‘কমেডি ৪২০’ নাটকের অভাবনীয় সাফল্যের পর গত (৩০ জানুয়ারি) থেকে বৈশাখী টিভিতে শুরু হয়েছে জনপ্রিয় পরিচালক ফরিদুল হাসানের দীর্ঘ ধারাবাহিক ‘দৌড় দ্য ট্রেন্ডি’। প্রচার হবে সপ্তাহে তিন দিন শনি, রবি, সোমবার রাত ৯.২০ মিনিটে।
অভিনয়ে- ডা. এজাজুল ইসলাম, মারজুক রাসেল, শামীমা নাজনীন, ওলিউল হক রুমি, উর্মিলা শ্রাবন্তী কর, নাবিলা ইসলাম, জামিল হোসাইন, মিলন ভট্ট, ফারজানা রিক্তা, স্বর্ণলতা, সিয়াম নাসির, আয়েশা নাফিসা, নুসরাত, জান্নাত রুহি, সঞ্চিতা দত্ত, টুটুল চৌধুরী, জামাল রাজা, হারুন রশিদ, হানিফ পলোয়ান, বেলাল আহমেদ মুরাদ, সাজু আহমেদ প্রমুখ। রচনা: জাকির হোসেন উজ্জ্বল, প্রযোজনা মিড ইন্টারপ্রাইজ।
নাটকের গল্প নিয়ে বলতে গিয়ে পরিচালক ফরিদুল হাসান বলেন, তথ্যপ্রযুক্তি যুগের সমসাময়িক ঘটনাই নাটকের মূল উপজীব্য। চলে একে অপরকে ডিঙ্গিয়ে যাবার প্রাণান্তকর প্রতিযোগিতা। ইটকাঠের এই শহরে নগর জীবনে অভ্যস্ত প্রতিটা মানুষেরই থাকে প্রচ- তাড়া।
এখানে সূর্য উঠার পর থেকেই ছুটে চলা শুরু হয় মানুষের। চলতে থাকে মধ্যরাতের দ্বিপ্রহরেও। ব্যস্ত মানুষের সাথে ছুটে চলে ছোট-বড় গাড়িগুলো। পিচ ঢালা রাজপথে ক্লান্ত গাড়ির চাকাগুলো ঘুরতে ঘুরতে বিশ্রাম নেয় সিগন্যাল অথবা জ্যামজটে। তারপর আবার ছুটতে থাকে গন্তব্যে।
কেউ ছুটে চলে অফিসে, কেউ বাজারে, কেউ ব্যবসায়, কেউবা বিনোদনের নেশায় অথবা কেউ স্বপ্নের পেছনে। মানুষ থেকে মানুষে এই ছুটে চলা কখনো থেমে থাকে না। মানুষগুলো যেন কি এক তাড়নায় সবসময়ই ছুটতে থাকে দৌড়ের ওপর। ছোটতে থাকে ফোরজি ফাইভজির গতিতে অবিরাম।
প্রাত্যহিক জীবনে অনলাইন, গুগল, ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ, টিকটক নানারকম বিষয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে মানুষ। নিত্যনতুন হাল ফ্যাশন আর আধুনিকতার ছোঁয়ায় এমনই সব ট্রেন্ড এসে ভর করছে নাগরিক জীবনে।
কখনো ভিনদেশি সংস্কৃতি কখনোবা পাশ্চাত্যের জীবনধারায় মিলেমিশে একাকার সেই টেন্ডের সাথে গা ভাসিয়ে ছুটে চলা মানুষগুলোই উৎরে যায় আবার অনেকেই পিছিয়ে পড়ে সেই ট্রেন্ডের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে না পাড়ায়। কিন্তু তারপরও তারা স্বপ্ন দেখে এগিয়ে চলার।
ফরিদুল হাসান আরো বলেন, আমাদের গল্প পাশাপাশি দুটি বাড়িকে নিয়ে। একটি বাড়ির নাম রোকেয়া মঞ্জিল অন্যটির নাম শান্তিকুঞ্জ। দুই বাড়ির মালিকের নাম রোকেয়া রহমান ও শরাফত হাসান। একসময় এই দুজনের মধ্যে ভালোবাসার সম্পর্ক থাকলে এখন তা শুধুই অতীত।
দুজনের মধ্যে এমনই দা-কুমড়ো সম্পর্ক যে দেখা হলেই ঝগড়া শুরু হয়ে যায়। শান্তিকুঞ্জের ভাড়াটিয়া বাদল, আনিস, বিটু এবং রোকেয়া মঞ্জিলের ভাড়াটিয়া জরি, তানি ও সাদিয়া এদের মধ্যেও অবিরাম ঝগড়া চলতে থাকে। তাদের সাথে যোগ দেয় ওসমান, বিউটি এবং মতলব।
স্বপ্ন নিয়ে গ্রাম থেকে ঢাকা শহরে আশা মানুষগুলো একে একে জড়িয়ে যায় এই শহরের মায়ায়। অথচ এই শহরে তাদের সবসময়ই দৌড়ের ওপর থাকতে হয়। ঘটতে থাকে মজার মজার যত ঘটনা।
সমাজে চাপাবাজ মানুষের অভাব নেই।
তিলকে তাল করাই তাদের কাজ। এই চাপাবাজির কারণে কার কি ক্ষতি হলো তা ভাবার সময়ও তাদের নেই। এসব চাপাবাজের নানা কা--কারখানা নিয়েই নাটকের কাহিনি।