logo
আপডেট : ২৪ জানুয়ারি, ২০২২ ২২:১৭
ইসি গঠনের দায়িত্ব মির্জা ফখরুলকে দিলেই বিএনপি খুশি হবে : তথ্যমন্ত্রী
ভোরের আকাশ ডেস্ক

ইসি গঠনের দায়িত্ব মির্জা ফখরুলকে দিলেই বিএনপি খুশি হবে : তথ্যমন্ত্রী

তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ

নির্বাচন কমিশন গঠনের বিষয়ে বিএনপি নেতাদের নানা ধরনের মন্তব্যের জবাবে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘নির্বাচন কমিশন গঠনের দায়িত্ব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেবকে দিলেই কেবল বিএনপি খুশি হবে, অন্যথায় নয়’। সোমবার (২৪ জানুয়ারি) দুপুরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব তিনি এ কথা বলেন।

ইসি গঠন আইনের খসড়া নিয়ে বিএনপি’র বিরূপ মন্তব্য প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেন, বাংলাদেশের সংবিধান যা দেশের সর্বোচ্চ আইন, সেখানে একটি আইনের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন গঠনের কথা বলা আছে। যদিও পঞ্চাশ বছরে সেই আইন হয়নি। রাষ্ট্রপতি নির্বাচন কমিশন গঠন করার লক্ষ্যে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সাথে সংলাপে বসেছিলেন এবং বেশিরভাগ দলই বলেছিল সংবিধান অনুযায়ী একটি আইনের মাধ্যমে যাতে নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়।

তিনি বলেন, ‘বিএনপি রাষ্ট্রপতির সংলাপে যায়নি কিন্তু বিভিন্ন রাজনৈতিক সভা, মিছিল, টকশো এবং অন্যান্য জায়গায় তারা বলেছিল আইন করতে সময় লাগে না। দু’দিনেই করা যায়, দেশে অনেক কিছুই প্রয়োজনের নিরীখে হয়েছে। আর এটি রাষ্ট্রের প্রয়োজনে। এজন্য তারাই আইন করতে তাগিদ দিয়েছিলেন। কিন্তু আজকে যখন আইন করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে তখন বিএনপি এর বিরোধিতা করছে। আইন কিন্তু এখনও হয়নি, প্রস্তাবনাটি কেবল সংসদে উঠেছে। সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে গেছে, বৈঠক শেষে আইনমন্ত্রী, সংসদীয় কমিটির চেয়ারম্যান ব্রিফ করেছেন, বিএনপি’র প্রতিনিধিদের পক্ষেও ব্রিফ করা হয়েছে এবং আইনের খসড়ায় তারা যে সংশোধনীগুলো প্রস্তাব করেছিলেন তার অনেক কিছুই গ্রহণ করা হয়েছে বলে সংসদীয় কমিটি বলেছে। অর্থাৎ সবাইকে সাথে নিয়ে পুরো প্রক্রিয়া অনুসরণ করে আইন করা হচ্ছে।’

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আসলে বিএনপি চায় বাংলাদেশে একটি ঘোলাটে পরিস্থিতি তৈরি হোক। বিএনপি কোনো কিছুতেই খুশি হবে না, যদি তিন মাস সময় নিয়ে আইন করা হয় এরপরও বিএনপি খুশি হবে না। বিএনপি খুশি হবে যদি বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেবকে নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব দেওয়া হয়। এছাড়া তাদের খুশি হওয়ার লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না।’

সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা এই আইনটি করার পরামর্শ দিয়েছিলেন উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সুশীল সমাজের প্রতিনিধি বদিউল আলম মজুমদার, শাহদীন মালিকসহ বেশ কয়েকজন আমাদের আইনমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে এ আইন করার তাগিদ দিয়েছিলেন, একটি রূপরেখাও হস্তান্তর করেছিলেন। তখন তারা এই পরামর্শও দিয়েছিলেন যে আইন করতে যদি তাড়াহুড়ো হয়, রাষ্ট্রপতির অধ্যাদেশের মাধ্যমে অন্তত আইনটি করা হোক। দেশে দুই দিনেও আইন হয়েছে, সুতরাং চাইলে একদিনেও পারা যায়।’

ড. হাছান বলেন, ‘আজকে যখন ভালো উদ্যোগ সরকার গ্রহণ করেছে তখন যারা আইনমন্ত্রীকে সে কথা বলে এসেছিলেন তারাই এখন আবার দেখলাম একটি অনলাইন মিটিংয়ে বলেছেন যে তাড়াহুড়ো করে আইন করা সমীচীন হচ্ছে না। তারা নিজেরা যে অবস্থানে ছিলেন, নিজেরা যে দাবি দিয়েছিলেন এখন সেটার বিপরীতে কথা বলা শুরু করে দিয়েছেন।’

তাদের উদ্দেশ্য সম্পর্কে প্রশ্ন রেখে তথ্যমন্ত্রী বলেন, তারা আসলে পানিটা ঘোলা করতে চায় এবং তারাও যেন রাজনীতির ক্রীড়ানকে পরিণত হচ্ছেন। বাসস