logo
আপডেট : ১ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ২১:৪২
কোনো প্রবাসীর পদক্ষেপের দায় বিএনপির নয়: মির্জা ফখরুল
নিজস্ব প্রতিবেদক

কোনো প্রবাসীর পদক্ষেপের দায় বিএনপির নয়: মির্জা ফখরুল

সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

দেশের গণতন্ত্র এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে যদি কোনো প্রবাসী কোনো পদক্ষেপ নেয়, দেশের প্রতি তার ভালোবাসার জন্য যদি কিছু করে, সে পদক্ষেপের দায়িত্ব তার, বিএনপির নয় বলে জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। মঙ্গলবার (১ ফেব্রুয়ারি) গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

বিএনপি নেতা ফখরুল বলেন, ‘একজন প্রবাসী বাংলাদেশি কর্তৃক লবিস্ট নিয়োগের বিষয়টি আজ আমাদের দলের ঘাড়ে চাপানোর অপচেষ্টা চালাচ্ছে এই সরকার। এসব কথা বলে বলে জনগণের কাছে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছে সরকারের বেশ কয়েকজন মন্ত্রী।

তিনি আরও বলেন, প্রবাসী ওই বাংলাদেশির পদক্ষেপকে নৈতিকভাবে সমর্থনের দায়িত্ব বাদে অন্য কোনো দায়-দায়িত্ব বিএনপি বহন করে না। তবে বিশ্বের দেশে দেশে প্রবাসীদের গণতন্ত্র এবং মানবাধিকার রক্ষার জন্য এ ধরনের দেশপ্রেমিক পদক্ষেপকে বিএনপি সাধুবাদ জানায়।

উন্নয়ন সহযোগীদের চিঠি দেওয়ার কথা স্বীকার করে তিনি বলেন, বাংলাদেশের বিষয়ে বিএনপি থেকে বিদেশে কোনো লবিস্ট নিয়োগ করা হয়নি। এমনকি চিঠির সঙ্গে লবিস্ট নিয়োগেরও কোনো সম্পর্ক নেই। বিদেশে লেখা আমার ওই চিঠিসমূহ কোনো লবিস্ট নিয়োগের বিষয় নয়, মানবাধিকার রক্ষায় আন্তর্জাতিক উন্নয়ন অংশীদারদের প্রতি আহ্বান মাত্র।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি মানবাধিকার লঙ্ঘনের শিকার হওয়া সবার সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য আশ্রয়স্থল, মানবাধিকার ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলনের সবচেয়ে বড় ভ্যানগার্ড। আর তাই, বিএনপি তার আন্দোলন সংগ্রামের অংশ হিসেবেই দেশের উন্নয়ন অংশীদারদের সমর্থন চায়, মানবাধিকার লঙ্ঘন বন্ধ চায়, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার সংগ্রামে দেশি-বিদেশি সব অংশীদারকে এই সরকারের সব অপকর্ম সম্পর্কে অবগত করে রাখতে চায়।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনের একটি বক্তব্যের প্রতিউত্তরে বিএনপি নেতা বলেন, ‘তার ভাষ্য মতে, সরকারের ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধারের জন্য তারা লবিস্ট নিয়োগ করেছে।’ কিন্তু, খুন, গুমের মতো অপরাধের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তির দায় কিংবা ব্যক্তির স্বেচ্ছাচারিতায় নিমজ্জিত প্রতিষ্ঠানের দায় রাষ্ট্র কিংবা সরকার কীভাবে জনগণের টাকায় ভাবমূর্তি রক্ষার নামে ব্যয় করে?’