logo
আপডেট : ৩০ জানুয়ারি, ২০২২ ১৭:৩১
কাঁচাপাট মজুদের বিরুদ্ধে বিশেষ অভিযান চালাবে সরকার
পাট ও পাটজাত পণ্যে ৬ মাসে আয় ৬৯৮ মিলিয়ন ডলার
নিজস্ব প্রতিবেদক

কাঁচাপাট মজুদের বিরুদ্ধে বিশেষ অভিযান চালাবে সরকার

বস্ত্র ও পাট মন্ত্রীর অফিস কক্ষে বাংলাদেশ জুট অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ জুট মিলস অ্যাসোসিয়েশন ও বাংলাদেশ জুট স্পিনার্স অ্যাসোসিয়েশন নেতাদের সঙ্গে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী। ছবি- ভোরের আকাশ

বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী জানিয়েছেন, অভ্যন্তরীণ বাজারে প্রয়োজনীয় কাঁচাপাট সরবরাহ নিশ্চিতকরণ এবং পাট ও পাটজাত পণ্য রপ্তানির ধারা বেগবান করার লক্ষ্যে নিয়মবহির্ভূত কাঁচাপাট মজুদের বিরুদ্ধে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করবে সরকার।

রোববার (৩০ জুন) দুপুরে সচিবালয়ে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রীর অফিস কক্ষে বাংলাদেশ জুট অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ জুট মিলস অ্যাসোসিয়েশন ও বাংলাদেশ জুট স্পিনার্স অ্যাসোসিয়েশন নেতাদের সঙ্গে আলোচনাকালে তিনি একথা জানান।

এ সময় বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. মুহিবুর রহমান, বাংলাদেশ জুট অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান শেখ সৈয়দ আলী, বাংলাদেশ জুট মিলস অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান মো. আবুল হোসেন, বাংলাদেশ জুট স্পিনার্স অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান সেখ নাসির উদ্দিনসহ অন্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা সৈকত চন্দ্র হালদার স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে আরো জানানো হয়, চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রথম ছয়মাসে পাট ও পাটজাত পণ্য রপ্তানি করে বাংলাদেশ ৬৯৮ মিলিয়ন ডলার আয় করেছে। রপ্তানি আয়ে পাটখাত চামড়াকে ছাড়িয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে।

মন্ত্রী বলেন, সম্প্রতি দেশে কাঁচাপাটের সংকট তৈরির কারণে পাটকলসমূহ উৎপাদন ঝুঁকিতে পড়েছে। এ অবস্থায় পাট ও পাটজাত পণ্যের রপ্তানি আয়ের ধারা অব্যাহত রাখতে এবং কাঁচাপাটের সরবরাহ নিশ্চিত করতে সরকার কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

এজন্য লাইসেন্সবিহীন অসাধু ব্যবসায়ীদেরকে কাঁচাপাট ক্রয়-বিক্রয় ও মজুদ হতে বিরত রাখা; ভেজাপাট ক্রয়-বিক্রয় রোধ করা; বাজারে কাঁচাপাটের সরবরাহ নিশ্চিত করতে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পাট অধিদপ্তরকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

গোলাম দস্তগীর গাজী বলেন, কাঁচাপাটের আড়তদারেরা এক হাজার মণের বেশি কাঁচাপাট এক মাসের বেশি সময় মজুদ করতে পারবে না। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পাট অধিদপ্তরকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। 

তিনি জানান, এছাড়াও চলতি পাট মৌসুমে লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী পাট চাষ নিশ্চি করতে ও বীজ সরবরাহ ঠিক রাখতে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। মানসম্মত পাটবীজ উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনে পাঁচ বছরের জন্য কৃষি মন্ত্রণালয় এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় যৌথ উদ্যোগে একটি রোডম্যাপ তৈরি করেছে।

সবকিছু ঠিক থাকলে ২০২৫ সালের মধ্যে বাংলাদেশ উন্নত পাটবীজ উৎপাদনে স্বনির্ভর হবে। প্রয়োজনীয় পাটবীজ সংগ্রহে আমদানি নির্ভরতা আর থাকবে না। চলতি মৌসুম থেকে রোডম্যাপ বাস্তবায়ন শুরু হবে। ধাপে ধাপে তা আগামী পাঁচ বছরে শতভাগ বাস্তবায়ন করা হবে।