ঢাকাই সিনেমার আলোচিত চিত্রনায়িকা সাদিকা পারভিন পপি দীর্ঘদিন ধরে উধাও। বেশ কিছু দিন ধরেই তার বিয়ে করার গুঞ্জনের সঙ্গে সন্তানের মা হওয়ার খবর গণমাধ্যমে এসেছে।
বুধবার দুপুর থেকেই পপির একটি ভিডিও বার্তা চলচ্চিত্রের বিভিন্ন গ্রুপে ছড়িয়ে যায়।
যেখানে নিজের ব্যক্তিগত বিষয় আড়ালে রেখে আসন্ন শিল্পী সমিতির নির্বাচন নিয়ে কথা বলেন এই অভিনেত্রী। ভিডিও বার্তায় পপি বিগত দুই মেয়াদে ক্ষমতায় থাকা শিল্পী সমিতির ক্ষমতাসীন এক ব্যক্তিকে ইঙ্গিত করে বেশ কিছু অভিযোগের কথাও তুলে ধরেন। যদিও তিনি সরাসরি ওই ব্যক্তির নাম প্রকাশ করেননি।
আসন্ন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন নিয়ে তিনি মুখ খুলেছেন, জানিয়েছেন নিজের আড়ালে থাকার কারণও। এবারের নির্বাচনে ইলিয়াস কাঞ্চন-নিপুণ আক্তার প্যানেলকে সমর্থন জানিয়েছেন চিত্রনায়িকা পপি। যুক্ত করেছেন, ‘ভেবেছিলাম আর কখনো ক্যামেরার সামনে আসব না।
কিন্তু একজন শিল্পী হিসেবে নিজের কিছু দায়বদ্ধতা থেকে আজকে কিছু কথা না বললেই না। দীর্ঘ ২৬ বছর ইন্ডাস্ট্রিতে অনেক সুনামের সঙ্গে কাজ করার চেষ্টা করেছি... বাংলাদেশের নাম উজ্জ্বল করার জন্য অনেক কাজ করেছি। তিন-তিন বার ন্যাশনাল অ্যাওয়ার্ড পেয়েছি।’
পপি বলেন, ‘আজকে অনেক কষ্ট নিয়ে কথাগুলো বলা। আজ আমি কোথায়। আমি আছি। আমি আছি আপনাদের সকলের মাঝে। হয়তো ভাগ্যে থাকলে আবার ফিরব কাজে। তবে যে কথাটা বলতে চেয়েছিলাম, সেটি হচ্ছে, বর্তমান সমিতির একটি মাত্র ব্যক্তির কারণে।
তার পলিটিক্স, তার নোংরামি এবং অনেক রকম অপকর্মে অসহযোগিতার কারণে আমাকে বারবার অপমানিত হতে হয়েছে। শুধু আমি না, আমাদের মতো রিয়াজ, ফেরদৌস, পূর্ণিমা, নিপুণ, আমাদের সকলকে ব্যবহার করে আমাদের কাঁধে বন্দুক রেখে যে এই চেয়ারটিতে বসেছে; সে বিভিন্ন রকম অপকর্ম করার চেষ্টা করেছে, যেখানে আমি সায় দিইনি বা আমরা সায় দিইনি।’
নিজেকে ভিকটিম দাবি করে পপি বলেন, ‘আমাকে অনেক অপমানিত হতে হয়েছে। আমার মতো শিল্পী, যে তিন-তিন বার ন্যাশনাল অ্যাওয়ার্ড পেয়েছি, আমার মতো শিল্পীকে সদস্যপদ বাতিলের জন্য চিঠি দেওয়া হয়েছে।
একটা শিল্পীর জন্য এত বছর কাজ করার পর কতটুকু অপমানের, সেটা আমি বুঝতে পারি। বা আমার মতো শিল্পীরা, যারা ভিকটিম হয়েছে, ১৮৪ জন শিল্পী, যারা ভিকটিম হয়েছে, তারা হয়তো আমার কষ্টটা বুঝতে পারবে। বা আমিও তাদের কষ্টটা বুঝতে পারি।’
পপি আরো বলেন, ‘এই নোংরামির কারণে আমি আমার মানসম্মান নিয়ে থাকার জন্য বা আমার জানের ভয় ছিল, সবকিছু মিলিয়ে আমি নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছি চলচ্চিত্র থেকে।
’পপির প্রতিশ্রুতি, ‘যদি কখনো পরিবেশ ভালো হয়, এই নোংরা মানুষ বা মানুষগুলো সরে যায় ইন্ডাস্ট্রি থেকে, তখন আবার কাজ করব।’ চলচ্চিত্র শিল্পকে বাঁচানোর জন্য কাঞ্চন-নিপুণ পরিষদের সবাইকে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানান পপি।