logo
আপডেট : ১ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ১৮:৫০
ইভ্যালির লকার ভেঙে কিছুই মিলল না
নিজস্ব প্রতিবেদক

ইভ্যালির লকার ভেঙে কিছুই মিলল না

আলোচিত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির দুটি লকারের পাসওয়ার্ড না পাওয়ায় সেগুলো ভাঙা হয়। গতকাল সোমবার বিকেলে রাজধানীর ধানমন্ডিতে ইভ্যালির অফিসে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও গণমাধ্যমকর্মীদের উপস্থিতিতে লকারগুলো ভাঙা হয়।

লকার ভাঙার আগে আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি ও আদালতের গঠন করা পরিচালনা পর্ষদের প্রধান এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক বলেন, গত ২৩ নভেম্বর কারাগারে থাকা ইভ্যালির মো. রাসেল ও তার স্ত্রী নাসরিনকে ধানমন্ডি কার্যালয়ে লকারগুলোর কম্বিনেশন নম্বর (পাসওয়ার্ড) দেওয়ার নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। সেইসঙ্গে বর্তমান পর্ষদের প্রতিনিধিকে তাদের সঙ্গে দ্রুত দেখা করার ব্যবস্থা করতেও আইজি প্রিজনকে নির্দেশ দেন আদালত।

তিনি বলেন, পরবর্তী সময়ে কোর্টের ওই আদেশের পরও লকার দুটির পাসওয়ার্ড পায়নি কমিটি। যে কারণে লকার ভাঙার সিদ্ধান্ত হয়। তার পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার বিকেলে ভাঙা হয় একটি লকার।

দুপুর আড়াইটায় ধানমন্ডিতে ইভ্যালির কার্যালয়ে আসেন আদালত কর্তৃক মনোনীত পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিকসহ অন্যরা।

বিকেল ৩টা ২০ মিনিটে ইলেকট্রিক কাটার দিয়ে লকার কাটার কাজ শুরু হয়। এ সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আসফিয়া সিরাত। এছাড়া ধানমন্ডি থানার একটি দলও উপস্থিত ছিল।

বিকেল ৩টা ৪০ মিনিটে একটি লকার কাটা শেষ হয়। তাতে সিটি ও মিডল্যান্ড ব্যাংকের শতাধিক চেকবই পাওয়া যায়। এছাড়া বিভিন্ন ফাইলে কিছু নথিপত্রও দেখা গেছে।

এ বিষয়ে বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক বলেন, ‘আমাদের আরেকটি লকার আছে নিচতলায়। সেটাও ভাঙা হবে। আপনারা তো দেখলেন কী পাওয়া গেল, শুধু চেকবই। আমরা তো হতাশ। আমরা আশা করেছিলাম, টাকা-পয়সা থাকবে, দরকারি কাগজপত্র থাকবে, যা পেলাম এগুলো কোনো কাজেই আসবে না।’

তিনি আরো বলেন, ‘আগামী সপ্তাহের মধ্যে হয়তো অডিটর নিয়োগ দেব। সেজন্য কাগজপত্র রেডি করা হচ্ছে। অডিটররা আমাদের তিনটি গোডাউন আছে সাভারে সেখানে যাবে, দেখবে কী কী আছে।’

ইভ্যালির গ্রাহকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘কোনো কোম্পানি দেউলিয়া হলে সেখানে আনুপাতিক হারে পরিশোধ করতে হয়। এখানে মার্চেন্ট, গ্রাহক দুই ধরনের পাওনাদার আছেন। আমাদের সিদ্ধান্ত হলো আমরা কাস্টমারদের পাওনা আগে দেব।’

প্রতারণার মাধ্যমে গ্রাহকের টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. রাসেল ও তার স্ত্রী ইভ্যালির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা হয়েছে।

গত বছরের ১৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বাসা থেকে রাসেল ও শামীমাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর থেকে তারা কারাগারে।

গত ১৮ অক্টোবর আদালত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালি দেখভাল করতে আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিককে চেয়ারম্যান করে পাঁচ সদস্যের বোর্ড গঠন করেন।