logo
আপডেট : ৩১ জানুয়ারি, ২০২২ ১০:৪৯
আফ্রিকান নেশনস কাপ
মিসর ও সেনেগাল সেমিফাইনালে
ক্রীড়া ডেস্ক

মিসর ও সেনেগাল সেমিফাইনালে

গোলের পর মিসরের খেলোয়াড়দের উল্লাস

আফ্রিকান নেশনস কাপের শেষ দুই দল হিসেবে সেমিফাইনালে পৌঁছেছে মিসর ও সেনেগাল। রোববার পিছিয়ে পড়ার পর অতিরিক্ত সময়ের গোলে ২-১ ব্যবধানে মরক্কোকে হারিয়ে মিসর শেষ চারে খেলা নিশ্চিত করে। অন্যদিকে একই দিনে অনুষ্ঠিত খেলায় ৩-১ গোলে ইকোয়াটোরিয়াল গিনিকে উড়িয়ে দিয়ে মিসরের সঙ্গী হয়েছে সেনেগাল। বুধবার সেনেগাল সেমিফাইনালে বুরকিনা ফাসোর এবং বৃহস্পতিবার মিসর মরক্কোর মুখোমুখি হবে।

মরক্কোর বিপক্ষে ম্যাচে মিসরের নায়ক ছিলেন মোহাম্মদ সালাহ। মিসরের হয়ে সমতাসূচক গোল করেছেন। এছাড়া ত্রেজেগুয়ের যে গোলে মিসর জয় পেয়েছে তার রূপকারও ছিলেন তিনি।

ম্যাচের শুরুতেই মরক্কো এগিয়ে গিয়েছিল। সপ্তম মিনিটে পেনাল্টি পেয়েছিল মরক্কো মিসরের আয়মান আশরাফ মরক্কোর আচরাফ হাকিমিকে অবৈধভাবে বাধা দিলে রেফারি পেনাল্টির বাঁশি বাজান। ভিএআর দেখে রেফারি পেনাল্টির ব্যাপাওে নিশ্চিত হন। । সোফিয়ানে বোফাল সহজ এ সুযোগ নষ্ট করেননি।

এক গোলে পিছিয়ে পড়ার পর মিসর গোল পরিশোধের জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে। একের পর এক আক্রমণ রচনা করেও বিরতির আগে তারা গোল পরিশোধ করতে পারেনি। অবশেষে দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে সালাহ দলকে খেলায় ফিরিয়ে আনেন। আর ১০০ মিনিটে ত্রেজেগে জয়সূচক গোল করেন। অবশ্য ৮১ মিনিটে এগিয়ে যাওয়ার দারুণ এক সুযোগ পেয়েছিল মরক্কো। নায়েফ আগুয়ের্ডের নেওয়া ফ্রি কিকের বল গোলে ঢোকার আগ মূহুর্তে কোনোক্রমে বাইরে পাঠিয়ে দেন মিসরের গোলরক্ষক মোহাম্মদ আবুগাবাল।

এ জয়ের ফলে মিসরের শিরোপা জয়ের সম্ভাবনা আরও উজ্জ্বল হলো। রেকর্ড অষ্টমবারের মতো শিরোপা জয়ের পথে তারা আরও একধাপ এগিয়ে গেলো। অন্যদিকে মরক্কোর প্রথম শিরোপা জয়ের জন্য অপেক্ষার প্রহর আরও দীর্ঘায়িত হলো।

এবারের টুর্নামেন্টে ছোট্ট দল গিনি জায়ান্ট কিলার হিসেবে আবিভর্’ত হয়েছিল। আবারও সে পথে এগুচ্ছিল তারা। ২৮ মিনিটে ফামারা দিয়েধিউয়ের গোলে পিছিয়ে পড়লেও ৫৭ মিনিটে তারা সমতা ফিরিয়ে এনেছিল। সম্ভাবনা তৈরি করেছিল আরও একটি অঘটনের। জানিক বুয়ালার গোলে তারা সমতা ফিরিয়ে এনেছিল। কিন্তু ৬৮ ও ৭৯ মিনিটে দুই বদলি খেলোয়াড় চেইখু কোয়াতে ও ইসমাইলা সারের গোলে সেনেগালে জয় নিশ্চিত হয়। সে সঙ্গে গিনির অঘটনের সম্ভাবনাও শেষ হয়ে যায়।

ইসমাইলা সার টুর্নামেন্টে এদিনই প্রথম মাঠে নামেন। প্রথমবার মাঠে নেমে শুধু গোল করেছেন তা নয়, দাপটের সঙ্গে খেলেছেন তিনি। গত নভেম্বরে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের বিপক্ষে খেলার সময় ওয়াটফোর্ডের এ স্ট্রাইকার হাঁটুতে আঘাত পান। ফলে এ টুর্নামেন্টে তার খেলা নিয়ে ক্লাব ও জাতীয় দলের মধ্যে একটা ঠান্ডা লড়াই শুরু হয়। তবে তার এ গোল হয়তো সে লড়াই কিছুটা স্থিমিত করবে।