logo
আপডেট : ২৭ জানুয়ারি, ২০২২ ২০:২৬
কিবরিয়া হত্যা মামলা প্রসঙ্গে রেজা কিবরিয়া
যারা তদন্তে প্রভাবিত করেছে তাদেরও বিচারের আওতায় আনতে হবে
নিজস্ব প্রতিবেদক

যারা তদন্তে প্রভাবিত করেছে তাদেরও বিচারের আওতায় আনতে হবে

সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এ এম এস কিবরিয়া হত্যাকাণ্ডের ১৭তম বার্ষিকী উপলক্ষে পরিবারের পক্ষ থেকে বনানী কবরস্থানে ‘শান্তির পক্ষে নীলিমা’ ব্যানারে মানবন্ধনের আয়োজন করা হয়।

সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এ এমএস কিবরিয়া হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু বিচার দাবির পাশাপাশি যারা দীর্ঘদিন আগে ঘটা এই হত্যার ঘটনার তদন্তকে প্রভাবিত করেছে তাদেরও বিচারের আওতায় দাবি জানিয়েছেন তার ছেলে বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ও গণঅধিকার পরিষদের আহ্বায়ক ড. রেজা কিবরিয়া। 

তিনি বলেছেন, ‘আমরা বারবার বলে আসছি আমার বাবা শাহ এম এস কিবরিয়া হত্যাকাণ্ডের আসল মদতদাতা কে, হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত গ্রেনেডের উৎস কী-এ দুটি প্রশ্নের উত্তর বের করতে। কিন্তু এ বিষয়ে তদন্তকারীদের আগ্রহ ছিল কম, ছিল রাজনৈতিক হস্তক্ষেপও। এ হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে তিনটি অভিযোগপত্র দেওয়া হয়েছে। তিনটিতেই ছিল ভুল। একটির সঙ্গে আগেরটির কোনো সম্পর্ক নেই।’

বৃহস্পতিবার (২৭ জানুয়ারি) সাবেক অর্থমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ নেতা শাহ এস এস কিবরিয়ার ১৭তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে পরিবারের পক্ষ থেকে বনানী কবরস্থানে ‘শান্তির পক্ষে নীলিমা’ ব্যানারে মানবন্ধনের আয়োজন করা হয়। এতে অংশ নিয়ে রেজা কিবরিয়া এসব কথা বলেন। তিনি সুষ্ঠু তদন্ত করে তারা বাবা হত্যার বিচার দাবি করেন। বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ রেজা কিবরিয়া বলেন, আমাদের দল ক্ষমতায় গেলে আমার বাবা কিবরিয়াসহ সব হত্যাকাণ্ডের বিচার করা হবে। যারা তদন্ত হতে দেয়নি এবং প্রভাবিত করেছে তাদেরও একদিন বিচারের আওতায় আনা হবে।

গণঅধিকার পরিষদের সদস্য সচিব ভিপি নুরুল হক নুর বলেন ‘যদি ৪৩ বছর পর বঙ্গবন্ধু হত্যার ও যুদ্ধ অপরাধীদের বিচার হতে পারে তাহলে শাহ এ এম এস কিবরিয়াসহ অনান্য হত্যারও বিচার করা হবে এটা আশা করাই স্বাভাবিক। তবে এত বছরেও কিবরিয়া সাহেবের হত্যার বিচার না হওয়া অত্যন্ত দুঃখজনক।

গণঅধিকার পরিষদের যুগ্ম সদস্য সচিব আতাউল্লার সঞ্চালনায় আরো বক্তব্য রাখেন গণঅধিকার পরিষদের রাশেদ খান, ফারুক হাসান, মহাফুজুর রহমান, ডা. শাহ আজাদ, যুব অধিকারের মনজুর মোরশেদ, তারেক রহমান ও শ্রমিক অধিকারের আব্দুর রহমান।

এসময় উপস্থিত ছিলেন ব্যারিস্টার জিসান মহসিন, শেখ খায়রুল কবির, সোহরাব হোসেনসহ গণ, ছাত্র, যুব, শ্রমিক ও পেশাজীবী অধিকার পরিষদের নেতৃবৃন্দ।

সাবেক অর্থমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ নেতা শাহ এ এম এস কিবরিয়া হত্যাকাণ্ডের ১৭ বছর পূর্ণ হয়েছে ২৭ জানুয়ারি। এই দীর্ঘ সময়েও হত্যা মামলাটির বিচারকাজ শেষ হয়নি।

উল্লেখ্য, ২০০৫ সালের ২৭ জানুয়ারি হবিগঞ্জ সদর উপজেলার বৈদ্যের বাজারে আওয়ামী লীগের ঈদ পরবর্তী এক জনসভা শেষে বের হওয়ার পথে গ্রেনেড হামলায় গুরুতর আহত হন সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এ এম এস কিবরিয়া। চিকিৎসার জন্য ঢাকা নেওয়ার পথে তিনি মারা যান। ওই হামলায় তাঁর ভাতিজা শাহ মঞ্জুরুল হুদা, আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতা আবদুর রহিম, আবুল হোসেন ও সিদ্দিক আলীও নিহত হন। আহত হন ৭০ জন।

আরও পড়ুন: করোনা: আরো ১৫ জনের মৃত্যু, শনাক্ত ১৫৮০৭