টাঙ্গাইলের বাসাইলে টিউবওয়েলের পানি খেয়ে তিন পরিবারের ১২ সদস্য অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। বাসাইল উপজেলার হাবলা ইউনিয়নের সোনালিয়া দক্ষিণপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
অসুস্থরা হলেন- ওই গ্রামের জামাল উদ্দিন, তার স্ত্রী নুরিয়া বেগম ও জাহেদা বেগম, আলাল ফকির, তার ছেলে আরিফ মিয়া ও ছেলের স্ত্রী সুবর্ণা বেগম, আলালের মেয়ে সেলিনা বেগম, আনু মিয়া ও তার স্ত্রী নাজমা বেগম, শিউলী বেগম, রনি মিয়া ও তার স্ত্রী শিলা বেগম।
অসুস্থদের অভিযোগ, চোর চক্রের সদস্যরা বাড়িতে চুরি করার উদ্দেশ্যে টিউবওয়েলের পানিতে নেশা জাতীয় দ্রব্য মিশিয়েছে।
অসুস্থ শিলা বেগম বলেন, ‘গত বৃহস্পতিবার রাত একটার দিকে টিউবওয়েলের পানি খাই। এর কিছুক্ষণ পর আমি চারিদিকে অন্ধকার দেখতে শুরু করি। এরপর আমি কখন ঘুমিয়ে পড়েছি কিছুই জানি না।
‘শুক্রবার সকালে আরও যারা টিউবওয়েলের পানি খেয়েছে তারা সবাই অসুস্থ হয়ে পড়েছে। আমাদের টিউবওয়েলসহ পাশের বাড়ির আরও দুটি টিউবওয়েলে ওই নেশা জাতীয় দ্রব্য মিশানো হয়েছে। শুক্রবার সারাদিন আমরা সকলেই ঘুমিয়েছি। এখনও সবাই অসুস্থ। আমরা ধারণা করছি চোর চক্র এমন কাজ করেছে।’
অসুস্থ শিউলী বেগম বলেন, ‘টিউবওয়েলের পানি দিয়ে বানানো রুটি খেয়ে আমিও অসুস্থ হয়েছি। নিজেকে মাতাল মাতাল মনে হচ্ছে। আমরা সকলেই স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হওয়ার চেষ্টা করছি।’
অসুস্থ রনি মিয়া বলেন, ‘শনিবার ভোর রাতে চোর এসে আমার ঘরের টিন কাটছিল। আমার এক আত্মীয় বিষয়টি দেখতে পেয়ে চিৎকার করেন। পরে চোর পালিয়ে যায়। চোর চক্রটি টিউবওয়েলের পানিতে নেশা জাতীয় দ্রব্য মিশিয়ে আমাদের বাড়িতে চুরি করতে চেয়েছিল।’
হাবলা ইউনিয়নের সোনালিয়া দক্ষিণপাড়ার ইউপি সদস্য পলাশ মিয়া বলেন, ‘এর আগেও সোনালিয়া দক্ষিণপাড়া টিউবওয়েলের পানিতে নেশা জাতীয় দ্রব্য মিশিয়ে একটি বাড়িতে চুরি করা হয়েছিল। গত বৃহস্পতিবার সোনালিয়া দক্ষিণপাড়ায় একই ঘটনা ঘটেছে। তবে চুরি করতে পারেনি। এ ঘটনায় ১২ জন অসুস্থ হয়ে পড়েছে বলে জানতে পেরেছি।’
বাসাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হারুনুর রশিদ জানান, এ ব্যাপারে কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে বাসাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিদা পারভীন বলেন, ‘বিষয়টি আমি জেনেছি। থানার ওসিকে অবগত করা হয়েছে। তিনি প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।