logo
আপডেট : ২৩ জানুয়ারি, ২০২২ ১২:৩৪
অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ
শঙ্কা উড়িয়ে বাংলাদেশ কোয়ার্টার ফাইনালে
ক্রীড়া প্রতিবেদক

শঙ্কা উড়িয়ে বাংলাদেশ কোয়ার্টার ফাইনালে

বিশ্বকাপ ধরে রাখার মিশন বাংলাদেশের যুবাদের। কিন্তু টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচে শক্তিশালী ইংল্যান্ডের কাছে হার সেই স্বপ্নে যে কিছুটা ধাক্কা লাগেনি তা নয়। শুধু তাই নয়, তৈরি হয়েছিল শঙ্কাও। তবে টানা দুই ম্যাচ জিতে সেই শঙ্কাকে উড়িয়ে দিয়েছে রাকিবুলের সেনারা। শনিবার ওয়েস্ট ইন্ডিজের বাসেতেরাতে অনুষ্ঠিত গ্রুপের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে সংযুক্ত আরব আমিরাতকে উড়িয়ে দিয়ে বাংলাদেশ শিরোপা ধরে রাখার প্রথম ধাপ ভালোভাবেই পার হয়েছে। ৯ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারিয়েছে আরব আমিরাতকে। টানা দ্বিতীয় জয়ে ‘এ’ গ্রুপ থেকে ইংল্যান্ডের সঙ্গী হয়ে পা রেখেছে সুপার লিগে। গ্রুপে বাংলাদেশ রানার্স আপ। তিন জয়ে ৬ পয়েন্ট ইংল্যান্ড চ্যাম্পিয়ন।

বোলিং ও ব্যাটিং উভয় ডিপার্টমেন্টে বাংলাদেশের যুবাদের একচ্ছত্র আধিপত্য ছিল। তাইতো বোলারদের দাপটে আরব আমিরাত মাত্র ১৪৮ রানে গুটিয়ে যায়। অন্যদিকে বৃষ্টির ফলে বাংলাদেশের সামনে জয়ের লক্ষ্যমাত্রা দাঁড়িয়েছিল ৩৫ ওভারে ১০৭ রান। বাংলাদেশ ১০.১ বল হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায়। অসাধারণ ব্যাটিং নৈপুণ্য দেখিয়ে বাংলাদেশের ওপেনার মাহফিজুল ইসলাম ম্যাচ সেরা হয়েছেন। ৬৯ বলে ৬৪ রান করেন তিনি।

১০৭ রানে জয়ের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে খেলতে নেমে বাংলাদেশকে কখনই দুঃশ্চিন্তায় পড়তে হয়নি। দুই ওপেনারই বাংলাদেশের ক্রিকেটপ্রেমীদের স্বস্তিতে রেখেছিলেন। একের পর এক বল সীমানার বাইরে পাঠিয়েছেন আর ক্রিকেটপ্রেমীদের শঙ্কাকে উড়িয়ে দিয়েছেন। ইফতেখার হোসেনকে সঙ্গী করে মাহফিজুল ইসলাম প্রথম উইকেটে ৮৬ রান জমা করেন। মাহফিজুল তার ৬৪ রানের ইনিংসে ছয়টি বাউন্ডারি ও দুটো ওভার বাউন্ডারি হাঁকিয়েছিলেন। তবে ইফতেখারের ইনিংসটি ছিল খুবই সাবধানী। কোনোরকম ঝুঁকিতে যাননি তিনি। বরং সতর্কতার সঙ্গে খেলে মাহফিজুলকে সাহস জুগিয়েছেন। ইফতেখার খেলেছেন ৭০ বল। দুই বাউন্ডারি ও এক ওভার বাউন্ডারিতে নিজের নামের পাশে ৩৭ রান জমা করেন।

ইফতেখার যখন আউট হন তখন বাংলাদেশ জয় থেকে মাত্র ২১ রান দূরে। প্রান্তিক নওরোজ নাবিলকে নিয়ে সেই পথটা সহজেই পার হয়েছেন মাহফিজুল। নাবিল ১০ বলে ৫ রানে অপরাজিত থাকেন।

এর আগে টস জিতে বাংলাদেশ অধিনায়ক আরব আমিরাতকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানান। বাংলাদেশের পাশাপাশি তাদেরও সুপার এইটে খেলার সম্ভাবনা থাকলেও তার জন্য প্রয়োজনীয় রসদ ছিল না। বাংলাদেশের বোলারদের তাণ্ডবে তারা শুরুতেই মুখ থুবড়ে পড়ে। মাত্র ৮ রানে দুই ওপেনারকে হারানোর পর তারা ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছে। মিডল অর্ডারের তিন ব্যাটার ধ্রুব পারাসার (২৩), অধিনায়ক আলিশান শারাফু (২৩) ও পূণ্য মেহরা (৪৩) দারুণ ব্যাটিং করেছেন। কিন্তু অন্যরা তাদেরকে যথার্থ সহায়তা দিতে পারেননি। তাছাড়া যে তিনজন ভালো রান করেছেন বাংলাদেশি বোলারদের সামনে তেমন হাতখুলে খেলতে পারেননি। ফলে বলের তুলনায় রান করেছেন কম।

তাদের সাত ব্যাটারই দুই অঙ্কের রানে পৌঁছাতে পারেনি। ফলে ৪৮.১ ওভার পর্যন্ত খেললেও রান তোলার গতি ধীর হওয়ায় স্কোর বোর্ডে মাত্র ১৪৮ রান জমা হয়। যা বাংলাদেশকে চ্যালেঞ্জ জানানোর মত যথেষ্ঠ ছিল না। বাংলাদেশের ব্যাটাররা তার প্রমাণও দিয়েছেন। মাত্র ২৪.৫ ওভার বোলিং মোকাবিলা করে বাংলাদেশ জয় তুলে নেয়। সে সঙ্গে বাংলাদেশের ক্রিকেটপ্রেমীদের মনে স্বস্তি এনে দেয়।