logo
আপডেট : ১ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ০৯:২৯
অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ ক্রিকেট
পঞ্চম স্থানের লড়াইয়ে পাকিস্তানের কাছে বাংলাদেশের হার
ক্রীড়া ডেস্ক

পঞ্চম স্থানের লড়াইয়ে পাকিস্তানের কাছে বাংলাদেশের হার

বর্তমান চ্যাম্পিয়ন হিসেবে শুরু করা অনূর্ধ্ব-১৯ যুব বিশ্বকাপের বাংলাদেশের পারফরম্যান্স এবার দেশবাসীকে হতাশায় ডুবিয়েছে। কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে বিদায় নেওয়া বাংলাদেশের যুবারা এবার শীর্ষ পাঁচেও থাকতে পারছে না। প্লে-অফের সেমিফাইনালে পাকিস্তানের কাছে হেরে গেছে। বাংলাদেশকে এখন সপ্তম স্থানের জন্য লড়তে হবে। সেখানে বাংলাদেশের জন্য অপেক্ষায় দক্ষিণ আফ্রিকা। অন্যদিকে পাকিস্তান এবার পঞ্চম স্থানের জন্য লড়বে। তাদের প্রতিপক্ষ শ্রীলঙ্কা।

সোমবার ওয়েস্ট ইন্ডিজের কলিজ মাঠে অনুষ্ঠিত খেলায় বাংলাদেশের ব্যাটিংটা আবারও হতাশ করেছে। আরিফুল ইসলামের সেঞ্চুরিও সত্ত্বেও মাত্র ১৭৫ রানের স্কোর দাঁড় করিয়েছিল তারা। কিন্তু বোলাররা এর থেকে কম রানে পাকিস্তানকে আটকে দিতে পারেনি। বরং বাংলাদেশের বোলারদের হতাশায় ডুবিয়ে পাকিস্তান ২১ বল ও ৬ উইকেট হাতে রেখে জয় তুলে নেয়।

পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচে বাংলাদেশের সাফল্য বলতে টস জয় ও আরিফুল ইসলামের সেঞ্চুরি। মুদ্রা ভাগ্যে জয় পাওয়ার পর বাংলাদেশের অধিনায়ক রাকিবুল হাসান ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। আরিফুলের সেঞ্চুরি বাংলাদেশকে ভালো একটা অবস্থানে নিয়ে গেলেও অন্যরা ছিলেন ব্যর্থ। মাত্র ২৩ রানের মধ্যে তিন উইকেটের পতন হয় বাংলাদেশের। অবশেষে আরিফুলের দৃঢ়তায় বাংলাদেশের উইকেট পতনে বিরতি ঘটে। সেখানে ওপেনার ইফতেখার হোসেন তাকে যথার্থ সহায়তা দেন। ৫০ রানের পার্টনারশিপ ছিল তাদের।

দূর্ভাগ্য ইফতেখারের। রানে আউটের ফাঁদে পড়ে তার প্রতিরোধের ইতি ঘটে। ২৫ রান করেন তিনি। খেলেছিলেন ৫৮ বল। অন্যদিকে আরিফুল তার সেঞ্চুরির ইনিংসটি খেলেছিলেন ১১৯ বলে। পাকিস্তানের ফিল্ডারদের ৯ বার মাঠের বাইরে থেকে বল কুড়িয়ে আনতে বাধ্য করেন। এর মধ্যে পাঁচবার তিনি মাটি ঘেঁষে এবং চারবার বাতাসে ভাসিয়ে বলকে সীমানা পার করিয়েছিলেন।
ইফতেখার ছাড়া এসএম মেহরাব তার ব্যক্তিগত ইনিংসেকে দুই অংকের রানে নিয়ে যেতে সমর্থ হন। ৩৪ বলে তিনি ১৪ রান করেছিলেন।

পাকিস্তানের বোলারদের মধ্যে সাফল্যের দেখা পেয়েছেন আওয়াইস আলী ও মেহরান মমতাজ। উভয়েই তিনটি করে উইকেট নেন। আরিফুলের উইকেটটি নিয়েছিলেন আওয়াইস আলী।

জবাবে পাকিস্তানকে জয় নিয়ে খুব একটা দুঃশ্চিন্তায় ফেলতে পারেনি বাংলাদেশের বোলাররা। প্রথম উইকেটেই তারা ৭৬ রানের পার্টনারশিপ গড়েন। মোহাম্মদ শেহজাদ ও হাসিবুল্লাহ খানের চমৎকার ব্যাটিং পাকিস্তানকে জয়ের ভিত গড়ে দেয়। ফলে বাংলাদেশের বোলাররা উইকেট শিকারের আনন্দও করতে পারেননি। শেহজাদ ৩৬ রান করেন। আর হাসিবুল্লাহ খেলেছেন ৭৯ রানের ঝলমলে ইনিংস। দুইজনের বিদায়ের পর ইরফান খান (২৪) ও আব্দুল ফাসিহ (২২) দলকে জয়ের কাছাকাছি নিয়ে যান। বাকি কাজটুকু সেরে ফেলেন আব্বাস আলী (নট আউট ৫)। বাংলাদেশের বোলার রাকিবুল হাসান ১০ ওভারে ২৮ রানে দুই উইকেট নেন।

বিশ্বকাপে এবার বাংলাদেশের পারফরম্যান্সকে ভালো বলা যাবে না। কোনো স্বীকৃত দলের বিপক্ষে তারা জয়ের দেখা পায়নি। গ্রুপ পর্বে আরব আমিরাত ও কানাডার বিপক্ষে জিতে সুপার এইটে জায়গা করে নিয়েছিল। কিন্তু গ্রুপ পর্বে ইংল্যান্ডের কাছে হারতে হয়েছিল। আর সুপার এইটে ভারতের বিপক্ষে দাঁড়াতেই পারেনি। পঞ্চম স্থানের লড়াইয়ে পাকিস্তানের কাছেও হেরেছে।