logo
আপডেট : ৩১ জানুয়ারি, ২০২২ ১৭:২২
আপিল বিভাগের বিচারপতি
শপথ নিতে যাচ্ছেন নাজমুল আহাসান
এম বদি-উজ-জামান

শপথ নিতে যাচ্ছেন নাজমুল আহাসান

বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান। ফাইল ছবি

অবশেষে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি হিসেবে শপথ নিতে যাচ্ছেন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান।

সব ঠিকঠাক থাকলে আগামী ৬ ফেব্রুয়ারির মধ্যেই তিনি শপথ নেবেন বলে পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে। তবে সুস্থ হয়ে ওঠায় নিয়োগ পাওয়ার প্রায় এক মাস পর শপথ নিতে যাচ্ছেন তিনি।

এই সময়ের মধ্যে শপথ নিতে পারলে মাত্র এক সপ্তাহ আপিল বিভাগে বিচারকাজ পরিচালনার সুযোগ পাবেন বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান। কারণ আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি তিনি অবসরে যাবেন।

সংবিধানের ৯৫(১) অনুচ্ছেদে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে গত ৯ জানুয়ারি বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসানসহ হাইকোর্ট বিভাগের চারজন বিচারপতিকে আপিল বিভাগের বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দেন রাষ্ট্রপতি।

এর মধ্যে বিচারপতি বোরহান উদ্দিন, বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি কৃষ্ণা দেবনাথ ওই দিনই শপথ নেন। এরপর ওই দিনই তারা আপিল বিভাগে বসে বিচারকাজ পরিচালনা করেন।

কিন্তু করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকায় বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ওই দিন শপথ নিতে পারেননি।

বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান সুস্থ হয়ে ওঠায় দু-তিন দিনের মধ্যেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতাল ছাড়তে পারেন বলে জানিয়েছেন তার ছোট ভাই তৌফিক মারুফ।

তিনি বলেন, ‘দাদা (ভাই) এখন অনেক সুস্থ। গত শনিবার করোনার নেগেটিভ রেজাল্ট এসেছে। ফুসফুসের সংক্রমণও নেই। তবে শরীর এখনো দুর্বল। রোববারও মেডিকেল বোর্ড বসেছিল। বেশকিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়েছে। দু-তিন দিনের মধ্যে বাসায় ফিরতে পারবে বলে আশা করি।’

কবে নাগাদ শপথ নেবেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহেই শপথ হয়ে যাবে।   

আপিল বিভাগে চারজনের নিয়োগের বিষয়ে গত ৯ জানুয়ারি আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ‘এই নিয়োগ শপথ গ্রহণের তারিখ থেকে কার্যকর হবে।’

সংবিধানের ৯৬(১) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী ৬৭ বছর বয়স পর্যন্ত বিচারপতি পদে থাকা যায়। সেই হিসাবে বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান অবসরে যাবেন চলতি বছরের ১৪ ফেব্রুয়ারি।

বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ১৯৫৫ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি জন্ম নেন। তিনি বিএ (অনার্স) ও এমএ ডিগ্রি অর্জনের পর এলএলবি করেন। এরপর ১৯৮৬ সালের ১৮ মার্চ জেলা আদালতে আইনজীবী হিসেবে পেশা জীবন শুরু করেন।

এরপর ১৯৯৪ সালের ২২ জানুয়ারি হাইকোর্ট বিভাগে ও ২০০৯ সালের ১৩ ডিসেম্বর আপিল বিভাগের আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন। ২০১০ সালের ১৮ এপ্রিল দুই বছরের জন্য হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান।

২০১২ সালের ১৫ এপ্রিল তিনি হাইকোর্ট বিভাগে স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান। সেই থেকে তিনি এখন পর্যন্ত হাইকোর্ট বিভাগে বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এ অবস্থায় তাকে আপিল বিভাগে নিয়োগ দেওয়া হয়।

তবে শপথের পর থেকে এই নিয়োগ কার্যকরের শর্ত থাকায় এখনো তাকে আপিল বিভাগের বিচারপতি বলা যাচ্ছে না। সে কারণে তার নাম এখনো হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতির তালিকায় রয়েছে।