আলেক্সান্ডার ডিকুউয়ের গোল। ৬৪ মিনিটে বোকয়ে ব্যবধান কমানোর পর আলেক্সান্ডার ৭৭ মিনিটে সমতা এনেছিলেন।
তবে ঘানার মূল সর্বনাশটা হয়ে যায় প্রথমার্ধে। এ সময়ে মাত্র ২৫ মিনিটের সময় তাদের মূল স্ট্র্াইকার দেদে আইইউ লাল কার্ড দেখে বহিষ্কৃত হন। ফলে ৬৫ মিনিটেরও বেশি সময় তাদেরকে একজন কম নিয়ে খেলতে হয়েছে। আর সে সুযোগটা ভালোভাবেই কাজে লাগিয়েছে কোমোরস।
এদিকে ‘বি’ গ্রুপ থেকে সেনেগাল গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে দ্বিতীয় রাউন্ডে পৌঁছেছে। মঙ্গলবার গ্রুপের শেষ ম্যাচে তারা মালায়ির সঙ্গে গোলশূন্য ড্র করেছে। ড্র করা সত্ত্বেও মালায়ি সেনেগালের সঙ্গী হতে পারে। সে জন্য তাদেরকে ভাগ্যের ওপর নির্ভর করতে হবে। গ্রুপের অন্য ম্যাচে জিম্বাবুয়ে ২-১ গোলে গিনিকে হারিয়েছে। জয় সত্ত্বেও জিম্বাবুয়ে দ্বিতীয় রাউন্ডের টিকেট পাচ্ছে না। তাদের সংগ্রহ ৩ পয়েন্ট। তারা রয়েছে সবার শেষে। অন্যদিকে গিনি হারলেও দ্বিতীয় রাউন্ডের টিকেট পেয়েছে। তিন ম্যাচ শেষে তাদের পয়েন্ট চার। পয়েন্ট ও গোল পার্থক্য সমান হলেও মুখোমুখি ম্যাচে গিনি জয় পাওয়ায় মালায়িকে টপকে তারা সরাসরি দ্বিতীয় রাউন্ডের টিকেট পেয়েছে। অন্যদিকে সেরা তৃতীয় দলের একটা হয়ে দ্বিতীয় রাউন্ডে যাওয়ার জন্য মালায়িকে অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে।