logo
আপডেট : ২৮ জানুয়ারি, ২০২২ ১২:১৮
সবজি ও ফলে টেনশন কমে
ইসমত জেরিন স্মিতা

সবজি ও ফলে টেনশন কমে

যারা সবজি ও ফল কম খান তারা অল্প কিছুতেই টেনশন করেন। অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়েন। সম্প্রতি বিজ্ঞানবিষয়ক সাময়িকী ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল অব এনভায়রনমেন্টাল রিসার্চ অ্যান্ড পাবলিক হেলথের এক গবেষণা প্রতিবেদনে এ তথ্য ওঠে এসেছে।
বলা হয়েছে, বাড়তি উদ্বেগ, অবসাদগ্রস্ততা ও বিভিন্ন ধরনের মানসিক রোগ থেকে সুরক্ষিত থাকতে সবজি ও ফল খাওয়ার বিকল্প নেই। কারণ সবজি ও ফলে ভিটামিন, পটাশিয়ামসহ আরও নানা উপকারী উপাদান রয়েছে।


গবেষণাটি পরিচালনা করেছে নর্থ আমেরিকান প্রাইমারি কেয়ার রিসার্চ গ্রুপ। তারা বলছে, অল্পবয়সে যারা শাকসবজি ও ফল খেতে অনীহা দেখান, মধ্যবয়সে তাদের অ্যাংজাইটি ডিসঅর্ডার ও বিষন্নতায় ভোগার ঝুঁকি রয়েছে ২৪ শতাংশ। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ও চিকিৎসকরা সেই কারণে প্রায়ই শাকসবজি খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।

গত ৯ বছরে মোট ২০৬৯ জনের ওপর সমীক্ষা চালিয়ে গবেষকরা বলেন, দিন যত গড়াচ্ছে শাকসবজি ও ফলের জায়গা দখল করে নিচ্ছে বাইরের খাবার। এর মাধ্যমে মানুষের শরীরে বাসা বাঁধছে বিভিন্ন ধরনের শারীরিক বা মানসিক রোগ। বিশেষ করে শাকসবজি ও ফল না খাওয়ার কারণে অনেকেই অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়ছেন।

২০১৩ সালে গ্লোবাল বার্ডেন অব ডিজিজের এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, প্রাণঘাতী বিভিন্ন রোগের মধ্যে হৃদরোগের পরেই রয়েছে মানসিক রোগ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ থাকার জন্য সব বয়সের মানুষের শাকসবজি ও ফল খাওয়া জরুরি।

কারণ নিয়মিত এগুলো খেলে বিভিন্ন রোগ-ব্যাধি থেকে সুরক্ষিত থাকা যায়। পক্ষান্তরে বাইরের খাবার খেলে শরীর ও মনের বিভিন্ন রোগ হতে পারে। এর মধ্যে বাড়তি উদ্বেগ ও অবসাদগ্রস্ততাও রয়েছে। গবেষণার প্রতিবেদনে বলা হয়, অ্যান্টি-অক্সিডেন্টসমৃদ্ধ সবজি ও ফল খাওয়ার অভ্যাস করলে বাড়তি উদ্বেগ ও অবসাদগ্রস্ততা হওয়ার ঝুঁকি অনেকাংশে কমানো সম্ভব।

সেই কারণে সবার উচিত এগুলো খাওয়ার অভ্যাস করা।