করোনায় মৃতদের দাফন ও সৎকারসহ বিভিন্নভাবে আলোচিত নারায়ণগঞ্জের কাউন্সিলর খোরশেদের স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন টিম খোরশেদ ‘এশিয়া বুক অব রেকর্ডস’-এর স্বীকৃতি পেয়েছে। শনিবার বিকেলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ‘টিম খোরশেদ’-এর টিম লিডার নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ১৩নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মাকছুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ এ তথ্য জানিয়েছেন।
ওই প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে খোরশেদ বলেন, করোনায় অসহায় মানুষের সেবা, দাফন-সৎকার, অক্সিজেন, প্লাজমা, অ্যাম্বুলেন্স ও টেলিমেডিসিন সাপোর্ট এবং খাদ্য সহায়তা প্রদান করায় ‘এশিয়া বুক অব রেকর্ডস’-এর স্বীকৃতি লাভ করেছে টিম খোরশেদ। ভারতের হায়দ্রাবাদে অবস্থিত এশিয়া বুক অব রেকর্ডস-এর প্রধান কার্যালয় থেকে পাঠানো সনদপত্র, মেডেল ও স্যুভেনির গত বৃহস্পতিবার আন্তর্জাতিক কুরিয়ারের মাধ্যমে আমাদের কাছে এসে পৌঁছায়।
টিম খোরশেদের সদস্যদের প্রতি এ অর্জন উৎসর্গ করে কাউন্সিলর মাকছুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ বলেন, এ স্বীকৃতি আমাদের সব স্বেচ্ছাসেবকের ত্যাগের ফসল। আমরা আমাদের প্রতিশ্রুতি মোতাবেক করোনা শেষ না হওয়া পর্যন্ত সক্রিয় থাকব।
২০২০ সালের ৮ মার্চ থেকে করোনা প্রতিরোধে মানুষকে সচেতন করতে ২০ হাজার লিফলেট, ৬০ হাজার বোতল হ্যান্ড স্যানিটাইজার, ১০ হাজার বোতল লিকুইড সাবান, খাদ্যসামগ্রী ও শাকসবজি বিতরণ করেন কাউন্সিলর খোরশেদের নেতৃত্বাধীন ‘টিম খোরশেদ’। এপ্রিল থেকে ১০ জন চিকিৎসকের সমন্বয়ে ১৫ হাজার মানুষকে টেলিমেডিসিন সেবা, ৬৩০ জনকে ফ্রি অক্সিজেন সাপোর্ট, ১০৬ জনকে ফ্রি অ্যাম্বুলেন্স সাপোর্ট, ১১২ জনকে প্লাজমা ডোনেট করা হয়। ৯ হাজার পরিবারকে কয়েক দফায় ১৭০ টন খাদ্য সহায়তা দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া, এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত, উপসর্গ আছে ও স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে এমন ২৮৫ জনের মরদেহের শেষকৃত্যের কাজ করেন। যার মধ্যে বেশ কয়েকজনের শেষকৃত্যের জন্য পরিবার, আত্মীয়স্বজন কিংবা প্রতিবেশী কেউ এগিয়ে আসেনি। এরপর থেকে আলোচনায় আসেন কাউন্সিলর খোরশেদ।