শুষ্ক তথা শীত মৌসুমে প্রতিবছর ঢাকা শহরের বায়ুদূষণ চরম মাত্রায় বেড়ে গেলেও এবারের বায়ুদূষণ বিগত কয়েক বছরের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে। এবার ভারতের রাজধানী দিল্লিকে ছাড়িয়ে বিশ্বে বায়ুদূষণের শীর্ষস্থান দখলে নিয়েছে রাজধানী ঢাকা। গত ২৩, ২৪ ও ২৫ জানুয়ারি টানা মোট তিন দিন বায়ুদূষণে শীর্ষে ছিল ঢাকা। জানুয়ারিতে এক দিনও রাজধানীবাসীর ভাগ্যে জোটেনি শ্বাস নেয়ার নির্মল বায়ু। এ সময় বায়ুমান বেশিরভাগ সময় ‘অস্বাস্থ্যকর’ থেকে ‘চরম অস্বাস্থ্যকর’ অবস্থায় ছিল। ২০২২ সালের জানুয়ারি মাসের গড় বায়ুমান সূচক ২১৯ দশমিক ৫২ যা ‘চরম অস্বাস্থ্যকর’। পরিবেশ অধিদপ্তরের বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সরকারি সংস্থাগুলোর সমন্বয়ের অভাবে রাজধানীতে অনিয়ন্ত্রিত বায়ুদূষণ দিন দিন ভয়ঙ্কর আকার ধারণ করছে। বায়ুদূষণ রোধে কার্যকর সমন্বিত উদ্যোগ প্রয়োজন বলেই মন্তব্য করেছেন তারা। তাদের মতে, সরকারের একাধিক সংস্থা বায়ুদূষণে ভূমিকা রাখলেও দূষণ রোধে সমন্বিত কার্যক্রম নেয়া হচ্ছে না।
আমাদের দেশে সাধারণত শীতের মৌসুমে গড় বায়ুমান সূচক বাড়তে দেখা যায়। শীতকাল অপেক্ষাকৃত শুষ্ক ঋতু হওয়ায় এই সময়ে ধুলি-বালির পরিমাণও বেড়ে যায়। এর সঙ্গে ইটভাটা ও সিমেন্ট কারখানা থেকে উৎপন্ন ধুলির মিশ্রণ ঘটলে বায়ুদূষণ বাড়ে। শীতে আর্দ্রতা কম থাকায় এই সময়ে বাতাসে অতি ক্ষুদ্র বস্তুকণাগুলোর উপস্থিতিও বাড়ে। বৈশ্বিক বায়ুর মান পর্যবেক্ষণকারী সুইজারল্যান্ডভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান আইকিউ এয়ারের প্রতিবেদন অনুযায়ী দূষণের তালিকায় শীর্ষস্থানে রয়েছে ঢাকা; যা ইতোপূর্বে উল্লেখ করা হয়েছে। ঢাকায় গত জানুয়ারি মাসজুড়ে বায়ুদূষণের উপাদান অতি সূক্ষ্ম বস্তুকণা পিএম-২.৫-এর উপস্থিতি স্বাভাবিক মাত্রার চেয়ে প্রায় ২৭ গুণ বেশি ছিল। বর্তমানে বাংলাদেশের অধিকাংশ স্থানের বায়ুই এখন কম-বেশি দূষিত। বিশ্বের যেসব শহর বায়ুদূষণের কবলে আছে তার মধ্যে একদম সবার ওপরে স্থান আমাদের ঢাকা শহরের। বিশ্বের বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী আন্তর্জাতিক সংস্থা এয়ার ভিজ্যুয়ালের পর্যবেক্ষণ অনুসারে সাম্প্রতিক সময়গুলোতে ঢাকা শহরের বায়ুমান দূষণ দিনের বেশিরভাগ সময় বিশ্বের প্রধান শহরগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি এমন তথ্যও বিভিন্ন মিডিয়ায় গুরুত্ব সহকারে ওঠে এসেছে।
পরিবেশ বিজ্ঞানীদের গবেষণা বলছে, সীমান্তের বাইরে থেকে ক্ষতিকর বিভিন্ন বস্তুকণা বাতাসে ভেসে বাংলাদেশে উড়ে আসার কারণে ঢাকার বায়ু আরো বেশি দূষিত হয়ে পড়ছে। গবেষকেরা বলছেন, রাজধানীর বায়ুদূষণের জন্য প্রায় ৩০ ভাগ দায়ী ভারত ও মিয়ানমারের মতো প্রতিবেশি দেশ থেকে আসা অ্যামোনিয়া, নাইট্রিক অক্সাইড, সালফার ডাই অক্সাইড, সীসা, কার্বন, ভোলাটাইল অর্গানিক কম্পাউন্ড, ওজোন গ্যাসের মতো অতি সূক্ষ্ম পদার্থ। ঢাকায় পরিবেশ বিষয়ক সংস্থা এনভায়রনমেন্ট এন্ড সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশনের (এসডো) চালানো এক গবেষণায় এসব তথ্য ওঠে এসেছে।
গবেষকদের মতে, সীমান্তের বাইরে থেকে আসা এসব অতি সূক্ষ্ম বস্তুকণা ঢাকার পরিবেশ দূষণের জন্য ৩০ ভাগ দায়ী হলেও এগুলো মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য সবচেয়ে বেশি ক্ষতিকর। বাইরে থেকে আসা এই ৩০ ভাগের মধ্যে যেসব দূষণকারী পদার্থ থাকে সেগুলো পরিবেশ ও স্বাস্থ্যের অনেক ক্ষতি করতে পারে। অর্থাৎ ক্ষতির দিক থেকে বিবেচনা করলে দেখা যায় সীমান্তের ওপার থেকে বাতাস যেসব বিষাক্ত পদার্থ বয়ে আনছে সেগুলো স্বাস্থ্যহানির জন্য ৮০ ভাগই দায়ী। তাদের মতে, এসব বস্তুকণা মানুষ নিঃশ্বাসের সঙ্গে গ্রহণ করছে এবং সে কারণে তাদের স্বাস্থ্যজনিত নানা ধরনের সমস্যা দেখা দিচ্ছে। বিজ্ঞানীরা বলছেন, কার্বন মনোক্সাইড বুকে ব্যথাসহ শ্বাসতন্ত্রের নানা অসুখের জন্য দায়ী। নিঃশ্বাসের সঙ্গে এটি গ্রহণ করলে হৃদরোগও হতে পারে। নাইট্রিক অক্সাইডের কারণে নানা ধরনের প্রদাহ হয়, সালফার ডাই অক্সাইডের কারণে হতে পারে হাঁপানিসহ হৃদরোগ, ওজোন গ্যাস ফুসফুসের কার্যক্ষমতাকে ক্ষতিগ্রস্ত করে এবং সীসার কারণে শিশু ও বয়স্ক মানুষেরা খুব দ্রুত শ্বাসকষ্টজনিত অসুখে এবং শ্রবণ ও স্মৃতিশক্তি কমে যাওয়া এমনকি ক্যানসারেও আক্রান্ত হতে পারে। তবে বায়ুদূষণের জন্য দায়ী এসব ক্ষতিকর পদার্থ বাংলাদেশে খুব কমই উৎপন্ন হয়।
গবেষকেরা বলেন, মূলত সীমান্তবর্তী দুটো দেশ ভারত ও মিয়ানমার থেকেই এসব দূষণকারী পদার্থ বাতাসে ভেসে বাংলাদেশে চলে আসছে। তাদের মতে, ভারতের সীমান্তবর্তী পশ্চিমবঙ্গ, মেঘালয়, আসাম, ত্রিপুরা, মিজোরাম- এসব রাজ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে শিল্প ও কলকারখানা। এছাড়াও এসব অঞ্চলে আছে বেশ কিছু কয়লার খনি। এগুলো থেকে প্রচুর দূষণকারী পদার্থ বাতাসে নির্গত হচ্ছে যা বাতাসের সাথে বাংলাদেশে প্রবেশ করছে।
গবেষণায় দেখা গেছে, মিয়ানমার থেকেও কিছু দূষণকারী পদার্থ বাংলাদেশে আসছে যার মধ্যে রয়েছে জীবাশ্ম জ্বালানি পোড়ানোর ফলে তৈরি নাইট্রোজেন অক্সাইড ও সালফার। এছাড়াও মিয়ানমারের সীমান্ত এলাকায় প্রচুর পরিমাণে গাছপালা পোড়ানো হয় যার ফলে সেখানে যে ‘কার্বন ছাই’ তৈরি হয় সেটা বাতাসে ভেসে বাংলাদেশে চলে আসে।
তবে শুধু যে বিদেশি বায়ুদূষণকারী বস্তু উড়ে এসে রাজধানী ঢাকাকে দূষিত করছে নাÑ তা ওঠে এসেছে বেসরকারি দুটি গবেষণা সংস্থার যৌথ গবেষণায়। সম্প্রতি রাজধানীর স্ট্যামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়ুমণ্ডলীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্র (ক্যাপস) ও পরিবেশবাদী সংগঠন বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা)’র যৌথ গবেষণায় দেখা গেছে, জানুয়ারিতে একদিনও নির্মল বায়ু পায়নি রাজধানীবাসী। বায়ুদূষণের জন্য যে তিনটি বিষয়কে প্রধানত দায়ী করা হয় তা হলো: শহরে বড় বড় উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ, নির্মাণাধীন ভবনের কাজ এবং যানবাহনের কালো ধোঁয়া। বায়ু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আবাসিক এবং বাণিজ্যিক নির্মাণকাজ বৃদ্ধির ফলে মারাত্মকভাবে বেড়েছে বায়ুদূষণ। তাদের মতে, নির্মাণকাজের জন্য প্রতিনিয়ত বালিভর্তি ট্রাক প্রবেশ করছে রাজধানীতে। খোলা ট্রাকের বালু বাতাসের সঙ্গে মিশে বায়ুদূষণ করছে। এছাড়াও গাড়ির চাকার ঘর্ষণে বালি ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র হয়ে বাতাসে মিশে নিঃশ্বাসের সঙ্গে মানুষের ফুসফুসে প্রবেশ করে স্বাস্থ্যঝুঁকি মারাত্মকভাবে বাড়িয়ে তুলছে।
গবেষণা অনুযায়ী, আবদুল্লাহপুর, আগারগাঁও, মিরপুর-১০, আহসান মঞ্জিল এলাকা, সংসদ ভবন এলাকা, ধানমন্ডি, মতিঝিল, গুলশানসহ রাজধানীর ১০টি জায়গার বায়ু সবচেয়ে দূষিত। এ এলাকাগুলোতে গড় বস্তুকণা ২ দশমিক ৫ ছিল প্রতি ঘনমিটারে যথাক্রমে ৫৭, ৬২, ৬০, ৬৩, ৫৯, ৬১, ৬৬ এবং ৬৫ মাইক্রোগ্রাম এবং যা নির্ধারিত মানমাত্রার প্রায় ৪ থেকে ৫ গুণ বেশি। বায়ুর মানের স্বাভাবিক সূচক ৫০ হলেও জানুয়ারিজুড়ে রাজধানীতে তা প্রতিদিন ছিল ২০০-এরও বেশি। ২০২১ সালে ঢাকা শহরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি দূষিত ছিল তেজগাঁও এলাকা (প্রতি ঘনমিটারে ৭০ মাইক্রোগ্রাম) এবং পরের অবস্থানে রয়েছে শাহবাগ এলাকা (প্রতি ঘনমিটারে ৬৮ মাইক্রোগ্রাম)। তারা বলেছেন, অপরিকল্পিত ও অনিয়ন্ত্রিত রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ি ও নির্মাণকাজ বাতাস দূষিত করছে শতকরা ৩০ ভাগ, ইটভাটা, শিল্প কল-কারখানা থেকে ২৯ ভাগ আর যানবাহনের কালো ধোঁয়া দায়ী ১৫ ভাগ।
গবেষণা মতে, ২০১৬ থেকে ২০২১Ñ এই ছয় বছরের জানুয়ারির বায়ুমান সূচকের তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, ২০২০ সালের তুলনায় ২০২১ সালে গড় বায়ুদূষণের পরিমাণ বেড়েছে ৯ দশমিক ৮ শতাংশ। জানুয়ারিতে এখন পর্যন্ত গড় হিসাবে বায়ুমান সূচক ছিল ২১৯ দশমিক ৫২ শতাংশ। বায়ুমান সূচক ২০০ অতিক্রম করলেই তা খুবই অস্বাস্থ্যকর বিবেচনা করা হয়।
গবেষকদের মতে, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ঢাকা শহরের ৬০ শতাংশ বায়ুদূষণ হয় রাতের বেলা। কারণ রাতের বেলা বায়ুর চাপ বেড়ে যায়। ওপর থেকে বায়ু নিচের দিকে চাপ দেয়। রাতে তাপমাত্রা কমে যায় এবং কুয়াশা পড়ে, এ কারণে আকাশ ভেজা ভেজা থাকে। আবার দেখা যায় দিনের বেলায় বায়ুপ্রবাহের গতি বেশি থাকে আর রাতে কম থাকে। এসব কারণে ধুলোবালি নিচের দিকে থাকে ফলে বায়ুদূষণ বাড়ে। গত ছয় বছরে (২০১৬-২০২১) গড় বায়ুর মান বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, ঢাকা শহরে বিকেল ৪টার পর থেকে বায়ুদূষণের মান খারাপ হতে শুরু করে, যা রাত ১১টা থেকে ২টার মধ্যে সর্বোচ্চ অবস্থানে পৌঁছে। এর মধ্যে রাত ১টায় বায়ুমানের গড় সূচক পাওয়া গেছে ১৬২, যা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সর্বোচ্চ। এছাড়া আন্তঃনগরীয় বাসগুলো রাতে প্রচণ্ড গতিতে চলাচল করে। এছাড়াও ঢাকা শহরের রাস্তাগুলো ঝাড়ু দেওয়া হয় রাতে এবং সংস্কারের কাজকর্মও চলে রাতের বেলা; এতে ধুলোবালি বেশি উড়ে এবং বায়ুদূষণ বাড়ে।
গত ৬ বছরে রাজধানীতে বায়ুদূষণ বেড়েছে প্রায় ১০ ভাগ। এই দীর্ঘ সময়ে মাত্র ৩৮ দিন নিঃশ্বাসে ভালো বাতাস পেয়েছেন নগরবাসী। বিশ্বব্যাংকের রিপোর্ট সামনে এনে পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন (বাপা) বলছে, ঢাকায় প্রতিবছর প্রায় ১০ হাজার মানুষের মৃত্যুর কারণ এই দূষণজনিত রোগ। আর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, বায়ুদূষণের কারণে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে বিশ্বব্যাপী প্রতিবছর আনুমানিক ৭ কোটি মানুষ মারা যায়।
তবে বাস্তবতার নিরিখে দেখা যায় যে, রাজধানীর বায়ুদূষণে বড় ভূমিকা পালন করছে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের বর্জ্যবাহী গাড়িগুলো। বিশেষ করে বর্জ্য বহনের সময় বর্জ্যবাহী যানগুলো খোলা থাকে। বহনের সময় যে বর্জ্য রাস্তায় পড়ে যায়, সেগুলো পঁচে বায়ুদূষণ করে থাকে। এছাড়াও সিটি করপোরেশনের ভেতর যেসব নির্মাণাধীন কার্যক্রম চলে, বিশেষ করে আবাসিক এবং রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ির ফলেও বায়ুদূষণ হয়ে থাকে। তাছাড়া রাজধানীর আশপাশের ইটভাটা ও শিল্প-কারখানা, মেয়াদোত্তীর্ণ গাড়ির কালো ধোঁয়া, বস্তিতে প্রায় চল্লিশ লাখ চুলায় আবর্জনা, কাঠ-কয়লা ও কেরোসিন দিয়ে রান্নার ধোঁয়া, ঢাকার বাইরে থেকে আসা হাজার হাজার ট্রাক ও দূরপাল্লার যানবাহনের ধুলি-বালি ও ধোঁয়া। তবে মেট্রোরেল ও ফ্লাইওভার নির্মাণসহ সরকারের বড় বড় উন্নয়ন প্রকল্পের ফলে মাত্রাতিরিক্ত বায়ুদূষণ যে হচ্ছে এ কথা এড়িয়ে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই।
এ অবস্থায় পরিবেশ বিজ্ঞানীরা রাজধানীর বায়ুদূষণ রোধে কিছু স্বল্পমেয়াদি, মধ্যমেয়াদি ও দীর্ঘমেয়াদি পদক্ষেপ গ্রহণের কথা সুপারিশ করেছেন। আমরা মনে করি, স্বল্পমেয়াদি পদক্ষেপ হিসেবে শুষ্ক মৌসুমে সিটি করপোরেশন, ওয়াসা ও পরিবেশ অধিদপ্তর এর সমন্বয়ে ঢাকা শহরে প্রতিদিন দুই থেকে তিন ঘণ্টা পর পর পানি ছিটানোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত। যেহেতু ঢাকা নগরী ও এর আশপাশে গাছপালার পরিমাণ ব্যাপকহারে কমে গেছে সেহেতু অনতিবিলম্বে নদীর পাড়, রাস্তার পাশে ও রাস্তার আইল্যান্ডে, বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান প্রাঙ্গণ ও খালি জায়গায় পর্যাপ্ত বৃক্ষরোপণ করতে হবে। বাসা-বাড়ির সামনের ফাঁকা জায়গায় ও ছাদে ছাদবাগান গড়ে তোলার বিষয়ে জনগণকে সচেতন করে তুলতে হবে এবং বায়ুদূষণের সব উৎস বন্ধে জনসচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে। এছাড়াও নির্মাণ কাজের সময় নির্মাণস্থান ঘেরাও দিয়ে রাখা ও নির্মাণ সামগ্রী পরিবহনের সময় ঢেকে নেওয়া আবশ্যক। শহরের ময়লা আবর্জনা নির্দিষ্ট স্থানে ফেলার ক্ষেত্রে ঢাকাবাসীকে সুষ্ঠুভাবে তাদের দায়িত্ব পালন করা উচিত। ঢাকা শহরকে ময়লা-আবর্জনামুক্ত রাখতে হলে জনগণের পাশাপাশি সরকারকেও আরো সক্রিয় ভূমিকা পালন করা অত্যাবশ্যক।
লেখক: কবি, প্রাবন্ধিক ও সহকারী অধ্যাপক, শেরপুর সরকারি মহিলা কলেজ, শেরপুর