logo
আপডেট : ২৫ জানুয়ারি, ২০২২ ১৬:৪৬
পাকিস্তানের প্রথম মহিলা বিচারপতি আয়েশা মালিক

পাকিস্তানের প্রথম মহিলা বিচারপতি আয়েশা মালিক

প্রধান বিচারপতি গুলজার আহমেদ আয়েশা মালিককে শপথবাক্য পাঠ করান।

সুপ্রিম কোর্টের প্রথম নারী বিচারপতি নিয়োগ দিয়ে ইতিহাস সৃষ্টি করেছে পাকিস্তান। স্থানীয় সময় গতকাল সোমবার সুপ্রিম কোর্টে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে শপথ নেন আয়েশা মালিক।

প্রধান বিচারপতি গুলজার আহমেদ তাকে শপথবাক্য পাঠ করান। এ সময় বিচারপতি উমর আতা বান্দিয়ালসহ ও সুপ্রিম কোর্টের অন্যান্য বিচারপতি উপস্থিত ছিলেন। 

শপথবাক্য পাঠ করানো শেষে প্রধান বিচারপতি বলেন, কারো দয়া বা অনুগ্রহে আয়েশা সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পাননি। তিনি তার নিজের যোগ্যতা বলে এই পদে অধিষ্ঠিত হয়েছেন।

সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হিসেবে একজন নারীকে নিয়োগ দেওয়ার ঘটনাটি ব্যাপক সাধুবাদ পেয়েছে। শপথ গ্রহণের পর অভিনন্দনের বন্যায় ভেসে যাচ্ছেন আয়েশা।

পাকিস্তানের তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ফাওয়াদ চৌধুরী আয়েশাকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, ‘আশা করছি, নতুন বিচারপতি তার ওপর অর্পিত দায়িত্ব যথাযথভাবে পালনের মধ্যদিয়ে বিচার বিভাগের একজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি হিসেবে নিজেকে প্রমাণ করবেন।’

সাংবিধানিক নিয়ম মেনেই আয়েশাকে উচ্চ আদালতের বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। প্রধান বিচারপতি উচ্চ আদালতে বিচারক নিয়োগের বিষয়ে সংসদীয় কমিটির কাছে সুপারিশ পাঠান। কমিটির সংখ্যাগিরষ্ঠ সদস্য এ বিষয়ে একমত পোষণ করার পর আয়েশাকে নিয়োগ দেওয়া হয়।

আয়েশা ২০১২ সালের ২৭ মার্চ থেকে লাহোর হাইকোর্টের বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন আসছেন। কর্মজীবনে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ রায় দিয়ে আলোচিত হন তিনি। ধর্ষণের শিকার নারীদের কুমারিত্ব পরীক্ষা করাকে গত বছর বেআইনি ঘোষণা করেন তিনি।

করাচির গভর্মেন্ট কলেজ অব কমার্স অ্যান্ড ইকোনমিকস থেকে বিকম পাস করেন আয়েশা। পরে লাহোরে পাকিস্তান ল’ কলেজে তিনি আইন বিষয়ে পড়াশোনা করেন। এরপর তিনি হাভার্ড ল’ স্কুল থেকে এলএলএম সম্পূর্ণ করেন। তিনি লন্ডন এইচ গ্যামন ফেলো (১৯৯৯-১৯৯৯)। তার তিন সন্তান রয়েছে।

গত বছরও আয়েশাকে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হিসেবে নিয়োগের উদ্যোগ নেওয়া হয়। কিন্তু ৯ সদস্যদের আইন কমিশন তার সুপ্রিম কোর্টের মনোনয়ন বাতিল করে। কিন্তু এবার ৫ থেকে ৪ ভোট তার পক্ষে গেছে।

কয়েকজন আইনজীবী ও বিচারক বলছেন, আয়েশাকে মনোনীত করার ক্ষেত্রে জ্যেষ্ঠতা বিধি লঙ্ঘন করা হয়েছে। লাহোর হাইকোর্টের সিনিয়র তিন বিচারপতির মধ্যে তিনি ছিলেন না।

খবর দ্য ডন ও জিও টিভির।