চার বছরেরও বেশি সময় ধরে রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান না হওয়ায় জাতিসংঘকে এ ব্যাপারে কার্যকর উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে সরকার। জাতিসংঘের মিয়ানমার বিষয়ক বিশেষ দূত নোইলিন হেইজারের সঙ্গে এক ভার্চুয়াল বৈঠকে এ আহ্বান জানান পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন।
বুধবার (২৬ জানুয়ারি) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, মঙ্গলবার (২৫ জানুয়ারি) ওই ভার্চুয়াল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, পররাষ্ট্র সচিব নোইলিন হেইজারকে জানান, গণহত্যাসহ সব ধরনের মানবতাবিরোধী অপরাধ চালিয়ে মিয়ানমার থেকে উচ্ছেদ করা ১০ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা নাগরিককে মানবিক কারণে আশ্রয় দিয়েছিল বাংলাদেশ। তবে এ সংকটের পঞ্চম বছরেও মিয়ানমার তাদের নাগরিকদের ফিরিয়ে না নেওয়ায় রোহিঙ্গাদের কারণে বাংলাদেশকে নানা ধরনের সমস্যা মোকাবেলা করতে হচ্ছে।
মোমেন বলেন, রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর বাংলাদেশে এই প্রলম্বিত অবস্থান গোটা অঞ্চলেই মানব ও মাদক পাচারসহ নানা ধরনের নিরাপত্তা সমস্যার সৃষ্টি করছে।
মাসুদ রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে নিরাপদ প্রত্যাবাসনের জন্য মিয়ানমারে অনুকূল পরিস্থিতি সৃষ্টির জন্য বিশেষ দূতের কার্যালয় থেকে কাজ করার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন।
বাংলাদেশের নজিরবিহীন মানবিক দৃষ্টান্তের কথা তুলে ধরে বিশেষ দূত বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান ও তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, শেখ হাসিনা মিয়ানমারের ১০ লক্ষাধিক নাগরিককে আশ্রয় দিয়ে সর্বোচ্চ মানবতা দেখিয়েছেন।
তিনি তার অগ্রাধিকারমূলক কাজ ও ভবিষ্যৎ কর্ম-পরিকল্পনার ওপর আলোকপাত করেন।
এ ছাড়াও বিশেষ দূত তার এজেন্ডাগুলোর মধ্যে রোহিঙ্গা ইস্যুটিকে গুরুত্ব দেবেন বলে আশ্বস্ত করেন।
২০২১ সালের অক্টোবর মাসে নোইলিন হেইজারকে জাতিসংঘ মহাসচিবের মিয়ানমার বিষয়ক বিশেষ দূত হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়।